Ajker Patrika

সেনাবাহিনীর সমালোচনাকারীদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার পথে হাঁটছে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ৪৫
Thumbnail image

সেনাবাহিনীর সমালোচনাকারীদের সম্পত্তি, অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার একটি বিল অনুমোদন করেছেন রাশিয়ার আইনপ্রণেতারা। রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমায় গতকাল বুধবার তিনটি প্রয়োজনীয় রিডিংয়ের প্রথমটিতে ৩৯৫ ভোট দিয়ে আইনপ্রণেতারা বিলটি পাস করেছেন। এই বিলের বিপক্ষে পড়েছে তিনটি ভোট।

কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোডিন বিলটির সহলেখক। তিনি আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, সেনাবাহিনীর সমালোচকদের থামাতে এই ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। স্পিকার বলেন, ‘তারা আরামে বাস করে, সম্পত্তি ভাড়া দেয়, রুশ নাগরিকদের খরচে রয়্যালটি পেতে থাকে। তারা নাৎসি শাসনকে সমর্থন করার জন্য এই তহবিলগুলো ব্যবহার করে।’

ভোলোদিন আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করে, যারা আমাদের নাগরিক, সৈন্য ও অফিসারদের অপমান করাকে সম্ভব বলে মনে করে এবং যারা নাৎসিদের সমর্থন করে—গৃহীত সিদ্ধান্তটি তাদের থামিয়ে দেবে।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরুর পর থেকেই মস্কো আইন করে তার সামরিক অভিযানের যেকোনো ধরনের সমালোচনা নিষিদ্ধ করেছে। আটক করা হয়েছে যুদ্ধের বিরোধিতাকারী হাজার হাজার রাশিয়ানকে। সেনাবাহিনী সম্পর্কে ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে রাশিয়ায় ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

আর ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কে যে তথ্য সরকারি উৎস থেকে আসবে না, সেটাকেই ‘মিথ্যা’ বলে গণ্য করা হতে পারে। এসব আইনের কারণে দীর্ঘ সাজা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন লেখক ও অধিকারকর্মী। এ ছাড়া, কয়েকজন লেখক ‘চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

তবে সর্বশেষ পদক্ষেপের মাধ্যমে রুশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে সমালোচনাকারীদের আরও বেশি শাস্তি নিশ্চিতের পথে হাঁটছে রুশ সরকার। রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রুশদেরও প্রভাবিত করতে পারে এই বিল পাস।

রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে যারা সমালোচনামূলক কথা বলছে তাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আসছে। পাশাপাশি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বানও জানান তারা।

ডানপন্থী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব রাশিয়ার ডেপুটি আন্দ্রে লুগোভয় বলেছেন, ‘মাত্র দুই বছরের মধ্যেই এটি (বিল পাস) করতে পারা আমাদের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।’

রুশ আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ রাখায় ফ্রান্সের নিন্দা করে একটি প্রস্তাব গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউক্রেন সংঘাতে ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত সপ্তাহে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল মস্কো।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ফ্রান্স বলেছে, যুদ্ধে বা অন্য কোথাও তাদের কোনো ভাড়াটে সেনা নেই এবং এই ধরনের দাবি মূলত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার অংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত