Ajker Patrika

রাশিয়াকে বাদ দিয়ে শান্তি আলোচনা করছে সৌদি আরব

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, ১৬: ২১
রাশিয়াকে বাদ দিয়ে শান্তি আলোচনা করছে সৌদি আরব

সৌদি আরব ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগামী মাসের শুরুতে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ভারত-ব্রাজিলসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওয়াশিংটন ও ইউরোপ ইউক্রেনে শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনে জোরালো চেষ্টার মধ্যে এই উদ্যোগ নিল সৌদি আরব।

আলোচনায় কূটনীতিকদের মতে, আগামী ৫ ও ৬ আগস্টের বৈঠকে ৩০টি দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেদ্দায় আসবেন। এই বৈঠকে ইউক্রেনে শান্তি প্রসঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমর্থনের চেষ্টা করা হবে।

ইউক্রেন ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই উদ্যোগ চলতি বছরের শেষের দিকে শীর্ষ শান্তি সম্মেলনে পরিণত হতে পারে, যেখানে বিশ্বনেতারা যুদ্ধের সমাধানে যৌথ নীতিতে একমত হবেন। এসব নীতি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার কাঠামো তৈরি করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোনো পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখল করতে পারেনি। যুদ্ধের এই অচলাবস্থাই আলোচনার সুযোগ এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠিতব্য এই শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না রাশিয়া। ফলে এই বৈঠক আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, সেই সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। 

জুনের শেষ দিকে কোপেনহেগেনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক সমাবেশ থেকে এই বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সমাবেশে ব্রাজিল, ভারত, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকা অংশ নিয়েছিল। ইউক্রেন ও ইউরোপের কয়েকটি প্রধান দেশসহ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও এতে অংশ নিয়েছিলেন। 

জেদ্দা বৈঠকের জন্য সৌদি আরব ও ইউক্রেন ইন্দোনেশিয়া, মিসর, মেক্সিকো, চিলি, জাম্বিয়াসহ ৩০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কতজন অংশগ্রহণ করবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কোপেনহেগেন আলোচনায় অংশ নেওয়া দেশগুলো অংশ নেবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

এদিকে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, পোল্যান্ড ও ইইউ বৈঠকে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। এ বৈঠক আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির মতে, সুলিভানও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বছর হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের বিরুদ্ধে তেলের দাম বাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তোলে। এর পরেই সৌদি আরব ইউক্রেন সংকটের কূটনীতিতে বৃহত্তর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে। দেশটি যুদ্ধবন্দীদের মুক্ত করতে সাহাজ্য করেছে এবং মে মাসে একটি আরব শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাগত জানিয়েছে। 

পশ্চিমা কূটনীতিেকরা বলেছেন, চীনের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্যই সৌদি আরবকে এই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। কারণ, মস্কোর সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। 

রিয়াদ ও বেইজিংয়ের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে চীন সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়তে মধ্যস্থতা করেছিল। এর কয়েক মাস আগে সৌদি আরব এক শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আতিথেয়তা দিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত