Ajker Patrika

‘রাষ্ট্রপত্নী’ ইস্যুতে ক্ষমা চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি কংগ্রেস নেতার

‘রাষ্ট্রপত্নী’ ইস্যুতে ক্ষমা চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি কংগ্রেস নেতার

ভারতের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপত্নী বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হয় দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় এর কড়া প্রতিবাদ করা হয়। বিজেপি নেতারা এই বিষয়ে তাঁকে ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবি জানান। অবশেষে আজ শুক্রবার লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত চিঠিতে বলেছেন—‘আমি আপনার অবস্থান বর্ণনা করার জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করায় দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে—এই শব্দটি আমার মুখ ফসকে বের হয়ে গিয়েছিল। আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং আপনাকে আমার ক্ষমার আহ্বান গ্রহণের অনুরোধ করছি।’

এদিকে, কেবল অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ক্ষমা প্রার্থনায় সন্তুষ্ট নয় বিজেপি। দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসকে এই বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবি জানিয়েছে।

লোকসভায় কংগ্রেসের লিডার অব হাউস অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে উল্লেখ করেন। পরে, বিজেপি কর্তৃক ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে অধীর রঞ্জন বলেন—তিনি ক্ষমা চাইলে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছেই ক্ষমা চাইবেন অন্য কারও কাছে নয়। তবে, তিনি রাষ্ট্রপত্নী বলার বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য বলেছেন, তিনি ভালো হিন্দি বলতে পারেন না।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আমার ভুল হলো—রাষ্ট্রপত্নী শব্দটি আমার মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে। আমি একজন বাঙালি এবং আমার হিন্দি ততটা ভালো না হওয়ায় তা মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে। দেশের সর্বোচ্চ পদকে অসম্মান করার কোনো ইচ্ছেই আমার ছিল না, এমনকি আমি আমার দুঃস্বপ্নের মধ্যেই এমন কিছু বলব বলে ভাবতে পারি না।’

কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি ১০০ বার বলেছি যে, আমি ভুল করেছি। তো এখন আমি আর কী করতে পারি? যে কেউই ভুল করতে পারে। আমি একজন বাঙালি, হিন্দি আমার মাতৃভাষা নয়। আমি হিন্দি বলতেও অভ্যস্ত নই। সুতরাং, এই কারণে যদি রাষ্ট্রপতি নিজেকে অপমানিত বোধ করেন তাহলে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করব।’

‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্ক নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল বিজেপি ও কংগ্রেস। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে দলিত, আদিবাসী বিরোধী বলে আখ্যা দেন। তিনি সোনিয়া গান্ধীকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘ম্যাডাম আমি আমি কী আপনাকে কোনোভাবে সাহায্য করি? আমি কী আপনার নাম নিতে পারি?’ পরে স্মৃতি ইরানির কথার জবাবে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা বলবেন না।’

পরে, বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় হট্টগোল তৈরি হলে অধিবেশন স্থানীয় সময় বিকেল চারটা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত