Ajker Patrika

জম্মু ও কাশ্মীর নির্বাচনে বাজিমাত করতে পারে বিজেপি

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮: ৩৯
জম্মু ও কাশ্মীর নির্বাচনে বাজিমাত করতে পারে বিজেপি

জীবনে এই প্রথম নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ভারতের জম্মু শহরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশা। এ সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ উপহার দিতে চান এ নারী। আসছে বসন্তে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে নিজের ভোটটা তিনি দিতে চান মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি)। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কেবল আশাই নন, আরও লাখো নিম্নশ্রেণির মানুষের ভোট পাবে বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন তাঁরা। আশা বলেন, ‘আমাদের নীরবে অপমান করা হচ্ছিল। কিন্তু মোদিজি এসে সারা জীবনের জন্য উদ্ধার করেছেন। শুধু আমি একা নই, আমার ছেলেমেয়ে ও আমাদের সম্প্রদায়ের সবাই ভবিষ্যতেও বিজেপিকেই ভোট দেবে।’ 

২০২০ সালে লাখো মানুষকে এমন সুযোগ করে দেয় মোদির সরকার। তাঁরা এখন থেকে স্থায়ী বাসস্থান ও জমি কিনতে পারবেন। পড়াশোনা করতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকি সরকারি চাকরিতেও করতে পারবেন আবেদন। আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এমন ১০ লাখের বেশি ভোটার। তাঁদের বেশির ভাগই ভোট দেবেন বিজেপিকে। 

বহুদিন ধরেই মুসলমানদের প্রতিনিধিরা হয়ে আসছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। এতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এখানে প্রভাব বিস্তার করতে পারত বলে অভিযোগ করে আসছেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির নেতারা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেই গণ্ডি ভেঙে ফেলে কাশ্মীর নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে চায় দলটি। এ জন্য আশার মতো মানুষের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। যুক্ত করা হয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে। পরে সীমানাও করা হয় পুনর্বিন্যাস। এতে বিধানসভায় ৭টি নতুন আসন যুক্ত হয়। মোট আসন হয় ৯০টি। এর মধ্যে ৯টি আসন তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ৯টি আসন বিজেপি পাবে, তা প্রায় নিশ্চিত। 

নির্বাচন নিয়ে প্রায় ৪০ জন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তা ও ভোটাধিকার পাওয়া অনেক নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ করেছে রয়টার্স। তাঁদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে বার্তা সংস্থাটি বলছে, আগামী নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জম্মু ও কাশ্মীরে বাজিমাত করতে পারে বিজেপি। 

মূলত মোদির কারিশমার কারণেই এমনটি সম্ভব হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বেশির ভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ৭২ বছর বয়সী মোদি আগামী বছরও নির্বাচনে অংশ নেবেন। হিন্দুধর্মের মানুষের প্রাধান্য দিয়ে ভারতের রাজনীতিতে তিনি বেশ সফলই বলা যেতে পারে। কাশ্মীর নিজের হাতের মুঠোয় নিতে পারলে বিশ্বরাজনীতিতেও এর দারুণ প্রভাব পড়তে পারে। 

জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির প্রেসিডেন্ট রবীন্দর রায়না বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা ৫০টির বেশি আসন পাব। জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন আমাদের দল থেকে।’ 

এ অঞ্চলের মুসলিমরা মনে করছেন, মোদি প্রভাব বিস্তার করলে শুরু হতে পারে ভয়ংকর নতুন পর্যায়। জাতীয়ভাবে হিন্দুদের বেশি প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা এখানেও তিনি শুরু করবেন বলে মনে করছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত