অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্য এখন থেকে সম্ভাব্য যেকোনো যুদ্ধের জন্য ‘সর্বদা প্রস্তুত’ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ছয়টি বোমা ও বিস্ফোরক কারখানা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিরক্ষাসচিব জন হিলি আগামীকাল সোমবার (২ জুন) এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কামানের শেল ও বিস্ফোরকের উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে ১৫০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করা হবে। দেশটির সাবেক সামরিক প্রধানদের লেখা ‘প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা’র ভিত্তিতেই এসব পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাজ্যের অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে যে পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম প্রয়োজন, সেটার ঘাটতি রয়েছে। তাদের এই সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটির মন্ত্রীরা একটি ‘কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা’ও প্রকাশ করবেন, যেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে। এই পর্যালোচনার একটি মূল পদক্ষেপ হবে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে ‘সর্বদা প্রস্তুত’ নীতি গ্রহণ করা। অর্থাৎ সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকা এবং সামরিক সরঞ্জামসহ সব ধরনের অস্ত্রে সমৃদ্ধ থাকা।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষাসচিব জন হিলি জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে গিয়ে ব্রিটেনের অস্ত্রের মজুত কমে গেছে। এর আগে দেশটির মন্ত্রীরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করেছিলেন, একটি বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে দেশটির সেনাবাহিনী মাত্র ছয় মাসের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
প্রতিরক্ষাসচিব জন হিলি বলেছেন, ‘পুতিনের ইউক্রেন দখলের আগ্রাসন থেকে পাওয়া কঠিন শিক্ষা আমাদের জন্য শিক্ষা। একটি দেশের সামরিক বাহিনী শিল্প খাতের মতোই শক্তিশালী। আমরা যুক্তরাজ্যের শিল্পের ভিত্তি শক্তিশালী করছি, যাতে আমাদের শত্রুদের প্রতিরোধ করে যুক্তরাজ্যকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করা যায়।’
নতুন যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কারখানার জন্য ১৫০ কোটি পাউন্ডের এই বিনিয়োগ সরকারের ঘোষিত প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির একটি অংশ। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৭ হাজার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও ঘোষণা দেওয়া হবে। লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৭ সালের এপ্রিল থেকে সামরিক খাতে দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় করা হবে। জন হিলি গত সপ্তাহে আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, যদি লেবার পার্টি পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে ২০৩৪ সালের মধ্যে এই ব্যয় জিডিপির ৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে। চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসও এই ব্যয় বৃদ্ধিতে সমর্থন জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি এটি দক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে।’
সাবেক সামরিক প্রধানদের লেখা প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় আরও সতর্ক করা হবে, সামরিক খাতে ড্রোন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার যুদ্ধের প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেন নতুন করে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে। অনেকে দেশটির বর্তমান সেনাবাহিনীর আকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ বলেন, নেপোলিয়নের সময়ের চেয়েও আকারে ছোট ব্রিটেনের সেনাবাহিনী।
পর্যালোচনায় সুপারিশ করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ বাড়ানোর জন্য শিশুদের স্কুলে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মূল্যবোধ শেখানো উচিত। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধশৈলীর একটি নতুন ‘হোম গার্ড’ তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হবে।
যুক্তরাজ্য এখন থেকে সম্ভাব্য যেকোনো যুদ্ধের জন্য ‘সর্বদা প্রস্তুত’ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ছয়টি বোমা ও বিস্ফোরক কারখানা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিরক্ষাসচিব জন হিলি আগামীকাল সোমবার (২ জুন) এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কামানের শেল ও বিস্ফোরকের উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে ১৫০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করা হবে। দেশটির সাবেক সামরিক প্রধানদের লেখা ‘প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা’র ভিত্তিতেই এসব পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাজ্যের অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে যে পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম প্রয়োজন, সেটার ঘাটতি রয়েছে। তাদের এই সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটির মন্ত্রীরা একটি ‘কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা’ও প্রকাশ করবেন, যেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে। এই পর্যালোচনার একটি মূল পদক্ষেপ হবে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে ‘সর্বদা প্রস্তুত’ নীতি গ্রহণ করা। অর্থাৎ সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকা এবং সামরিক সরঞ্জামসহ সব ধরনের অস্ত্রে সমৃদ্ধ থাকা।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষাসচিব জন হিলি জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে গিয়ে ব্রিটেনের অস্ত্রের মজুত কমে গেছে। এর আগে দেশটির মন্ত্রীরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করেছিলেন, একটি বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে দেশটির সেনাবাহিনী মাত্র ছয় মাসের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
প্রতিরক্ষাসচিব জন হিলি বলেছেন, ‘পুতিনের ইউক্রেন দখলের আগ্রাসন থেকে পাওয়া কঠিন শিক্ষা আমাদের জন্য শিক্ষা। একটি দেশের সামরিক বাহিনী শিল্প খাতের মতোই শক্তিশালী। আমরা যুক্তরাজ্যের শিল্পের ভিত্তি শক্তিশালী করছি, যাতে আমাদের শত্রুদের প্রতিরোধ করে যুক্তরাজ্যকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করা যায়।’
নতুন যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কারখানার জন্য ১৫০ কোটি পাউন্ডের এই বিনিয়োগ সরকারের ঘোষিত প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির একটি অংশ। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৭ হাজার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও ঘোষণা দেওয়া হবে। লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৭ সালের এপ্রিল থেকে সামরিক খাতে দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় করা হবে। জন হিলি গত সপ্তাহে আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, যদি লেবার পার্টি পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে ২০৩৪ সালের মধ্যে এই ব্যয় জিডিপির ৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে। চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসও এই ব্যয় বৃদ্ধিতে সমর্থন জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি এটি দক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে।’
সাবেক সামরিক প্রধানদের লেখা প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় আরও সতর্ক করা হবে, সামরিক খাতে ড্রোন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার যুদ্ধের প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেন নতুন করে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে। অনেকে দেশটির বর্তমান সেনাবাহিনীর আকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ বলেন, নেপোলিয়নের সময়ের চেয়েও আকারে ছোট ব্রিটেনের সেনাবাহিনী।
পর্যালোচনায় সুপারিশ করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ বাড়ানোর জন্য শিশুদের স্কুলে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মূল্যবোধ শেখানো উচিত। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধশৈলীর একটি নতুন ‘হোম গার্ড’ তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হবে।
গত বছর দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পর একটু বেশিই মর্যাদা দাবি করছিলেন নরেন্দ্র মোদি। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা পেতেও এই অর্জন ফলাও করে প্রচার করেছেন। এ ছাড়া গত পাঁচ বছর জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিতি থেকেছেন তিনি।
৪০ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল ‘নিঃসন্দেহে’ যুদ্ধাপরাধ করেছে। বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েল বিষয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি লালন করত মিলারের এই বক্তব্য তা থেকে অনেক দূরে। এটি বাইডেন প্রশাসনের সরকারি অবস
১ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে প্রায় দুই বছর হলো। এই সময়ের মধ্য গাজায় ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং সোয়া লাখ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ইসরায়েল কেবল গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই ক্ষান্ত দেয়নি, দখলদার রাষ্ট্রটি গাজায় সব ধরনের প্রাণ প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে প্রয়োজনীয় খাদ্য-ওষুধ ও অন্যান্য
২ ঘণ্টা আগেমাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে তিনি তাঁর প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের বেশির ভাগ ব্যয় করবেন আফ্রিকায় স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে।
১২ ঘণ্টা আগে