গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা পুরোপুরিভাবে দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই শহরের কোক ও রাসায়নিক প্ল্যান্ট সহ অন্যান্য প্রশাসনিক অবকাঠামোগুলোতে রুশ পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে শহরজুড়ে পুঁতে রাখা মাইন অপসারণেরও কাজ শুরু করেছে দেশটির সেনারা।
ইউক্রেনের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া দোনেস্ক অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত আভদিভকা শহর। দোনেস্ক হাতছাড়া হয়ে গেলেও আভদিভকা শহরের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতেই ছিল। তাই এই শহরটি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল রুশ বাহিনী। অন্যদিকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রাণান্ত চেষ্টা ছিল ইউক্রেনের সেনাদেরও। দুই পক্ষের এমন অবস্থান সেনাদের বিপুল হতাহতের কারণ হয়েছে। ইউক্রেনের স্থল সেনাদের নিয়ে গঠিত ট্রাভিয়া গ্রুপ দাবি করেছে, শহরটি দখল করতে গিয়ে গত ৪ মাসে রুশ বাহিনীর প্রায় ১৭ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩০ হাজার সেনা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেছেন, আভদিভকা শহর নিয়ে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের সাত গুণ বেশি সৈন্য হারিয়েছে রাশিয়া।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিউজউইক জানিয়েছে, আভদিভকা শহর দখল করতে গিয়ে রুশ সেনাদের হতাহত নিয়ে ইউক্রেনের দাবিকৃত পরিসংখ্যানটি এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সেনাদের হতাহতের বিষয়ে জানতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো প্রতি উত্তর আসেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনের দাবিটি যথার্থ হলে—আভদিভকা শহর দখল করতে গিয়ে রুশ বাহিনী যত সেনা হারিয়েছে তা দেশটির ১০ বছরের আফগান যুদ্ধে হারানো সেনার সংখ্যার চেয়েও বেশি। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছিল রাশিয়া। পরে সেই যুদ্ধ প্রায় এক দশকজুড়ে স্থায়ী হয়েছিল। আর এই সময়ের মধ্যে রুশ বাহিনীর অন্তত ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়েছিল। বিপরীতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ করার প্রথম তিন মাসেই ১৫ হাজারের বেশি সেনা হারিয়েছে বলে জানানো হয়েছিল ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে।
নিউজউইকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধ চলমান অবস্থায় কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা খুবই কঠিন। সৈন্যদের হতাহত নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই পক্ষই আবার মুখ খুলতে চায় না। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, দুই বছরের চলমান যুদ্ধে রাশিয়া সৈন্য হারিয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭২০ জন। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব জোরালোভাবে বিশ্বাস করে যে, এই যুদ্ধে ৩ লাখের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসের শেষদিকে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হিপ্পি দেশটির আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন—ইউক্রেন যুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন লাখ রুশ সেনা হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভাগনার সেনাও রয়েছে।
গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা পুরোপুরিভাবে দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই শহরের কোক ও রাসায়নিক প্ল্যান্ট সহ অন্যান্য প্রশাসনিক অবকাঠামোগুলোতে রুশ পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে শহরজুড়ে পুঁতে রাখা মাইন অপসারণেরও কাজ শুরু করেছে দেশটির সেনারা।
ইউক্রেনের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া দোনেস্ক অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত আভদিভকা শহর। দোনেস্ক হাতছাড়া হয়ে গেলেও আভদিভকা শহরের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতেই ছিল। তাই এই শহরটি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল রুশ বাহিনী। অন্যদিকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রাণান্ত চেষ্টা ছিল ইউক্রেনের সেনাদেরও। দুই পক্ষের এমন অবস্থান সেনাদের বিপুল হতাহতের কারণ হয়েছে। ইউক্রেনের স্থল সেনাদের নিয়ে গঠিত ট্রাভিয়া গ্রুপ দাবি করেছে, শহরটি দখল করতে গিয়ে গত ৪ মাসে রুশ বাহিনীর প্রায় ১৭ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩০ হাজার সেনা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেছেন, আভদিভকা শহর নিয়ে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের সাত গুণ বেশি সৈন্য হারিয়েছে রাশিয়া।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিউজউইক জানিয়েছে, আভদিভকা শহর দখল করতে গিয়ে রুশ সেনাদের হতাহত নিয়ে ইউক্রেনের দাবিকৃত পরিসংখ্যানটি এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সেনাদের হতাহতের বিষয়ে জানতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো প্রতি উত্তর আসেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনের দাবিটি যথার্থ হলে—আভদিভকা শহর দখল করতে গিয়ে রুশ বাহিনী যত সেনা হারিয়েছে তা দেশটির ১০ বছরের আফগান যুদ্ধে হারানো সেনার সংখ্যার চেয়েও বেশি। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছিল রাশিয়া। পরে সেই যুদ্ধ প্রায় এক দশকজুড়ে স্থায়ী হয়েছিল। আর এই সময়ের মধ্যে রুশ বাহিনীর অন্তত ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়েছিল। বিপরীতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ করার প্রথম তিন মাসেই ১৫ হাজারের বেশি সেনা হারিয়েছে বলে জানানো হয়েছিল ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে।
নিউজউইকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধ চলমান অবস্থায় কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা খুবই কঠিন। সৈন্যদের হতাহত নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই পক্ষই আবার মুখ খুলতে চায় না। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, দুই বছরের চলমান যুদ্ধে রাশিয়া সৈন্য হারিয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭২০ জন। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব জোরালোভাবে বিশ্বাস করে যে, এই যুদ্ধে ৩ লাখের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসের শেষদিকে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হিপ্পি দেশটির আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন—ইউক্রেন যুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন লাখ রুশ সেনা হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভাগনার সেনাও রয়েছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে গাজা উপত্যকার গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস আজ শুক্রবার প্রথম এ খবর প্রকাশ করে। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এ ইস্যুতে এখনো প্রকাশ্যে কিছু
৪০ মিনিট আগেসম্প্রতি ইরানের এক শীর্ষ কট্টরপন্থী রাজনীতিক মোহাম্মদ-হোসেইন সাফফার-হারান্দি দাবি করেছেন, রাশিয়া আগেই ইসরায়েলের কাছ থেকে জানতে পেরেছিল যে, তারা ইরান সরকারের পতনের পরিকল্পনা করছে। তাঁর এই মন্তব্যে ইরানে রাশিয়ার ভূমিকাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমি, আগের মতো আর গান গাইছে না। এই নীরবতা বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে সমুদ্রের তলদেশে বসানো একটি হাইড্রোফোনে (ধ্বনি সংগ্রাহক যন্ত্র) ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নীল তিমির গানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভা
১১ ঘণ্টা আগেইন্টেলের নতুন প্রধান নির্বাহী (সিইও) লিপ-বু তানের পদত্যাগ দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তানকে ‘চরম বিরোধপূর্ণ’ একজন ব্যক্তি বলে অভিহিত করেছেন। চিনের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে তানের সম্পর্কের কারণে ইন্টেলের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগে