বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বেআইনি অনুপ্রবেশ, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মধ্যে রয়েছে নাইট ভিশন ক্যামেরা, মুভমেন্ট ডিটেক্টর এবং ইম্প্রোভাইজ অ্যালার্ম সিস্টেম। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
পুরোনো পদ্ধতির সমন্বয় করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করে এই হাইব্রিড পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে। এই দীর্ঘ সীমান্তরেখায় বিএসএফের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে।
বিএসএফের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান এবং মানব পাচার প্রতিরোধের জন্য সর্বোত্তম জনবল, প্রযুক্তি এবং সম্পদ ব্যবহার করছি। অরক্ষিত এলাকায় আমাদের সেনারা নিজেদের উদ্যোগে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেড়া তৈরি করেছে।’
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ৯১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তের সুরক্ষা দেয় বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার। এই ফ্রন্টিয়ারের ৯১৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩৫০ বর্গফুট এলাকা অরক্ষিত। এই সীমান্তের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পাহারা ও টহলের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি করছেন সেনারা।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ঘাস কাটার মতো কাজের মাধ্যমে এলাকাটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে দৃষ্টিসীমা স্পষ্ট থাকে এবং কোনো কিছু লুকানো সম্ভব হয় না। তিনি আরও জানান, বাঁশের লাঠিতে স্থাপন করা নাইট ভিশন ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট ২৪ ঘণ্টা নজরদারি নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে পুরো এলাকা আরও ভালোভাবে দেখা যায় এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
এমনকি সীমান্ত এলাকায় অ্যালার্ম সিস্টেমও স্থাপন করা হয়েছে, যাতে অনুপ্রবেশের সময় তৎক্ষণাৎ সতর্কসংকেত দেয়। যখন কেউ কোনো কাঁটাতার স্পর্শ করে এই সিস্টেমগুলোর ট্রিপওয়্যার তাৎক্ষণিকভাবে জোরে শব্দ করে এবং ফ্লেয়ারসগুলো (উজ্জ্বল আলো) জ্বলে ওঠে। এই সিস্টেমগুলো সরাসরি লাইভ ফিডে সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।
এ ছাড়া, পাহারার দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ফাঁক মোকাবিলা করতে ইলেকট্রনিক নজরদারি সিস্টেম, যেমন—৩৬০ ডিগ্রি রোটেটিং ক্যামেরা এবং মুভমেন্ট-সেনসিটিভ সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। যদি কেউ নজরদারি যন্ত্রের চারপাশের ক্যামোফ্লাজ (যন্ত্রকে আড়াল করতে ব্যবহৃত বিশেষ কাপড়) স্পর্শ করার চেষ্টা করে তখন সেন্সরগুলো সতর্কসংকেত দেয়।
বিএসএফের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রযুক্তি, জনবল ও সম্পদ এই ফাঁকগুলো পূর্ণ করছে। সীমান্তে সব গতিবিধি নিয়মিতভাবে কন্ট্রোল রুমে নজরদারি করা হয়, যেখান থেকে ডিউটি থাকা সেনাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সঠিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে, বিএসএফের কর্মীদের পাম্প অ্যাকশন গান (পিএজিএস), প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।’
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্তে অবৈধ বস্তু ফেলা রোধ করতে, স্মার্ট কাঁটাতারের ওপর জাল (নেটিং) ব্যবহার করা হচ্ছে এবং কিছু স্থানে এগুলোর উচ্চতা ২০ ফুট। বিশেষত গ্রামগুলোর কাছে।
বাংলাদেশ-ভারতের আন্তসীমান্ত অবস্থিত বেতনা নদীর এলাকায় নজরদারি চালাতে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় বিএসএফ। বিশেষ করে বর্ষাকালে। কারণ, সে সময় এই এলাকায় পানি অনেক বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিএসএফ একটি বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বাঁশ এবং তামার তার দিয়ে তৈরি কাঁটাতার, যা চলাচলে সীমা আরোপ করবে।
এ ছাড়া, অরক্ষিত এলাকায় ১০ ফুট উচ্চতার এক সারি স্মার্ট বেড়া স্থাপনের জন্য প্রায় ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে বিএসএফ। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনও এর জন্য জমি সরবরাহ করেছে।
বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বেআইনি অনুপ্রবেশ, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মধ্যে রয়েছে নাইট ভিশন ক্যামেরা, মুভমেন্ট ডিটেক্টর এবং ইম্প্রোভাইজ অ্যালার্ম সিস্টেম। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
পুরোনো পদ্ধতির সমন্বয় করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করে এই হাইব্রিড পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে। এই দীর্ঘ সীমান্তরেখায় বিএসএফের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে।
বিএসএফের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান এবং মানব পাচার প্রতিরোধের জন্য সর্বোত্তম জনবল, প্রযুক্তি এবং সম্পদ ব্যবহার করছি। অরক্ষিত এলাকায় আমাদের সেনারা নিজেদের উদ্যোগে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেড়া তৈরি করেছে।’
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ৯১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তের সুরক্ষা দেয় বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার। এই ফ্রন্টিয়ারের ৯১৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩৫০ বর্গফুট এলাকা অরক্ষিত। এই সীমান্তের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পাহারা ও টহলের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি করছেন সেনারা।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ঘাস কাটার মতো কাজের মাধ্যমে এলাকাটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে দৃষ্টিসীমা স্পষ্ট থাকে এবং কোনো কিছু লুকানো সম্ভব হয় না। তিনি আরও জানান, বাঁশের লাঠিতে স্থাপন করা নাইট ভিশন ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট ২৪ ঘণ্টা নজরদারি নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে পুরো এলাকা আরও ভালোভাবে দেখা যায় এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
এমনকি সীমান্ত এলাকায় অ্যালার্ম সিস্টেমও স্থাপন করা হয়েছে, যাতে অনুপ্রবেশের সময় তৎক্ষণাৎ সতর্কসংকেত দেয়। যখন কেউ কোনো কাঁটাতার স্পর্শ করে এই সিস্টেমগুলোর ট্রিপওয়্যার তাৎক্ষণিকভাবে জোরে শব্দ করে এবং ফ্লেয়ারসগুলো (উজ্জ্বল আলো) জ্বলে ওঠে। এই সিস্টেমগুলো সরাসরি লাইভ ফিডে সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।
এ ছাড়া, পাহারার দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ফাঁক মোকাবিলা করতে ইলেকট্রনিক নজরদারি সিস্টেম, যেমন—৩৬০ ডিগ্রি রোটেটিং ক্যামেরা এবং মুভমেন্ট-সেনসিটিভ সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। যদি কেউ নজরদারি যন্ত্রের চারপাশের ক্যামোফ্লাজ (যন্ত্রকে আড়াল করতে ব্যবহৃত বিশেষ কাপড়) স্পর্শ করার চেষ্টা করে তখন সেন্সরগুলো সতর্কসংকেত দেয়।
বিএসএফের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রযুক্তি, জনবল ও সম্পদ এই ফাঁকগুলো পূর্ণ করছে। সীমান্তে সব গতিবিধি নিয়মিতভাবে কন্ট্রোল রুমে নজরদারি করা হয়, যেখান থেকে ডিউটি থাকা সেনাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সঠিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে, বিএসএফের কর্মীদের পাম্প অ্যাকশন গান (পিএজিএস), প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।’
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্তে অবৈধ বস্তু ফেলা রোধ করতে, স্মার্ট কাঁটাতারের ওপর জাল (নেটিং) ব্যবহার করা হচ্ছে এবং কিছু স্থানে এগুলোর উচ্চতা ২০ ফুট। বিশেষত গ্রামগুলোর কাছে।
বাংলাদেশ-ভারতের আন্তসীমান্ত অবস্থিত বেতনা নদীর এলাকায় নজরদারি চালাতে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় বিএসএফ। বিশেষ করে বর্ষাকালে। কারণ, সে সময় এই এলাকায় পানি অনেক বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিএসএফ একটি বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বাঁশ এবং তামার তার দিয়ে তৈরি কাঁটাতার, যা চলাচলে সীমা আরোপ করবে।
এ ছাড়া, অরক্ষিত এলাকায় ১০ ফুট উচ্চতার এক সারি স্মার্ট বেড়া স্থাপনের জন্য প্রায় ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে বিএসএফ। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনও এর জন্য জমি সরবরাহ করেছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১০ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৩ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে