Ajker Patrika

সাধের গোঁফের কারণে চাকরি হারাতে বসেছেন এক কনস্টেবল

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

তাঁর গোঁফের কাটিংটা ব্যতিক্রম। বড় কর্তাদের সেটি ভালো লাগেনি। তাঁদের ভাষায় সেই ‘অদ্ভুত’ ‘কুৎসিত’ গোঁফ কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই গর্বের ধন ছেঁটে ফেলতে রাজি হননি তিনি। 

শেষ পর্যন্ত সাধের গোঁফের কারণে চাকরিটাই হারাতে বসেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের এক পুলিশ কনস্টেবল। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র নন কনস্টেবল রাকেশ রানা। একটা চাকরির জন্য নিজের পছন্দকে বিসর্জন দেবেন না। তাছাড়া এই গোঁফ তাঁর গর্বের বিষয়।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, কনস্টেবল রাকেশ রানা মধ্যপ্রদেশ পুলিশের পরিবহন বিভাগে চালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁর কর্মদক্ষতা নিয়ে বিভাগ থেকে কখনো অভিযোগ আসেনি। কিন্তু ভারতীয় বিমানবাহিনীর আলোচিত উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মতো করে কাটা গোঁফ নিয়েই বড় কর্তাদের আপত্তি। তাঁদের মতে, এই ধরনের গোঁফ অন্য কর্মীদের ওপর প্রভাব ফেলছে। গোঁফ কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।

কিন্তু রাকেশ রানা বলেন, ‘আমি রাজপুত। আমার গোঁফ আমার গর্ব।’

রাকেশকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া সহকারী মহাপরিদর্শক প্রশান্ত শর্মা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, চেহারা সুরত নিয়ে সিনিয়রদের নির্দেশনা না মানার কারণেই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রশান্ত শর্মা বলেন, ‘তাঁর চুল বড়, গোঁফ গলা পর্যন্ত চিকন করে কাটা। এই ধরনের কাটিংয়ের কারণে তাঁকে দেখতে বাজে লাগছিল। তাই কেটে ফেলতে বলা হয়। কিন্তু তিনি নির্দেশনা মানেননি।’

তবে রাকেশ রানা বলছেন, তিনি সঠিকভাবে ইউনিফর্ম পরার ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকেন। কোথাও যেন ত্রুটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখেন। কিন্তু গোঁফের ব্যাপারে কোনো ছাড় দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, বহু দিন ধরেই তিনি এভাবে গোঁফ রাখছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত