Ajker Patrika

সংকট সত্ত্বেও ইউক্রেনই ফ্রান্সের অগ্রাধিকার

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েই সবার আগে ইউক্রেন সফরে গেছেন স্তেফান সেজর্ন। আজ শনিবার কিয়েভ সফরের সময় ইউক্রেনের প্রতি ফ্রান্সের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। 

ইউক্রেন–রাশিয়ার যুদ্ধের দুই বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। এমন সময়ে ইউক্রেনে বিমান হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছে মিত্র দেশগুলো। বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন সংঘাতের মধ্যে তাদের গুরুত্ব হারিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত ইউক্রেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভ সফরে যান স্তেফান সেজর্ন। 

ইউক্রেনের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেজর্ন বলেন, ‘রাশিয়া ভাবে ইউক্রেন ও এর সমর্থকেরা তাদের সামনে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। আমরা হীনবল হব না।’ 

দীর্ঘ দুই বছর ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণ লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেন চায়, পশ্চিমা সমর্থকদের কাছ থেকে সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতার ধারা যেন অব্যাহত থাকে। রাশিয়া ইউক্রেনে পরপর ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরই কিয়েভে পৌঁছান সেজর্ন। এ সফরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। 

কুলেবা বলেন, ‘আমি আমার তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি রাশিয়ার সর্বশেষ বৃহৎ পরিসরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরও তাঁর সফর স্থগিত করেননি।’ এ ছাড়া তিনি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে পশ্চিমা ইলেকট্রনিকস সরবরাহ বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে ফ্রান্স ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশকে আহ্বান জানান। 

সেজর্ন বলেন, ‘অনেক সংকট থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেন সব সময় ফ্রান্সের অগ্রাধিকার পেয়েছে এবং পেতে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, আগামী দিনগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউক্রেনে আরও সামরিক সরঞ্জাম তৈরির ব্যবস্থা করতে ফরাসি কোম্পানিগুলো যাতে সমস্যা না পড়ে সে জন্য দ্বিপক্ষীয় আইনি জটিলতা নিরসনের জন্য কাজ করবেন। 

কুলেবা বলেন, বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় এবং ফরাসি প্রতিরক্ষা কোম্পানি এরই মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি করে ফেলেছে। ইউক্রেনে উৎপাদন স্থানীয়করণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাই হোক, এ ধরনের সহযোগিতা আরও বেশি সম্ভাবনাময়।’ 

ইউক্রেনে ফরাসি কোম্পানিগুলোকে পরিবহন, জ্বালানি, টেলিকম ও পানি খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান সেজর্ন। তিনি বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বুঝতে পেরেছেন, ইউক্রেনে সামরিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে এ দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। 

কিয়েভের পর বার্লিন ও ওয়ারশ সফরের কথা রয়েছে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কিয়েভ সফরের একদিন পরই ইউক্রেন সফরে এসেছেন সেজর্ন। সফরে এসে সুনাক নতুন নিরাপত্তা চুক্তি সইসহ ইউক্রেনের জন্য ড্রোন কিনতে সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত