অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের স্তাভরোপল শহরে এক বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন একজন প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তা ও উপ-গভর্নর জাউর আলেক্সান্দ্রোভিচ গুরৎসিয়েভ। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে একটি রাস্তার পাশে ঘটে যাওয়া ওই বিস্ফোরণে ২৯ বছর বয়সী গুরৎসিয়েভ এবং আরও এক ব্যক্তি নিহত হন।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটির বিবৃতিতে জানানো হয়—বিস্ফোরণটি একটি হাতে তৈরি বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করে ঘটানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গুরৎসিয়েভ ও অপর এক ব্যক্তি একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর গুরৎসিয়েভ মাটিতে পড়ে যান এবং অন্য ব্যক্তি ধাক্কা খেয়ে পেছনে সরে যান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, নিহত অপর ব্যক্তি কাছাকাছি একটি ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
স্তাভরোপল অঞ্চলের গভর্নর ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের সংশ্লিষ্টতা ও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কাও রয়েছে।’
গুরৎসিয়েভ ছিলেন রাশিয়ার ‘টাইম অব হিরোজ’ কর্মসূচির একজন অংশগ্রহণকারী। এই কর্মসূচি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্যোগে পরিচালিত হয় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সৈনিকদের সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গুরৎসিয়েভের উপ-গভর্নর হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা পুতিন নিজেই দিয়েছিলেন।
‘টাইম অব হিরোজ’ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, গুরৎসিয়েভ ইউক্রেনের মারিউপোল দখল করার অভিযানে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি মিসাইল লক্ষ্যনির্ধারণ প্রযুক্তিতে নিজের কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন। এর ফলে ইউক্রেনের আজভ বাহিনীর রসদ ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো সম্ভব হয়েছিল।
২০২২ সালে ৮৬ দিনব্যাপী ভয়াবহ অবরোধ ও সংঘর্ষের পর মারিউপোল শহরটি রাশিয়ার দখলে যায়। জাতিসংঘের হিসেবে ওই শহরটির প্রায় ৯০ শতাংশ আবাসিক ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া শহরটির ৪ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এক সাক্ষাৎকারে জানান, মারিউপোলে প্রায় ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তবে এই সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, রাশিয়া বেসামরিক হতাহতের প্রমাণ ধামাচাপা দিতে চেয়েছে, যদিও ক্রেমলিন তা অস্বীকার করেছে।
গত এক বছরে রাশিয়ার অভ্যন্তরে বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসেই জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোস্কালিক একটি গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত হন। সেই ঘটনায় একজন ইউক্রেনীয় বিশেষ এজেন্টের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে মস্কো শহরের একটি অভিজাত এলাকায় বোমা হামলায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় রাশিয়ান মিলিশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আরমেন সার্কিসিয়ান নিহত হন। ইউক্রেনের মতে, আরমেন ছিলেন একজন ‘মাস্টারমাইন্ড অপরাধী’।
রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের স্তাভরোপল শহরে এক বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন একজন প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তা ও উপ-গভর্নর জাউর আলেক্সান্দ্রোভিচ গুরৎসিয়েভ। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে একটি রাস্তার পাশে ঘটে যাওয়া ওই বিস্ফোরণে ২৯ বছর বয়সী গুরৎসিয়েভ এবং আরও এক ব্যক্তি নিহত হন।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটির বিবৃতিতে জানানো হয়—বিস্ফোরণটি একটি হাতে তৈরি বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করে ঘটানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গুরৎসিয়েভ ও অপর এক ব্যক্তি একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর গুরৎসিয়েভ মাটিতে পড়ে যান এবং অন্য ব্যক্তি ধাক্কা খেয়ে পেছনে সরে যান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, নিহত অপর ব্যক্তি কাছাকাছি একটি ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
স্তাভরোপল অঞ্চলের গভর্নর ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের সংশ্লিষ্টতা ও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কাও রয়েছে।’
গুরৎসিয়েভ ছিলেন রাশিয়ার ‘টাইম অব হিরোজ’ কর্মসূচির একজন অংশগ্রহণকারী। এই কর্মসূচি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্যোগে পরিচালিত হয় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সৈনিকদের সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গুরৎসিয়েভের উপ-গভর্নর হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা পুতিন নিজেই দিয়েছিলেন।
‘টাইম অব হিরোজ’ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, গুরৎসিয়েভ ইউক্রেনের মারিউপোল দখল করার অভিযানে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি মিসাইল লক্ষ্যনির্ধারণ প্রযুক্তিতে নিজের কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন। এর ফলে ইউক্রেনের আজভ বাহিনীর রসদ ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো সম্ভব হয়েছিল।
২০২২ সালে ৮৬ দিনব্যাপী ভয়াবহ অবরোধ ও সংঘর্ষের পর মারিউপোল শহরটি রাশিয়ার দখলে যায়। জাতিসংঘের হিসেবে ওই শহরটির প্রায় ৯০ শতাংশ আবাসিক ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া শহরটির ৪ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এক সাক্ষাৎকারে জানান, মারিউপোলে প্রায় ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তবে এই সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, রাশিয়া বেসামরিক হতাহতের প্রমাণ ধামাচাপা দিতে চেয়েছে, যদিও ক্রেমলিন তা অস্বীকার করেছে।
গত এক বছরে রাশিয়ার অভ্যন্তরে বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসেই জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোস্কালিক একটি গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত হন। সেই ঘটনায় একজন ইউক্রেনীয় বিশেষ এজেন্টের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে মস্কো শহরের একটি অভিজাত এলাকায় বোমা হামলায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় রাশিয়ান মিলিশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আরমেন সার্কিসিয়ান নিহত হন। ইউক্রেনের মতে, আরমেন ছিলেন একজন ‘মাস্টারমাইন্ড অপরাধী’।
রাশিয়ার উৎপাদিত পণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করাতে চায় মস্কো। আর এ লক্ষ্য মিয়ানমার হয়ে ভারতের ভেতর দিয়ে একটি বাণিজ্য করিডর গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের আলোকে মিয়ানমার ও রাশিয়া ভারতকে এই নতুন প্রকল্পে যুক্ত হতে চাপ দিচ্ছে। একই সঙ্গে, এই করিডরের অন্যতম লক্ষ্য...
২ ঘণ্টা আগেভারত আগামী সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩টি অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার পেতে যাচ্ছে। আগামী ২১ জুলাই ভারত হেলিকপ্টারগুলো হাতে পাবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হতে পারে এসব হেলিকপ্টার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির। গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে পুলিশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগাজার একটি অংশে তথাকথিত ‘মানবিক শহর’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে লাখ লাখ গাজাবাসীকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। অথচ, এই বিষয়ে এখনো কোনো বাস্তবিক পরিকল্পনাই তৈরি হয়নি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে