এনডিটিভি
গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই ঘটনার তদন্তে কাজ করছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠান। শনিবার ভারতের এয়ারক্র্যাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) ১৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই প্রতিবেদনের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বিমানের ইঞ্জিনের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ বা জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ ‘রান’, অর্থাৎ চালু থেকে ‘কাট অফ’ বা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশের পরই তদন্তে তৈরি হয়েছে নতুন ধাঁধা। উড়োজাহাজ নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ ‘রান’, অর্থাৎ চালু থেকে ‘কাট অফ’ বা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ, ফুয়েল বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সেটা হাতে করতে হবে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
২০১৮ সালে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বোয়িং-৭৩৭ বিমানের অপারেটরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের লকিং ফিচার নিষ্ক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে একটি স্পেশাল এয়ারওয়ার্দিনেস ইনফরমেশন বুলেটিন (এসএআইবি) জারি করেছিল। তবে এফএএ একে ‘অসুরক্ষিত অবস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করেনি এবং বিমান উড্ডয়নের আগে এটি পরীক্ষার বাধ্যতামূলক কোনো নির্দেশনাও দেয়নি।
এয়ারক্র্যাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) বলছে, যেহেতু বিষয়টি বাধ্যতামূলক কোনো নির্দেশনার মধ্যে পড়ে না, তাই এয়ার ইন্ডিয়া হয়তো লন্ডনগামী ফ্লাইটটির ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ পরীক্ষা করেনি। এয়ার ইন্ডিয়াও বলছে, বিষয়টি সুপারিশকৃত বা পরামর্শমূলক ছিল, বাধ্যতামূলক নয়।
বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের দুটি অবস্থা থাকে, রান বা চালু এবং কাট অফ বা বন্ধ। এর মাধ্যমে বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ হয়। সাধারণত রান মোডে জ্বালানি সরবরাহ চালু থাকে, আর কাট অফ মোডে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এএআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ জুন দুর্ঘটনার সময় বিমানটির গতি সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পর এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ইঞ্জিন-১ ও ইঞ্জিন-২-এর ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ রান (RUN) থেকে কাট অফ (CUT OFF) হয়ে যায়। পরে আবার সেগুলো রান, অর্থাৎ চালু হলেও এর মধ্যে একজন পাইলট ‘মে ডে, মে ডে, মে ডে’ বার্তা পাঠান। এ সময় এক পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘তুমি কেন জ্বালানি বন্ধ করলে?’ উত্তরে অপর পাইলট বলেন, ‘আমি করিনি।’
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বলছে, তাদের স্পেশাল এয়ারওয়ার্দিনেস ইনফরমেশন বুলেটিনের (এসএআইবি) এনএম-১৮-৩৩ নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, বোয়িং-৭৩৭ মডেলের কিছু বিমানে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের লকিং ফিচার নিষ্ক্রিয় থাকে। ফলে সুইচ ভুলক্রমে কেটে যেতে পারে। তবে এটি নিরাপত্তার গুরুতর হুমকি নয় বলে বিবেচিত হওয়ায় এফএএ তখন এ বিষয়ে কোনো এয়ারওয়ার্দিনেস ডিরেক্টিভ (এডি) জারি করেনি।
এখন এর পরিপ্রেক্ষিতে এয়ার ইন্ডিয়া বলছে, তারা উড্ডয়নের আগে লন্ডনগামী ফ্লাইটটির ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ পরীক্ষা করেনি। এএআইবিও বলছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির থ্রটল কন্ট্রোল মডিউল ২০১৯ ও ২০২৩ সালে দুবার পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ এসএআইবির নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়নি।
কিন্তু উড়োজাহাজ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ‘রান’, অর্থাৎ চালু থেকে ‘কাট অফ’ বা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ফুয়েল বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সেটা হাতে করতে হবে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাই এয়ার ইন্ডিয়া মার্কিন প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিলেও ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাট অফ’ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে।
গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই ঘটনার তদন্তে কাজ করছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠান। শনিবার ভারতের এয়ারক্র্যাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) ১৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই প্রতিবেদনের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বিমানের ইঞ্জিনের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ বা জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ ‘রান’, অর্থাৎ চালু থেকে ‘কাট অফ’ বা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশের পরই তদন্তে তৈরি হয়েছে নতুন ধাঁধা। উড়োজাহাজ নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ ‘রান’, অর্থাৎ চালু থেকে ‘কাট অফ’ বা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ, ফুয়েল বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সেটা হাতে করতে হবে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
২০১৮ সালে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বোয়িং-৭৩৭ বিমানের অপারেটরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের লকিং ফিচার নিষ্ক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে একটি স্পেশাল এয়ারওয়ার্দিনেস ইনফরমেশন বুলেটিন (এসএআইবি) জারি করেছিল। তবে এফএএ একে ‘অসুরক্ষিত অবস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করেনি এবং বিমান উড্ডয়নের আগে এটি পরীক্ষার বাধ্যতামূলক কোনো নির্দেশনাও দেয়নি।
এয়ারক্র্যাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) বলছে, যেহেতু বিষয়টি বাধ্যতামূলক কোনো নির্দেশনার মধ্যে পড়ে না, তাই এয়ার ইন্ডিয়া হয়তো লন্ডনগামী ফ্লাইটটির ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ পরীক্ষা করেনি। এয়ার ইন্ডিয়াও বলছে, বিষয়টি সুপারিশকৃত বা পরামর্শমূলক ছিল, বাধ্যতামূলক নয়।
বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের দুটি অবস্থা থাকে, রান বা চালু এবং কাট অফ বা বন্ধ। এর মাধ্যমে বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ হয়। সাধারণত রান মোডে জ্বালানি সরবরাহ চালু থাকে, আর কাট অফ মোডে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এএআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ জুন দুর্ঘটনার সময় বিমানটির গতি সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পর এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ইঞ্জিন-১ ও ইঞ্জিন-২-এর ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ রান (RUN) থেকে কাট অফ (CUT OFF) হয়ে যায়। পরে আবার সেগুলো রান, অর্থাৎ চালু হলেও এর মধ্যে একজন পাইলট ‘মে ডে, মে ডে, মে ডে’ বার্তা পাঠান। এ সময় এক পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘তুমি কেন জ্বালানি বন্ধ করলে?’ উত্তরে অপর পাইলট বলেন, ‘আমি করিনি।’
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বলছে, তাদের স্পেশাল এয়ারওয়ার্দিনেস ইনফরমেশন বুলেটিনের (এসএআইবি) এনএম-১৮-৩৩ নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, বোয়িং-৭৩৭ মডেলের কিছু বিমানে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের লকিং ফিচার নিষ্ক্রিয় থাকে। ফলে সুইচ ভুলক্রমে কেটে যেতে পারে। তবে এটি নিরাপত্তার গুরুতর হুমকি নয় বলে বিবেচিত হওয়ায় এফএএ তখন এ বিষয়ে কোনো এয়ারওয়ার্দিনেস ডিরেক্টিভ (এডি) জারি করেনি।
এখন এর পরিপ্রেক্ষিতে এয়ার ইন্ডিয়া বলছে, তারা উড্ডয়নের আগে লন্ডনগামী ফ্লাইটটির ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ পরীক্ষা করেনি। এএআইবিও বলছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির থ্রটল কন্ট্রোল মডিউল ২০১৯ ও ২০২৩ সালে দুবার পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ এসএআইবির নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়নি।
কিন্তু উড়োজাহাজ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ‘রান’, অর্থাৎ চালু থেকে ‘কাট অফ’ বা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ফুয়েল বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সেটা হাতে করতে হবে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাই এয়ার ইন্ডিয়া মার্কিন প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিলেও ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাট অফ’ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার আজারবাইজান সফর করছেন। তাঁর এই সফরের ফাঁকে বাকুতে সিরীয় ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বিরল বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দামেস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
৭ ঘণ্টা আগেএকাধিক সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিযোগ জমা দেওয়ার পর ওই ছাত্রীকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
১০ ঘণ্টা আগেস্পিকার মোহাম্মদ বাঘের কালিবফ বলেন, ‘১৯৮০-এর দশকে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের সময় খামেনি যেমন ভূমিকা রেখেছিলেন, এবারও তেমন দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।’
১০ ঘণ্টা আগেআসন্ন নির্বাচনগুলোতে ডেমোক্র্যাটদের ঘুরে দাঁড়াতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আবারও তহবিল সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তিনি নিউ জার্সির রেড ব্যাংকে একটি ইভেন্টে অংশ নেন।
১৩ ঘণ্টা আগে