আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কারণে চরম রাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে ইসরায়েল। খোদ ইসরায়েলিরাই মনে করছেন, রাষ্ট্রটি ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই বাস্তবতা আট দশক আগেই উপলব্ধি করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন। ইসরায়েল রাষ্ট্র একদিন পতনের দিকে এগোবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
এর আগে ১৯৪৬ সালে ফিলিস্তিন ইস্যুতে অ্যাংলো-আমেরিকান ইনকোয়ারি কমিটিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে আইনস্টাইন বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা (ইসরায়েল রাষ্ট্র ধারণা) খারাপ।’ অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই তিনি সংশয়ে ছিলেন।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। ওই সময় আইনস্টাইনসহ একদল ইহুদি বুদ্ধিজীবী নিউইয়র্ক টাইমসে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে বেগিনের দলের বিরুদ্ধে সরব হন। চিঠিতে বেগিনের হেরুত পার্টিকে নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দলের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়, দলটি ‘সংগঠন, রাজনৈতিক আদর্শ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে’ ফ্যাসিস্টদের মতোই।
এই হেরুত পার্টির উত্তরসূরি বর্তমানে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টি। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বেগিন ইরগুন নামে এক ইহুদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন, যারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হয়েও বেগিন কখনো ব্রিটেন সফর করেননি। কারণ, তখনো তিনি সেখানে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন।
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে সংঘটিত বহু সহিংসতার ঘটনাই ছিল আইনস্টাইনের বিশেষ আপত্তির জায়গা। সম্ভবত এ কারণে তিনি ১৯৫২ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন তাঁকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আইনস্টাইন বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। কারণ, তিনি একদিকে শান্তিবাদী ছিলেন, অন্যদিকে জার্মান শরণার্থী হিসেবে নিউ জার্সির প্রিন্সটনে নিজের ঘর নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।

আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর বিবৃতিগুলোর একটি পাওয়া যায় এক সংক্ষিপ্ত চিঠিতে। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে ‘দেইর ইয়াসিন’ গণহত্যার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখেছিলেন। ওই গণহত্যায় বেগিনের সন্ত্রাসী সংগঠন ইরগুন এবং ইহুদিদের চরমপন্থী সংগঠন স্টার্ন গ্যাং-এর প্রায় ১২০ সন্ত্রাসী পশ্চিম জেরুজালেমের দেইর ইয়াসিন গ্রামে হামলা চালিয়ে ১০০ থেকে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। তাদের হত্যার ধরন ছিল নৃশংস। কিছু মানুষকে গুলি করে, কিছু গ্রেনেড বিস্ফোরণে এবং অনেককে গ্রেপ্তারের পর প্যারেড করিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ, নির্যাতন ও অঙ্গচ্ছেদেরও অভিযোগ ওঠে।
আইনস্টাইন চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন নিউইয়র্কে ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব দ্য ফাইটারস ফর দ্য ফ্রিডম অব ইসরায়েল’ নামের একটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শেফার্ড রিফকিন বরাবর। রিফকিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টার্ন গ্যাং-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। আইনস্টাইন ৫০ শব্দের ওই চিঠিতে লেখেন—
জনাব,
যখন ফিলিস্তিনে আমাদের ওপর কোনো সত্যিকারের এবং চূড়ান্ত বিপর্যয় নেমে আসবে, তখন সেটির জন্য প্রথমে দায়ী হবে ব্রিটিশরা এবং দ্বিতীয়ত দায়ী হবে আমাদের নিজস্ব স্তর থেকে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। আমি এই বিভ্রান্ত এবং অপরাধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কারও সঙ্গে যুক্ত থাকতে রাজি নই।
আপনার বিশ্বস্ত,
আলবার্ট আইনস্টাইন।
পরে এই চিঠির সত্যতা বিচার করে নিলামে বিক্রি হয় এবং বহু গবেষক এটিকে আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর ভাষায় লেখা ‘অ্যান্টি-জায়োনিস্ট’ বার্তা হিসেবে বর্ণনা করেন।
তবে আইনস্টাইন সব সময় এমন ছিলেন না। ১৯২৯ সালে ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ানকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি ফিলিস্তিনে ইহুদির রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা ইহুদিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি সেই চিঠিতে বলেন, ‘চমৎকার নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণসম্পন্ন তরুণ-তরুণী; যারা খালি হাতে সড়ক নির্মাণ করছে, পরিত্যক্ত মাটিকে কৃষিতে রূপ দিচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। কোনো সচেতন ব্যক্তি ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অসাধারণ সাফল্য এবং তাঁদের একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না।’
আইনস্টাইনের এই ধারণা গড়ে উঠেছিল ১৯২৩ সালে ১২ দিনের ফিলিস্তিন সফরের সময়। তিনি সেখানে হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেন। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম ও শেষ মধ্যপ্রাচ্য সফর।
সারা জীবন শান্তিবাদী আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘ম্যানিফেস্টো টু দ্য ইউরোপিয়ানস’ শীর্ষক ইশতেহার লিখেছিলেন। এই ইশতেহারে সমস্ত রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে ইউরোপে শান্তির আহ্বান জানানো হয়। সম্ভবত এ কারণেই তিনি কখনো ইসরায়েল সফর করেননি। কারণ, রাষ্ট্রটি অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তের ওপর গঠিত।
এরপর ফিলিস্তিনে দেইর ইয়াসিন গণহত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। আইনস্টাইন যেই ইহুদি সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করতেন, আজকের গাজা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে আবারও নির্বিচারে হামলা চালানো হচ্ছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলে চারবার সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, তবে একটিও স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে পারেনি। নেতানিয়াহুর একমাত্র অস্ত্র হলো—ইসরায়েলি ইহুদিদের নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিকে ব্যবহার করা। ফিলিস্তিনি ‘সন্ত্রাসীদের’ হাত থেকে ইসরায়েলকে ‘রক্ষা’ করার যোগ্য ‘শক্তিশালী নেতা’ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে তিনি মরিয়া।
নেতানিয়াহুর শাসনামলেই পাস হয়েছে বিতর্কিত ‘ইহুদি জাতি-রাষ্ট্র আইন’। অথচ ইসরায়েলকে একটি ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পূর্ববর্তী নেতারা।
আইনস্টাইনের মতো অনেক ইহুদি আজ এই রাষ্ট্রের রাজনীতি ও নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। অনেকে বলছেন, হেরুত দলের নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দর্শনের ছায়া আজকের লিকুদ পার্টি ও অন্য ডানপন্থী দল ও সংগঠনের ওপর দৃশ্যমান।
আইনস্টাইন সম্ভবত আগেই বুঝেছিলেন, সশস্ত্র চরমপন্থীদের নেতৃত্বে গঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্র দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকতে পারবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আরও খবর পড়ুন:

ফিলিস্তিনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কারণে চরম রাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে ইসরায়েল। খোদ ইসরায়েলিরাই মনে করছেন, রাষ্ট্রটি ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই বাস্তবতা আট দশক আগেই উপলব্ধি করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন। ইসরায়েল রাষ্ট্র একদিন পতনের দিকে এগোবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
এর আগে ১৯৪৬ সালে ফিলিস্তিন ইস্যুতে অ্যাংলো-আমেরিকান ইনকোয়ারি কমিটিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে আইনস্টাইন বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা (ইসরায়েল রাষ্ট্র ধারণা) খারাপ।’ অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই তিনি সংশয়ে ছিলেন।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। ওই সময় আইনস্টাইনসহ একদল ইহুদি বুদ্ধিজীবী নিউইয়র্ক টাইমসে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে বেগিনের দলের বিরুদ্ধে সরব হন। চিঠিতে বেগিনের হেরুত পার্টিকে নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দলের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়, দলটি ‘সংগঠন, রাজনৈতিক আদর্শ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে’ ফ্যাসিস্টদের মতোই।
এই হেরুত পার্টির উত্তরসূরি বর্তমানে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টি। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বেগিন ইরগুন নামে এক ইহুদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন, যারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হয়েও বেগিন কখনো ব্রিটেন সফর করেননি। কারণ, তখনো তিনি সেখানে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন।
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে সংঘটিত বহু সহিংসতার ঘটনাই ছিল আইনস্টাইনের বিশেষ আপত্তির জায়গা। সম্ভবত এ কারণে তিনি ১৯৫২ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন তাঁকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আইনস্টাইন বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। কারণ, তিনি একদিকে শান্তিবাদী ছিলেন, অন্যদিকে জার্মান শরণার্থী হিসেবে নিউ জার্সির প্রিন্সটনে নিজের ঘর নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।

আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর বিবৃতিগুলোর একটি পাওয়া যায় এক সংক্ষিপ্ত চিঠিতে। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে ‘দেইর ইয়াসিন’ গণহত্যার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখেছিলেন। ওই গণহত্যায় বেগিনের সন্ত্রাসী সংগঠন ইরগুন এবং ইহুদিদের চরমপন্থী সংগঠন স্টার্ন গ্যাং-এর প্রায় ১২০ সন্ত্রাসী পশ্চিম জেরুজালেমের দেইর ইয়াসিন গ্রামে হামলা চালিয়ে ১০০ থেকে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। তাদের হত্যার ধরন ছিল নৃশংস। কিছু মানুষকে গুলি করে, কিছু গ্রেনেড বিস্ফোরণে এবং অনেককে গ্রেপ্তারের পর প্যারেড করিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ, নির্যাতন ও অঙ্গচ্ছেদেরও অভিযোগ ওঠে।
আইনস্টাইন চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন নিউইয়র্কে ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব দ্য ফাইটারস ফর দ্য ফ্রিডম অব ইসরায়েল’ নামের একটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শেফার্ড রিফকিন বরাবর। রিফকিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টার্ন গ্যাং-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। আইনস্টাইন ৫০ শব্দের ওই চিঠিতে লেখেন—
জনাব,
যখন ফিলিস্তিনে আমাদের ওপর কোনো সত্যিকারের এবং চূড়ান্ত বিপর্যয় নেমে আসবে, তখন সেটির জন্য প্রথমে দায়ী হবে ব্রিটিশরা এবং দ্বিতীয়ত দায়ী হবে আমাদের নিজস্ব স্তর থেকে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। আমি এই বিভ্রান্ত এবং অপরাধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কারও সঙ্গে যুক্ত থাকতে রাজি নই।
আপনার বিশ্বস্ত,
আলবার্ট আইনস্টাইন।
পরে এই চিঠির সত্যতা বিচার করে নিলামে বিক্রি হয় এবং বহু গবেষক এটিকে আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর ভাষায় লেখা ‘অ্যান্টি-জায়োনিস্ট’ বার্তা হিসেবে বর্ণনা করেন।
তবে আইনস্টাইন সব সময় এমন ছিলেন না। ১৯২৯ সালে ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ানকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি ফিলিস্তিনে ইহুদির রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা ইহুদিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি সেই চিঠিতে বলেন, ‘চমৎকার নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণসম্পন্ন তরুণ-তরুণী; যারা খালি হাতে সড়ক নির্মাণ করছে, পরিত্যক্ত মাটিকে কৃষিতে রূপ দিচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। কোনো সচেতন ব্যক্তি ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অসাধারণ সাফল্য এবং তাঁদের একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না।’
আইনস্টাইনের এই ধারণা গড়ে উঠেছিল ১৯২৩ সালে ১২ দিনের ফিলিস্তিন সফরের সময়। তিনি সেখানে হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেন। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম ও শেষ মধ্যপ্রাচ্য সফর।
সারা জীবন শান্তিবাদী আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘ম্যানিফেস্টো টু দ্য ইউরোপিয়ানস’ শীর্ষক ইশতেহার লিখেছিলেন। এই ইশতেহারে সমস্ত রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে ইউরোপে শান্তির আহ্বান জানানো হয়। সম্ভবত এ কারণেই তিনি কখনো ইসরায়েল সফর করেননি। কারণ, রাষ্ট্রটি অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তের ওপর গঠিত।
এরপর ফিলিস্তিনে দেইর ইয়াসিন গণহত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। আইনস্টাইন যেই ইহুদি সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করতেন, আজকের গাজা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে আবারও নির্বিচারে হামলা চালানো হচ্ছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলে চারবার সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, তবে একটিও স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে পারেনি। নেতানিয়াহুর একমাত্র অস্ত্র হলো—ইসরায়েলি ইহুদিদের নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিকে ব্যবহার করা। ফিলিস্তিনি ‘সন্ত্রাসীদের’ হাত থেকে ইসরায়েলকে ‘রক্ষা’ করার যোগ্য ‘শক্তিশালী নেতা’ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে তিনি মরিয়া।
নেতানিয়াহুর শাসনামলেই পাস হয়েছে বিতর্কিত ‘ইহুদি জাতি-রাষ্ট্র আইন’। অথচ ইসরায়েলকে একটি ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পূর্ববর্তী নেতারা।
আইনস্টাইনের মতো অনেক ইহুদি আজ এই রাষ্ট্রের রাজনীতি ও নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। অনেকে বলছেন, হেরুত দলের নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দর্শনের ছায়া আজকের লিকুদ পার্টি ও অন্য ডানপন্থী দল ও সংগঠনের ওপর দৃশ্যমান।
আইনস্টাইন সম্ভবত আগেই বুঝেছিলেন, সশস্ত্র চরমপন্থীদের নেতৃত্বে গঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্র দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকতে পারবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আরও খবর পড়ুন:

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
এর আগে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মার্কিন হুমকি অগ্রাহ্য করে বলেছিলেন, ‘এই ভূমিকে কেউ ছুঁতে পারবে না।’ ফলে, এই আশঙ্কা দানা বাঁধছে যে, ভেনেজুয়েলা কি তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রণক্ষেত্র হতে যাচ্ছে!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে চলমান অভিযানে এবার দেশটির স্থলভাগে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ সাগরে সীমিত থাকা হামলাকে এবার স্থলভাগে বিস্তৃত করতে চলেছেন ট্রাম্প— এই বিষয়টিরই স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই বক্তব্যকে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দেন কংগ্রেসকে আসন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করতে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে কিছু না বললেও তিনি ইঙ্গিত দেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ভেনেজুয়েলাভিত্তিক তথাকথিত মাদকচক্রের স্থলভাগের অবকাঠামোতেও আঘাত হানতে নির্দেশ দিতে পারেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ এরপর হেগসেথের দিকে ফিরে তিনি যোগ করেন, ‘পিট, তুমি কংগ্রেসে যাও, তাদের এটা জানাও। তারা কী করবে? বলবে—আমরা চাই না যে আমাদের দেশে মাদক ঢোকা বন্ধ হোক?’
ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলভাগের মাদকচক্রের জন্য এটা হবে আরও বিপজ্জনক। খুব শিগগিরই আপনারা সেটা দেখবেন। এভাবেই ব্যাপারটা এগোচ্ছে।’
স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার উত্তেজনা আরও বাড়বে। গত সেপ্টেম্বরেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ১৫ হাজার সেনা মোতায়েনের পর আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে অনির্দিষ্টকাল মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নৌ-হামলার প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি মাদকচক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটার প্রয়োজন দেখছি না। আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে—ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব, তারা লাশ হবে, একেবারে লাশ।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে দুই দশক যুদ্ধ চালিয়েছে। ইরাকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ আছে—এই অভিযোগে হামলা চালিয়েছিল। এবার ভেনেজুয়েলার তথাকথিত মাদকচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে দেশটিতে হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক মাদুরোকে প্রশ্ন করেন, মার্কিন ‘মেরিন বাহিনী এসে আপনার সরকার পতন ঘটাবে’–এমন শঙ্কা নিয়ে তাঁর মত কী। জবাবে মাদুরো বলেন, ভেনেজুয়েলার ৯০ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হুমকি প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেনেজুয়েলাবাসী আমাদের আইন মেনে চলি, এই ভূমিকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।’
মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের মাদক পাচারের অভিযোগও নাকচ করেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশী কলম্বিয়ার মতো ভেনেজুয়েলায় কোকো চাষ বা কোকেন উৎপাদন নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তারা এখন ধ্বংস করতে চাওয়া দেশগুলোকে আর কমিউনিস্ট বলে না। সোভিয়েত আমলে সেটাই ছিল অভিযোগ। পরে তারা ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়াকে সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করেছিল। এখন নতুন অদ্ভুত অভিযোগ হলো— মাদক পাচার।’
এ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে প্রায় ছয়টি নৌকায় হামলা চালিয়েছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এসব হামলার পর ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন জল্পনাও বাড়ছে।
কিছুদিন আগে, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকায় আঘাত হানে। এর ফলে, বিমান হামলার ক্ষেত্র ক্যারিবীয় সাগর ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মাদুরো সরকার তাদের কারাগার খালি করে বন্দীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে এবং উত্তরমুখী মাদক চোরাচালানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
এর আগে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মার্কিন হুমকি অগ্রাহ্য করে বলেছিলেন, ‘এই ভূমিকে কেউ ছুঁতে পারবে না।’ ফলে, এই আশঙ্কা দানা বাঁধছে যে, ভেনেজুয়েলা কি তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রণক্ষেত্র হতে যাচ্ছে!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে চলমান অভিযানে এবার দেশটির স্থলভাগে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ সাগরে সীমিত থাকা হামলাকে এবার স্থলভাগে বিস্তৃত করতে চলেছেন ট্রাম্প— এই বিষয়টিরই স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই বক্তব্যকে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দেন কংগ্রেসকে আসন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করতে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে কিছু না বললেও তিনি ইঙ্গিত দেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ভেনেজুয়েলাভিত্তিক তথাকথিত মাদকচক্রের স্থলভাগের অবকাঠামোতেও আঘাত হানতে নির্দেশ দিতে পারেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ এরপর হেগসেথের দিকে ফিরে তিনি যোগ করেন, ‘পিট, তুমি কংগ্রেসে যাও, তাদের এটা জানাও। তারা কী করবে? বলবে—আমরা চাই না যে আমাদের দেশে মাদক ঢোকা বন্ধ হোক?’
ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলভাগের মাদকচক্রের জন্য এটা হবে আরও বিপজ্জনক। খুব শিগগিরই আপনারা সেটা দেখবেন। এভাবেই ব্যাপারটা এগোচ্ছে।’
স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার উত্তেজনা আরও বাড়বে। গত সেপ্টেম্বরেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ১৫ হাজার সেনা মোতায়েনের পর আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে অনির্দিষ্টকাল মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নৌ-হামলার প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি মাদকচক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটার প্রয়োজন দেখছি না। আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে—ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব, তারা লাশ হবে, একেবারে লাশ।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে দুই দশক যুদ্ধ চালিয়েছে। ইরাকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ আছে—এই অভিযোগে হামলা চালিয়েছিল। এবার ভেনেজুয়েলার তথাকথিত মাদকচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে দেশটিতে হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক মাদুরোকে প্রশ্ন করেন, মার্কিন ‘মেরিন বাহিনী এসে আপনার সরকার পতন ঘটাবে’–এমন শঙ্কা নিয়ে তাঁর মত কী। জবাবে মাদুরো বলেন, ভেনেজুয়েলার ৯০ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হুমকি প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেনেজুয়েলাবাসী আমাদের আইন মেনে চলি, এই ভূমিকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।’
মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের মাদক পাচারের অভিযোগও নাকচ করেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশী কলম্বিয়ার মতো ভেনেজুয়েলায় কোকো চাষ বা কোকেন উৎপাদন নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তারা এখন ধ্বংস করতে চাওয়া দেশগুলোকে আর কমিউনিস্ট বলে না। সোভিয়েত আমলে সেটাই ছিল অভিযোগ। পরে তারা ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়াকে সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করেছিল। এখন নতুন অদ্ভুত অভিযোগ হলো— মাদক পাচার।’
এ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে প্রায় ছয়টি নৌকায় হামলা চালিয়েছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এসব হামলার পর ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন জল্পনাও বাড়ছে।
কিছুদিন আগে, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকায় আঘাত হানে। এর ফলে, বিমান হামলার ক্ষেত্র ক্যারিবীয় সাগর ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মাদুরো সরকার তাদের কারাগার খালি করে বন্দীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে এবং উত্তরমুখী মাদক চোরাচালানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাসটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক ৪৪ (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন পুরো বাসটিকে গ্রাস করে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হয়। যারা জানালা ভাঙতে পেরেছে, তারাই বেঁচে আছে।’
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়। এফএসএল দল এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে, কেউ বাসের ভেতরে আটকে আছে কি না তা জানতে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সরকারি হাসপাতালে ১১ জন যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছে, আর তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে এবং নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে অভিযান চলছে।
নান্দিয়ালের সংসদ সদস্য বাইরেড্ডি শাবরী বলেন, ‘বাসটি দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী আমাদের জানিয়েছেন, তিনি বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন এবং উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মরদেহ এতটা দগ্ধ হয়েছে যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, ‘বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে এই বাস সংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাসটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক ৪৪ (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন পুরো বাসটিকে গ্রাস করে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হয়। যারা জানালা ভাঙতে পেরেছে, তারাই বেঁচে আছে।’
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়। এফএসএল দল এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে, কেউ বাসের ভেতরে আটকে আছে কি না তা জানতে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সরকারি হাসপাতালে ১১ জন যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছে, আর তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে এবং নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে অভিযান চলছে।
নান্দিয়ালের সংসদ সদস্য বাইরেড্ডি শাবরী বলেন, ‘বাসটি দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী আমাদের জানিয়েছেন, তিনি বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন এবং উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মরদেহ এতটা দগ্ধ হয়েছে যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, ‘বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে এই বাস সংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট, লুকঅয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকঅয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’, যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না’। তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’ বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক’।
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে’। তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো’।
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল “শান্তিদূত” এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭-এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা তিন বছর ধরে এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট, লুকঅয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকঅয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’, যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না’। তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’ বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক’।
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে’। তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো’।
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল “শান্তিদূত” এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭-এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা তিন বছর ধরে এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
৪ ঘণ্টা আগে