Ajker Patrika

পাকিস্তান থেকে মাদক নিয়ে ড্রোন উড়ে আসছে ভারতে, বিএসএফের অভিযোগ

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭: ৪৩
পাকিস্তান থেকে মাদক নিয়ে ড্রোন উড়ে আসছে ভারতে, বিএসএফের অভিযোগ

ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে মাদক বহনকারী ড্রোন উড়ে আসছে ভারতে। পাকিস্তানের এই ‘নজিরবিহীন ড্রোন হুমকির’ কারণে পাঞ্জাব রাজ্যে মাদকের সংকট বাড়ছে। সে সঙ্গে দেখা দিয়েছে গুরুতর নিরাপত্তা সমস্যা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ খবর।

সীমান্ত রাজ্য পাঞ্জাবের বিএসএফ কর্মকর্তারা গার্ডিয়ানকে বলেছেন যে,২০২৩ সালে তারা এ পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে আসা ৯০টি ড্রোন আটক করেছে। এর আগে কখনোই পাকিস্তানের এত ড্রোন আটক করেনি তারা। প্রতি মাসে এই সংখ্যা বাড়ছে। তারা বলেন, বেশির ভাগ ড্রোনেই থাকে আফিম এবং হেরোইনের চালান। এসব মাদক আফগানিস্তান থেকে আসে বলে ধারণা তাদের। কিছু ক্ষেত্রে পিস্তল এবং চীনে তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো অস্ত্রও পাওয়া যায়।

‘হেক্সাকপ্টার’ নামে পরিচিত এই ড্রোনগুলোতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা সংযুক্ত রয়েছে। ভারত সীমান্তের ১২ কিলোমিটার দূরেও এই ড্রোনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছোট বস্তা বা কোকাকোলার বোতলে মাদক বহন করা হয়।

পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে রয়েছে বৈরিতার দীর্ঘ ইতিহাস। ভারত-পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে চারটি যুদ্ধ করেছে। এ প্রেক্ষিতে, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে পাকিস্তান থেকে প্রবেশ করা ড্রোনের সংখ্যা কেবল বাড়তে থাকাকে দেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএসএফ কর্মকর্তারা।

পাঞ্জাবে বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল অতুল ফুলজেলে বলেন, ‘ভারতে বৈধ প্রবেশাধিকার নেই এমন যেকোনো কিছুই আমাদের নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ। মাদক বহন ছাড়াও বেশ কয়েকবারই আমরা ড্রোন থেকে অস্ত্র ফেলতে দেখেছি। এতে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।’

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গত কয়েক দশক ধরেই চোরাচালান হয়ে আসছে। সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়েও চলছে এই তৎপরতা। উট, কবুতর থেকে শুরু করে মানব পাচারকারী এমনকি, ভূগর্ভস্থ পাইপের ভেতর দিয়েও মাদক এবং অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান হচ্ছে এই সীমান্ত দিয়ে। ২০১৯ সালে পাঞ্জাবে প্রথম ড্রোন দেখা গিয়েছিল। বিএসএফ কর্মকর্তারা বলেন, এরপর থেকে ড্রোনগুলোই পাকিস্তান থেকে মাদক পাচারের প্রধান পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। কিছু সপ্তাহে পাঁচ বা ছয়টি ড্রোনও আটকানো হয়েছে।

বিএসএফ বলেছে, ২০২৩ সালে পাঞ্জাব রাজ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ মাদক চোরাচালানের জন্য দায়ী ছিল ড্রোন। এতে ভারতের সীমান্ত রক্ষার চ্যালেঞ্জেও নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। অতুল ফুলজেলে বলেন, ‘আমরা আগে কেবল মাটির দিকেই নজর রাখতাম। কিন্তু এই ড্রোন আমাদের কাছে নতুন এক চ্যালেঞ্জ। তবে আমাদের বিশ্বাস, আগামী বছরের মধ্যে এই হুমকিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব।’

পাকিস্তান সীমান্ত রক্ষীদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই বলে জানান এক বিএসএফ কর্মকর্তা। তবে যে মাত্রায় ভারতে ড্রোন প্রবেশ করছে তাতে সেই কর্মকর্তার ধারণা, পাকিস্তান সীমান্ত রক্ষীরা এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। ড্রোন প্রযুক্তি সস্তা এবং কেনা সহজ হওয়ায় এই সমস্যা আরও গাঢ় হচ্ছে। বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের আটক করা বেশির ভাগ ড্রোন চীনে তৈরি।

পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী প্রতিটি গ্রাম এবং রাজস্থানেও এই ঘটনা ঘটছে বলে জানান এক বিএসএফ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ড্রোনের ওপর নজর রাখার জন্য আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। কখনো গুলি করে, কখনো ড্রোন বিধ্বংসী প্রযুক্তি ব্যবহার করি। এ ছাড়া, আমাদের হাতে এমন প্রযুক্তিও আছে যার মাধ্যমে ড্রোন নিক্ষিপ্ত হওয়ার স্থান শনাক্ত করা সম্ভব।’

তবে এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে বলে জানায় বিএসএফ। আগে শব্দ বা আলো থেকে ড্রোন শনাক্ত করা যেত। এখন প্রায় ১ কিলোমিটার উঁচু থেকে বা প্রায় নীরবে নিক্ষিপ্ত হওয়া ড্রোনকে শনাক্ত করা বেশ কঠিন বলে জানায় বিএসএফ। শীতের শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা বাড়ায় ড্রোন শনাক্ত করা আরও কঠিন হচ্ছে তাদের কাছে।

পাঞ্জাবের আটারির কাছে বসবাসকারী ৬০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নির্মল সিং বলেন, ‘আমরা এতে খুব ভীত। আমাদের আশঙ্কা আছে যে, কেবল মাদক বহন করেই এই ড্রোনগুলো থামবে না। অস্ত্র বা বিস্ফোরক পাঠিয়ে এখানে সহজেই সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ-জাপাকে ভোটের বাইরে রাখলে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে: শামীম পাটোয়ারী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চুক্তি ভেঙে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল, চালাচ্ছে হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসরায়েলি আগ্রাসনে তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে গাজাবাসী। তারপরও ত্রাণের আশায় বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই ভিড় করে থাকে ফিলিস্তিনি শিশুরা। ছবি: আনাদোলু
ইসরায়েলি আগ্রাসনে তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে গাজাবাসী। তারপরও ত্রাণের আশায় বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই ভিড় করে থাকে ফিলিস্তিনি শিশুরা। ছবি: আনাদোলু

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত চুক্তিতে নির্ধারিত মানবিক সহায়তার খুব অল্প অংশই গাজায় ঢুকতে দিয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, চুক্তিতে প্রতিশ্রুত পরিমাণের খুব সামান্য অংশ ত্রাণই গাজায় ঢুকতে দিয়েছে ইসরায়েল।

গাজার সরকারি জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ, গড়ে দিনে ১৪৫টি ট্রাক ঢুকতে পেরেছে। অথচ, চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০টি ট্রাক প্রবেশের কথা ছিল। অর্থাৎ মাত্র ২৪ শতাংশ সহায়তাই গাজায় ঢুকেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এই বাধার কঠোর নিন্দা জানাই। ২৪ লাখের বেশি মানুষের ওপর যে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে, তার পূর্ণ দায় ইসরায়েলের।’ গাজার কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্য মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মানবিক সহায়তা বিনা শর্তে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

যুদ্ধবিরতির পর ত্রাণের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও গাজার মানুষ এখনো খাদ্য, পানি, ওষুধসহ জরুরি জিনিসের তীব্র সংকটে ভুগছে। অনেক পরিবার এখনো আশ্রয়হীন। তাদের বাড়িঘর ও মহল্লা ইসরায়েলের দুই বছরের ধারাবাহিক হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক বৃহস্পতিবার জানান, ইসরায়েলের নির্দেশে ত্রাণবাহী কনভয়ের রুট পরিবর্তনের কারণে সহায়তা বিতরণ সীমিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন সব কনভয়কে মিসরের সীমান্তঘেঁষা ফিলাডেলফি করিডর দিয়ে যেতে হচ্ছে, তারপর সংকীর্ণ উপকূলীয় সড়ক ধরে গাজায় ঢুকতে হচ্ছে। এই সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত ও অতিরিক্ত ভিড়ে ঠাসা।’

জাতিসংঘ বলেছে, ত্রাণ কার্যক্রম বাড়াতে নতুন প্রবেশপথ ও অভ্যন্তরীণ রুট দরকার। অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইসরায়েলি সেনারা গাজাজুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও কামান দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় গোলাবর্ষণ করে। উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পূর্বে বেশ কিছু আবাসিক ভবনও ধ্বংস করেছে।

আল–জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানান, খান ইউনিসে প্রত্যক্ষদর্শীরা ‘নিরবচ্ছিন্ন ভারী গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার’ কথা বলেছেন, যা এখনো বসতবাড়ি ও কৃষিজমিতে চলছে। তিনি আরও জানান, গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি ড্রোনের কারণে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫৯৪ জন।

ইসরায়েলি নেতারা বলছে, হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, কারণ তারা সব মৃত ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ ফেরত দেয়নি। হামাসের দাবি, গাজার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও ইসরায়েলের বাধার কারণে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ জটিল হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি জানিয়েছে, তারা হামাসের কাছ থেকে পাওয়া তিনজনের মরদেহ ইসরায়েলে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, পরীক্ষায় দেখা গেছে এই মরদেহগুলো অবশিষ্ট ১১ জন মৃত ইসরায়েলি বন্দীর মধ্যে কারও নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ-জাপাকে ভোটের বাইরে রাখলে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে: শামীম পাটোয়ারী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২২
এপেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি। ছবি: এএফপি
এপেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি। ছবি: এএফপি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষোভের কারণ হওয়া একটি শুল্কবিরোধী বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। এই বিজ্ঞাপন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করেছিল।

আজ শনিবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলন শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে কার্নি বলেন, ‘কানাডার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দর-কষাকষির জন্য আমিই দায়ী।’

অন্টারিও রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে কার্নি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। প্রেসিডেন্ট এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।’

কার্নি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য আমিই দায়ী এবং মার্কিন সরকারের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য ফেডারেল সরকার দায়ী। কিছু ঘটনা ঘটে, কিন্তু ভালো-মন্দ উভয়ই আমাদের মেনে নিতে হয়। আমি এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছি।’

বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছিল কানাডার অন্টারিও রাজ্য সরকার। এতে ১৯৮০-এর দশকের একটি ভাষণ ব্যবহার করা হয়, যেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান সতর্ক করেছিলেন, শুল্কনীতি ‘তীব্র বাণিজ্যযুদ্ধ’ ও বেকারত্ব ডেকে আনতে পারে।

এই বিজ্ঞাপন প্রচারের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে, বিজ্ঞাপনটিতে রিগ্যানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তা ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে চলমান মামলার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ওয়াশিংটন আরও অভিযোগ করে, বিজ্ঞাপনটি ‘ভুলভাবে রিগ্যানকে শুল্কবিরোধী হিসেবে দেখিয়েছে’, অথচ ট্রাম্পের দাবি, ‘রিগ্যান আসলে শুল্কের পক্ষে ছিলেন।’

বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে না নেওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করে এবং কানাডার পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে কানাডার পণ্যের ওপর মোট মার্কিন শুল্ক দাঁড়ায় ৩৫ শতাংশ।

গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার সঙ্গে কার্নির সম্পর্ক খুব ভালো, আমি তাঁকে পছন্দ করি, কিন্তু তারা যা করেছে, তা ভুল ছিল। বিজ্ঞাপনটি ভুয়া ছিল। রিগ্যান আসলে শুল্ক সমর্থন করতেন, আর তারা সেটিকে উল্টোভাবে দেখিয়েছে।’

যদিও অন্টারিওর ওই বিজ্ঞাপনে রিগ্যানের ভাষণের বাস্তব অংশই ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে কথাগুলো মূল বক্তব্য থেকে একটু ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ-জাপাকে ভোটের বাইরে রাখলে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে: শামীম পাটোয়ারী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৫ মাস কয়েন তৈরি বন্ধ, পেনি সংকটে মার্কিন ব্যবসায়ীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রেজারি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি পেনি তৈরি করতে সরকারের খরচ ৩.৬৯ সেন্ট—অর্থাৎ কয়েনটির মুখ্য মূল্যের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ছবি: সংগৃহীত
ট্রেজারি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি পেনি তৈরি করতে সরকারের খরচ ৩.৬৯ সেন্ট—অর্থাৎ কয়েনটির মুখ্য মূল্যের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এক সেন্ট মূল্যের কয়েন ‘পেনি’ তৈরি বন্ধ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তৈরি হয়েছে খুচরা পয়সার সংকট। এতে জটিলতায় পড়েছে গ্যাস স্টেশন, ফাস্ট ফুড চেইন, সুপারস্টোরসহ সব খুচরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নগদ লেনদেনে বাধ্য হয়ে অনেক দোকানে এখন দাম ‘রাউন্ড ফিগার’ করে নিতে হচ্ছে; যা সাধারণ ক্রেতাদের অসন্তোষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে চলতি বছর বন্ধ হয়েছে পেনি তৈরি। কিন্তু কীভাবে নগদ লেনদেনে সমন্বয় করা হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি সরকার বা কংগ্রেস। ফলে বহু ব্যবসায়ী এখন বাধ্য হয়ে ক্রেতার সুবিধার জন্য নিচের দিকের টাকায় ‘রাউন্ড ডাউন’ করছেন অর্থাৎ কম দাম রাখছেন; যাতে উচ্চ বিক্রির খাতে বড় অঙ্কের ক্ষতি হচ্ছে। যেমন কোনো পণ্যের দাম ১২.৯৯ টাকা, সেটা ১২ টাকা রাখতে হচ্ছে।

ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (এনআরএফ) জানিয়েছে, শহর-গ্রামনির্বিশেষে পেনির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোথাও সামঞ্জস্য নেই। সংগঠনটির সরকারি সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ডিলান জিওন বলেন, ‘যেকোনো ব্যবসায় যারা নগদ গ্রহণ করে, তারা এখন বড় সমস্যায় পড়েছে। ‘রাউন্ড ডাউন’ করার কারণে বেশির ভাগ পণ্য কম মূল্য রাখতে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

পেনসিলভানিয়ার শিটজ নামের একটি ফ্যামিলি-চেইন কনভেনিয়েন্স স্টোর ইতিমধ্যে তাদের দোকানে নোটিশ টাঙিয়েছে, ‘দেশে আর পেনি তৈরি হচ্ছে না, তাই খুচরা কম!’ সেখানে গ্রাহকদের কার্ড বা ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ চাইলে অতিরিক্ত পেনি জমা দিয়ে বিনা মূল্যে পানীয়ও নিতে পারছেন।

উইসকনসিনভিত্তিক কুইক ট্রিপ জানিয়েছে, তাদের ৮৫০টি দোকানে নগদ লেনদেনে এখন থেকে দাম নিচের দিকের পাঁচ সেন্টে রাউন্ড করা হবে। টেক্সাসের ডালাসের এক দোকানে ঝোলানো নোটিশে দেখা যায়, ‘আমরা পেনির ঘাটতির মুখে, তাই খুচরা না-ও পেতে পারেন।’

বৃহৎ সুপারস্টোর ক্রোগার জানিয়েছে, তারা এখনো প্রভাব মূল্যায়ন করছে। এরই মধ্যে বহু শাখায় ক্রেতাদের ‘এক্সাক্ট চেঞ্জ’ বা সঠিক দাম দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ভার্জিনিয়ার এক সিভিএস ফার্মেসিতেও এমন নোটিশ ঝোলানো আছে।

এদিকে, দেশে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গেলেও মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড আগেই তাদের সবচেয়ে কম মূল্যের কয়েন তুলে দিয়েছে। ওই সব দেশে এখন নগদ লেনদেন নিকটবর্তী পাঁচ সেন্টে রাউন্ড করা হয়, তবে ইলেকট্রনিক পেমেন্টে সঠিক মূল্যই থাকে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রেও এমন ব্যবস্থা কার্যকর হলে খরচ বাঁচবে এবং খুচরা অর্থ ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। তবে ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, ইলিনয় প্রভৃতি অঙ্গরাজ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের নগদ লেনদেনে সঠিক খুচরা দিতে হয়, যা এখন নতুন জটিলতা তৈরি করছে।

ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (এনআরএফ) ও অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠন ট্রাম্প প্রশাসন ও কংগ্রেসের কাছে এ বিষয়ে অভিন্ন নির্দেশিকা চেয়েছে—লেনদেনে রাউন্ডিংয়ের নিয়ম কী হবে, তা নির্দিষ্ট করতে। এনআরএফ কর্মকর্তা জিওন বলেন, ‘সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো স্পষ্টতা—দোকানিরা কি ওপরের দিকে রাউন্ড করতে পারবেন, নাকি নিচে? অল্প হলেও তাঁরা কি কম দামে পণ্য বিক্রি করবেন?’

এক যৌথ চিঠিতে গ্যাস স্টেশন, গ্রোসারি, ভ্রমণকেন্দ্রসহ একাধিক সংগঠন কংগ্রেসকে সতর্ক করেছে, ‘যদি দ্রুত নির্দেশনা না দেওয়া হয়, তবে দেশের বহু এলাকায় বৈধ নগদ লেনদেনই অসম্ভব হয়ে পড়বে।’

৬৪০টির বেশি শাখা পরিচালনাকারী লাভস ট্রাভেল স্টপস জানিয়েছে, তাদের দোকানেও সংকট শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘যখন কোনো দোকানে পেনি ফুরিয়ে যায়, তখন লেনদেনের বাকি টাকাটা ক্রেতার পক্ষে সামঞ্জস্য করা হয়, অর্থাৎ কোম্পানি পার্থক্যটা মেটায়।’

ট্রাম্পের নির্দেশের পর গত মে মাসে ট্রেজারি বিভাগ শেষ ব্যাচ পেনি তৈরির অর্ডার দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোকে পেনি সরবরাহ বন্ধ করেছে।

ট্রেজারি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি পেনি তৈরি করতে সরকারের খরচ ৩.৬৯ সেন্ট; অর্থাৎ কয়েনটির মুখ্য মূল্যের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ফলে পেনি তৈরি বন্ধে বছরে প্রায় ৫৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

এদিকে পেনি সংকট নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলছেন, পেনি বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখে। এ ছাড়া এটি দাতব্য সংস্থার তহবিলের প্রধান উৎস। আবার অনেকে মনে করেন, এটি অপ্রয়োজনীয় বোঝা, যা বেশির ভাগ সময় ড্রয়ার, গাড়ির ছাইদানি বা মাটির ব্যাংকে পড়ে থাকে। পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা স্যান্ডি বার্গার বলেন, ‘আমি বলতে পারব না, শেষ কবে পেনি নিয়ে বাইরে গিয়েছি। সত্যি বলতে, এগুলো হারালে কেউ বিশেষ কিছু মনে করবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ-জাপাকে ভোটের বাইরে রাখলে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে: শামীম পাটোয়ারী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘তামাকমুক্ত প্রজন্ম’ যুগে মালদ্বীপ, ২০০৭ থেকে জন্ম নেওয়াদের ধূমপান নিষিদ্ধ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩২
মালদ্বীপে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া কোনো ব্যক্তি এখন থেকে আর ধূমপান করতে পারবেন না। ছবি: এএফপি
মালদ্বীপে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া কোনো ব্যক্তি এখন থেকে আর ধূমপান করতে পারবেন না। ছবি: এএফপি

বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে ধূমপানের ওপর ‘প্রজন্মগত নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে মালদ্বীপ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া কোনো ব্যক্তি এখন থেকে আর ধূমপান করতে পারবেন না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা আজ (১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও একটি তামাকমুক্ত প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।’

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নতুন বিধান অনুযায়ী, মালদ্বীপের অভ্যন্তরে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া কোনো ব্যক্তির তামাকজাত পণ্য কেনা, ব্যবহার করা বা তাদের কাছে বিক্রি করা নিষিদ্ধ।

এই নিষেধাজ্ঞা সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং বিক্রেতাদের বিক্রির আগে অবশ্যই বয়স যাচাই করতে হবে।

ভারত মহাসাগরের প্রায় ৮০০ কিলোমিটারজুড়ে (৫০০ মাইল) ছড়িয়ে থাকা ১ হাজার ১৯১টি ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ। পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এই দেশটির পর্যটকদের জন্যও এই আইন প্রযোজ্য হবে।

মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক সিগারেট এবং ভেপিং পণ্যের আমদানি, বিক্রি, বিতরণ, মজুত এবং ব্যবহারও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

নতুন এই আইন অমান্য করলে কঠোর জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি করলে ৫০ হাজার রুফিয়া (প্রায় ৩,২০০ ডলার) জরিমানা দিতে হবে। ভেপ ডিভাইস বা ই-সিগারেট ব্যবহার করলে ৫ হাজার রুফিয়া (প্রায় ৩২০ ডলার) জরিমানা ধার্য করা হবে।

একই ধরনের প্রজন্মগত নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবিত হয়েছিল যুক্তরাজ্যেও, যা এখনো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, এই ধরনের আইন চালু করা প্রথম দেশ নিউজিল্যান্ড এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ২০২৩ সালের নভেম্বরে তা প্রত্যাহার করে নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ-জাপাকে ভোটের বাইরে রাখলে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে: শামীম পাটোয়ারী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত