Ajker Patrika

প্রিগোঝিনের মৃত্যু নিয়ে নিশ্চিত নয় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৫৪
প্রিগোঝিনের মৃত্যু নিয়ে নিশ্চিত নয় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

ভাড়াটে যোদ্ধার দল ভাগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোঝিনের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রিগোঝিনের মৃত্যুর বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফোর্বস। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী—বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কথিত বিমানটিতে ১০ জন আরোহী ছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে প্রিগোঝিনও ছিলেন। কিন্তু এই দাবির পক্ষে রুশ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। 

তবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এটাও বলা হয়েছে, প্রিগোঝিন যদি সত্যিই মারা গিয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই ভাগনার গ্রুপের মধ্যে একটি অস্থিতিশীল প্রভাব পড়বে। কারণ, অতি সক্রিয়তা, লড়াই করে ফলাফল বের করে আনার প্রবণতা, সাহস এবং চরম বর্বরতার মতো বেশ কিছু ব্যক্তিগত গুণাবলির অধিকারী ছিলেন প্রিগোঝিন। এসব গুণাবলির মাধ্যমেই তিনি ভাগনার বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন। এত সব ব্যক্তিগত গুণের সন্নিবেশ ঘটিয়ে তাঁর অনুপস্থিতিতে এই বাহিনীকে আরেকজনের নেতৃত্ব দেওয়া প্রায় অসম্ভব। 

এ অবস্থায় ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের তথ্য যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে ভাগনার গ্রুপ বর্তমানে বড় ধরনের নেতৃত্ব শূন্যতায় পড়েছে। দলনেতা প্রিগোঝিন ছাড়াও নিহতদের তালিকায় দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ফিল্ড কমান্ডার দিমিত্রি উটকিন এবং রসদ সরবরাহ প্রধান ভ্যালেরি চেকালভও ছিলেন। 

গত বুধবার (২৩ আগস্ট) সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং মস্কোর মধ্যে জেট বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই প্রিগোঝিন নিহত হওয়ার খবরটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পরিবহন কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছিলেন, ফ্লাইটের যাত্রী তালিকায় প্রিগোঝিন ছিলেন। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় তিনি এতে ছিলেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ ছিল না। এর জন্য অবশ্যই মৃতদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। 

দুই মাস আগে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই দুই মাসের মধ্যে পুতিনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার পরও প্রিগোঝিন কঠোর প্রতিশোধের মুখোমুখি না হওয়ায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। 

এদিকে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত জেট বিমানটি রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার লক্ষ্যবস্তু ছিল। 

অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই ভাগনার গ্রুপের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। প্রিগোঝিনের মৃত্যুর খবরে এই আশঙ্কা আরও বেড়েছে। ভাড়াটে যোদ্ধার এই দলটি ইউক্রেনে রুশ হামলার পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতেও এই বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যোদ্ধা অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে ‘স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত’, প্রধান শিক্ষকের দুই রকম বক্তব্য

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

হিন্দু মন্দির নিয়ে কেন সংঘাতে জড়াল বৌদ্ধ-অধ্যুষিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

বলিদান ও শয়তান পূজার বুদ্ধি দিল চ্যাটজিপিটি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত