Ajker Patrika

নেপাল-ভুটানসহ বিদেশে ১০ গিগাওয়াট জলবিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা আদানির

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১: ১৯
Thumbnail image

প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটানসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে সর্বমোট ১০ গিগাওয়াট সক্ষমতার জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির মহাপরিকল্পনা করছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে। 

চাল থেকে সিমেন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির ব্যবসা। ২০২২ সালে পশ্চিম ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরশক্তি পার্ক স্থাপনসহ পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতার জন্য পরবর্তী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় তাঁর কোম্পানি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, নেপাল, ভুটান, কেনিয়া, তানজানিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের মতো দেশে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য তথ্য অনুসন্ধান করছে আদানি। 

ভারতেই পাম্পড হাইড্রো স্টোরেজ (পিএইচএস) তৈরিতে অধিক আগ্রহী আদানি। তবে অনুকূল ভূসংস্থান ও চাহিদাসম্পন্ন দেশেও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। 

নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনকারী সংস্থা আদানি গ্রিন এনার্জির মাধ্যমে ১১ দশমিক ২০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালনা করছে আদানি গ্রুপ। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এই সক্ষমতা বাড়িয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ গিগাওয়াট করতে চায় এই শিল্পগোষ্ঠী। 

প্রতিবেনে রয়টার্স বলেছে, এই প্রকল্প আদানিকে ২০২৫ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আদানি গ্রুপের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি । 

রয়টার্সের সূত্র আরও জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। বেশিরভাগ সরকার ও ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আদানি।

ভুটানের ছুখা প্রদেশে ৫৭০ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে গত জুন মাসে ঘোষণা করেন গৌতম আদানি।

রয়টার্সের দুটি সূত্র জানায়, ভুটানের চামকারচুতে ৭০০ মেগাওয়াটের আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারেও পর্যালোচনা করছে আদানি। প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। 

সূত্র আরও জানিয়েছে, এরইমধ্যে নেপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অনুমোদিত ডেভেলপারদের সঙ্গে আলোচনা করছে। নেপাল ও ভুটানে নির্মিত এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ভারতেও সরবরাহ করা হতে পারে। 

জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে সামনের দিনে ভারতের বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। 

কেনিয়া, তানজানিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে আদানির ব্যবসায়িক স্বার্থ এরই মধ্যে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে সূত্রের ভাষ্য। এসব দেশে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্থান নির্ধারণ এবং একাধিক সম্ভাব্যতা যাচাই এবং বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদনে কাজ করছে। 

নেপাল, ভুটান, কেনিয়া, তানজানিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের কর্তৃপক্ষ রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। 

আদানি কেনিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইজারা এবং পরিচালনার জন্য ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভিয়েতনামে সমুদ্রবন্দর এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে আদানি।

এই বছরের শুরুর দিকে তানজানিয়ার সঙ্গে ৩০ বছরের একটি ছাড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আদানি গ্রুপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত