Ajker Patrika

ইউক্রেনকে ‘স্বাধীনতার পথে’ নিতে ফ্লোরিডায় জটিল, সংবেদনশীল ও গঠনমূলক আলোচনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ‘বিশ্বস্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ তৈরির লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বৈঠক হয়। ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মস্কো সফরের আগেই আয়োজন করা হলো।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ফ্লোরিডায় ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান রুস্তেম উমেরভের নেতৃত্বে গঠিত ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, আলোচনা ছিল ‘গঠনমূলক।’ তবে তার ভাষায়, এখনো ‘অনেক কাজ বাকি।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টা সংবেদনশীল। জটিলও বটে।’

বৈঠকে উইটকফ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারও ছিলেন। আলোচনার আগেই রুবিও বলেছিলেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য ইউক্রেনকে ‘একটি স্বাধীনতার পথে’ নিয়ে যাওয়া।

বৈঠকের পর রুবিও জানান, আলোচনায় ‘অনেক চলমান অংশ’ রয়েছে এবং ‘অবশ্যই, আরও একটি পক্ষ (রাশিয়া) আছে, যাদের এই সমীকরণের অংশ হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন স্তরে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং ‘তাদের অবস্থানও ভালোভাবেই বোঝা হয়েছে।’

উমেরভ আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এর আগে এক্সে লিখেছিলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা ও অগ্রাধিকার স্পষ্ট—ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষা, অর্থবহ সংলাপ নিশ্চিত করা এবং জেনেভায় অর্জিত অগ্রগতির ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া।’ তিনি যোগ করেন, আলোচকরা চান ইউক্রেনের জন্য ‘বাস্তব শান্তি ও দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ নিশ্চিত করতে।

গত সপ্তাহে জেনেভায় হওয়া আলোচনার পরই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো, যেখানে রুবিও ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা সংশোধন করেন। প্রথম খসড়াটি রাশিয়ার প্রত্যাশার তালিকা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল।

এই বৈঠকই উইটকফের রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপের মঞ্চ তৈরি করেছে। ট্রাম্প আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেই বৈঠক এ সপ্তাহেই হতে পারে।

পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব, যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি, ‘ভবিষ্যৎ চুক্তির ভিত্তি”)’ হতে পারে। তিনি আরও জানান, উইটকফের সঙ্গে আলোচনায় দোনবাস ও ক্রিমিয়া অঞ্চলের বিষয়গুলোই প্রধান হবে।

রুবিও বলেন, ‘এটা শুধু যুদ্ধ থামানোর ব্যাপার নয়। এমন এক পথ খুঁজে বের করা যাতে ইউক্রেন স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকতে পারে, আবার যেন এ ধরনের যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। নিজের জনগণের জন্য সমৃদ্ধির যুগ শুরু করতে পারে, দেশ পুনর্নির্মাণ তো আছেই।’

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রথম উপমন্ত্রী সের্হি কিসলিতসিয়া এক্সে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের আলোচনার শুরুটা ‘ভালো’ হয়েছে এবং এসব আলোচনা ‘উষ্ণ পরিবেশে’ এগোচ্ছে, যা ইতিবাচক ফলাফল এনে দিতে পারে।

এদিকে, এই সংবেদনশীল সময়ে রাশিয়ার বাহিনীর অগ্রযাত্রার মধ্যে ইউক্রেন এখন সূক্ষ্ম ভারসাম্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে। একই সঙ্গে দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে কেঁপে উঠছে জেলেনস্কির প্রশাসন। এ সপ্তাহেই তাঁর চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমাক পদত্যাগ করেছেন।

জেনেভায় গত সপ্তাহে রুবিওর সঙ্গে আলোচনায় ইয়েরমাকই ট্রাম্পের ২৮ দফা পরিকল্পনায় সংশোধনী আনেন। প্রথম খসড়ায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাস পুরোপুরি রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়া, সামরিক বাহিনীর আকার কমানো এবং ন্যাটো সদস্যপদ নেওয়ার আশা ত্যাগ করার প্রস্তাব ছিল।

তীব্র সমালোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পনাটি ১৯ দফায় নামিয়ে আনে। তবে নতুন খসড়ার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

জেলেনস্কি এক্সে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘গঠনমূলক মনোভাব’ দেখাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘আগামী কয়েক দিনে মর্যাদাপূর্ণভাবে যুদ্ধ শেষ করার রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব হতে পারে।’

রোববার তিনি জানান, তিনি ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেলেনস্কির মন্তব্য, ‘গুরুত্বপূর্ণ দিন চলছে এবং অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে।’ এছাড়া, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে সোমবার প্যারিসে জেলেনস্কির বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্সি।

এদিকে রাশিয়া রণক্ষেত্রে চাপে বাড়াচ্ছে। আলোচনার আগের দুই রাত ইউক্রেনের রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শনিবার রাতে রুশ হামলায় মারা যায় ছয়জন। আহত হয় আরও কয়েক ডজন। কিয়েভের চার লাখ পরিবারের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

কিয়েভের উপকণ্ঠে ড্রোন হামলায় মারা যায় একজন। আহত হয় ১১ জন।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনীয় এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, কৃষ্ণসাগরে রুশ তেল বহনকারী দুটো ট্যাংকারে হামলার পেছনে কিয়েভের হাত রয়েছে। সেগুলো নাকচ করা রুশ তেল গোপনে পরিবহন করছিল বলে ইউক্রেনের ধারণা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদুরোর সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে কি কথা হয়েছে বলব না: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, তা তিনি বলবেন না। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, তা তিনি বলবেন না। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। উত্তর হলো, হ্যাঁ, আমি কথা বলেছি।’ সোজা ভাষায়, ট্রাম্প বোঝাতে চাইলেন যে, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে তা তিনি বলবেন না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে প্রথম জানানো হয়, চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। সেই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও কথা হয়। ট্রাম্প বলেন, ফোনালাপটি ভালো বা খারাপ হয়েছে কিনা এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল কেবল একটি ফোন কল।’

ট্রাম্পের এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন তিনি ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে একদিকে উগ্র ভাষা ব্যবহার করছেন, অন্যদিকে আবার কূটনীতির সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রাখছেন। গত শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভেনেজুয়েলার ওপর ও আশপাশের আকাশপথ ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’ বলে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এতে কারাকাসে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যখন তাঁর প্রশাসন মাদুরো সরকারকে চাপে ফেলতে পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে।

আকাশপথ বন্ধ ঘোষণার অর্থ কি ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা আসন্ন—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘এ নিয়ে বেশি কিছু ভেবো না।’ মার্কিন প্রশাসন বহুদিন ধরে ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে নানা বিকল্প বিবেচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, মাদুরো অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখছেন, যা আমেরিকানদের হত্যা করছে। মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় থাকা বিকল্পগুলোর মধ্যে মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ক্যারিবিয়ান সাগরে বিশাল সামরিক উপস্থিতি এবং ভেনেজুয়েলার উপকূলে তিন মাস ধরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা লক্ষ্য করে চালানো হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী নাকি নতুন ধাপের অভিযানের জন্য প্রস্তুত।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব হামলাকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্রও আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের পথে হাঁটছে।

ট্রাম্প বলেন, সেপ্টেম্বরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে একটি অভিযানে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়েছিল কি না, তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। তিনি যোগ করেন, এ ধরনের হামলা তিনি চাননি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ অবশ্য দাবি করেছেন, এসব হামলা বৈধ এবং ‘মারণক্ষম’ হওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প সামরিক সদস্যদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব শিগগিরই’ ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করবে বলে, যার লক্ষ্য সন্দেহভাজন ভেনেজুয়েলার মাদক পাচারকারীদের দমন।

মাদুরো ও তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখনো ফোনালাপ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদের প্রধান হোর্হে রদ্রিগেজ বলেন, ফোনালাপ তাঁর সংবাদ সম্মেলনের বিষয় নয়। সেদিন তিনি ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-হামলা নিয়ে পার্লামেন্টারি তদন্তের ঘোষণা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতপাতের বলি প্রেমিক, মৃতদেহের সামনে সিঁদুর পরে তরুণী বললেন, ‘আমাদের ভালোবাসাই জিতেছে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৪
মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে বাবা-মায়ের ফাঁসি চাইলেন তরুণী। ছবি: সংগৃহীত
মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে বাবা-মায়ের ফাঁসি চাইলেন তরুণী। ছবি: সংগৃহীত

তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নান্দেদের বাসিন্দা সক্ষম টাটে (২০) এবং আঁচল নামের এক তরুণীর মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আঁচলের ভাইদের মাধ্যমেই সক্ষমের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এরপর সক্ষমের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের সূত্রে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক আঁচলের পরিবার মেনে নেয়নি। ভিন্ন জাতের হওয়ায় মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্কে তীব্র বিরোধিতা শুরু করে এবং প্রেমিক যুগলকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়। তবে এত বাধা সত্ত্বেও আঁচল সক্ষমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি আঁচলের ভাই ও বাবা জানতে পারেন যে আঁচল সক্ষম টাটেকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপরই ক্ষোভে তারা চরম পদক্ষেপ নেয়। গত বৃহস্পতিবার তারা প্রকাশ্যেই সক্ষমকে মারধর করে। এরপর গুলি করে এবং পরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। এই বর্বরোচিত ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সক্ষম টাটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যখন চলছিল, ঠিক সেই সময় আঁচল সেখানে উপস্থিত হন। এই শোকস্তব্ধ পরিবেশে তিনি এক অভূতপূর্ব প্রতিবাদ করেন, ভালোবাসার অনন্য উদাহরণ তৈরি করেন। তিনি প্রথমে সক্ষমের নিষ্প্রাণ দেহে হলুদ লাগান এবং এরপর নিজের কপালে সিঁদুর পরেন। মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে তিনি সক্ষমের বাড়িতেই তাঁর স্ত্রী তথা পুত্রবধূ হিসেবে বাকি জীবন কাটাবেন।

সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে আঁচল বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসা জিতেছে, এমনকি সক্ষমের মৃত্যুতেও। আর আমার বাবা ও ভাইরা হেরেছে।’ তিনি সাফ জানান, সক্ষম আজ মৃত হলেও তাঁদের ভালোবাসা চিরন্তন, আর সেই কারণেই তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সক্ষমের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।

এই ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। সক্ষম টাটেকে হত্যা করার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আরও কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এশিয়াজুড়ে বন্যা–ভূমিধসের তাণ্ডব, মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়াল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪২
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে বন্যার পানিতে ভেসে আসা ভূমিধসের মাটিতে প্রায় চাপা পড়ে গেছে একটি গ্রাম। ছবি: এএফপি
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে বন্যার পানিতে ভেসে আসা ভূমিধসের মাটিতে প্রায় চাপা পড়ে গেছে একটি গ্রাম। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ৯ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক শ জন। মালাক্কা প্রণালীতে গঠিত বিরল ক্রান্তীয় ঝড় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডজুড়ে বৃষ্টি ঝরিয়েছে। আলাদা আরেকটি ঝড় আঘাত হেনেছে শ্রীলঙ্কায়, যার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি এবার ভারতের দক্ষিণ উপকূলে পৌঁছাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির হিসাবে—ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৪৩৫, শ্রীলঙ্কায় ৩৩৪, থাইল্যান্ডে ১৬২ এবং মালয়েশিয়ায় ২ জন মারা গেছেন। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে সাইক্লোন সেনইয়ার ব্যাপক ভূমিধস ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, মৃত্যুর সংখ্যা রোববার বেড়ে পৌঁছেছে ৪৩৫ জনে। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৩০৩। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪০৬ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে হিমশিম খাচ্ছে দলগুলো। হেলিকপ্টারে করে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, পানির তোড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, সবকিছু কাদায় ডুবে আছে। উত্তর আচেহ প্রদেশে খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ায় কিছু এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর আগেই মানুষ খাবার-পানীয় লুট করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচণ্ড বর্ষণে অন্তত ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ। কোথাও কোথাও রোগীকে পৌঁছাতে এবং জরুরি সরঞ্জাম দিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। হ্যাত ইয়াই শহরে ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার সেখানে পানির উচ্চতা আট ফুট ছাড়িয়ে যায়, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৩০ নবজাতকসহ একটি মাতৃসদন।

এদিকে, সাইক্লোন ডিটওয়ার আঘাতে শ্রীলঙ্কায় অন্তত ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১১ লাখের বেশি মানুষ। ২৫ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং অন্তত ১ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি কেন্দ্রগুলোতে। রাজধানী কলম্বোর নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। ১৯১ জন এখনো নিখোঁজ। বহু মানুষ ঘরের ওপরতলায় আশ্রয় নিয়ে টিকে আছেন, মালপত্র বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো খাবার-ওষুধের চাপ বাড়ছে।

মালাক্কা প্রণালী থেকেই উঠে আসা ঝড় সেনইয়ার মালয়েশিয়ায় আঘাত হানার পর অন্তত ২ জন মারা গেছে। ঝড়ের আগে ৩৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হলেও উত্তরের পেলিস অঙ্গরাজ্যে কয়েকজন আটকা পড়ে যান। নৌকা ও উদ্ধার দলের সহায়তায় তাঁদের বের করে আনা হয়। ৭৩ বছরের গন কাসিম বলেন, ‘পানিটা এমন ছিল যেন সমুদ্র। কোথাও যাওয়ার জায়গাই ছিল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামা: সমরাস্ত্র শিল্পের মুনাফা বেড়ে ৬৭৮ বিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান আছে। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান আছে। ছবি: এএফপি

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় অস্ত্র বিক্রি ও সামরিক সেবা শিল্প খাতের শীর্ষ ১০০ কোম্পানি ২০২৪ সালে ৬৭৮ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ সোমবার এসআইপিআরআইয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র বিক্রি ও সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মূলত এ কারণেই বৈশ্বিক অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিগুলোর মুনাফা বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর সামরিক অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিগুলোর মুনাফা ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই মুনাফা বৃদ্ধির বেশির ভাগই নিয়ে গেছে মার্কিন ও ইউরোপীয় কোম্পানি। তবে এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের কিছু কোম্পানিও সাম্প্রতিক সময়ে ভালো মুনাফা অর্জন করেছে। তবে এই অঞ্চলের বেশির ভাগই মুনাফাই আবার নিয়েছে চীনা কোম্পানিগুলো। যুক্তরাষ্ট্রে মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে লকহিড মার্টিন, নরথ্রপ গ্রুম্যান এবং জেনারেল ডায়নামিক্স শীর্ষে ছিল। শীর্ষ ১০০-এর তালিকায় থাকা মার্কিন অস্ত্র কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত অস্ত্র রাজস্ব ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তালিকাভুক্ত ৩৯টি মার্কিন কোম্পানির মধ্যে ৩০টিরই রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে এসআইপিআরআই বলছে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, কলাম্বিয়া ও ভার্জিনিয়া-ক্লাস সাবমেরিন এবং সেন্টিনেল আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক বিলম্ব ও বাজেট অতিরিক্ত ব্যয় চলমান। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক সামরিক প্রস্তুতকারকের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। কারণ, কোম্পানিটির অস্ত্র রাজস্ব ২০২৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

রাশিয়াকে বাদ দিয়ে, ইউরোপে শীর্ষ ১০০ তালিকায় ২৬টি অস্ত্র কোম্পানি ছিল এবং তাদের মধ্যে ২৩টি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি থেকে আয় বৃদ্ধি করেছে। তাদের সম্মিলিত অস্ত্র রাজস্ব ১৩ শতাংশ বেড়ে ১৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের জন্য গোলাবারুদ তৈরির মাধ্যমে রাজস্ব ১৯৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পর চেক প্রজাতন্ত্রের কোম্পানি চেকোস্লোভাক গ্রুপ ২০২৪ সালে শীর্ষ ১০০-এর যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে।

পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার লাগাতার আক্রমণের মুখে থাকা ইউক্রেনের জেএসসি ইউক্রেনীয় ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি তাদের অস্ত্র রাজস্ব ৪১ শতাংশ বাড়িয়ে তিন বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। ইউরোপীয় অস্ত্র কোম্পানিগুলো রাশিয়ার মোকাবিলায় নতুন উৎপাদন সক্ষমতায় বিনিয়োগ করছে বলে এসআইপিআরআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে। তবে সতর্ক করেছে, কাঁচামাল সংগ্রহ—বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ওপর নির্ভরশীলতার ক্ষেত্রে একটি ‘ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ’ হয়ে উঠতে পারে। কারণ, চীনও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কঠোর করছে।

রোস্টেক এবং ইউনাইটেড শিপবিল্ডিং করপোরেশন হলো র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা দুই রুশ অস্ত্র কোম্পানি। তারা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখেও তাদের সম্মিলিত অস্ত্র রাজস্ব ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।

গত বছর এশিয়া ও ওশেনিয়ার অস্ত্র প্রস্তুতকারীরা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ পতনের পরও ১৩০ বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব অর্জন করেছে। এই আঞ্চলিক পতন মূলত তালিকাভুক্ত আটটি চীনা অস্ত্র কোম্পানির ১০ শতাংশ সম্মিলিত রাজস্ব হ্রাসের কারণে হয়েছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল নোরিনকোর অস্ত্র রাজস্বের ৩১ শতাংশ কমে যাওয়া। কিন্তু জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র প্রস্তুতকারীদের বিক্রি ইউরোপীয় ও দেশীয় উভয় বাজারের শক্তিশালী চাহিদার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, তাইওয়ান ও উত্তর কোরিয়া নিয়ে উত্তেজনা চলমান থাকা অবস্থায়।

তালিকায় থাকা পাঁচটি জাপানি কোম্পানি তাদের সম্মিলিত অস্ত্র রাজস্ব ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে, আর চারটি দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রাজস্ব ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ অস্ত্র কোম্পানি হানহা গ্রুপ ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি এসেছে অস্ত্র রপ্তানি থেকে।

প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০০-এর তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৯টি। ২০২৪ সালে এই ৯টি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে ৩১ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জন করেছে, যা আঞ্চলিকভাবে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে। সুদানের বিধ্বংসী যুদ্ধে অস্ত্র জোগানোর আন্তর্জাতিক অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে আমিরাতভিত্তিক এজ গ্রুপের ২০২৩ সালের রাজস্ব তথ্যের অভাবে তাদের আঞ্চলিক হিসাব এজ-কে অন্তর্ভুক্ত করেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

গাজায় চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধের মধ্যে তালিকাভুক্ত তিনটি ইসরায়েলি অস্ত্র কোম্পানি তাদের সম্মিলিত অস্ত্র রাজস্ব ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে, যেখানে প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশির ভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। এলবিট সিস্টেমস ৬ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে, এরপর ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ৫ দশমিক ১৯ বিলিয়ন এবং রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

এসআইপিআরআই জানিয়েছে, ইসরায়েলি মানববিহীন আকাশযান ও অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক আগ্রহ বেড়েছে। তালিকায় থাকা পাঁচটি তুর্কি কোম্পানি—যা রেকর্ড—সম্মিলিতভাবে ১০ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র রাজস্ব অর্জন করেছে, যা ১১ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। ড্রোন উৎপাদক বায়কারের ২০২৪ সালের ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রাজস্বের ৯৫ শতাংশই এসেছে বিদেশে রপ্তানি থেকে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ভারত, তাইওয়ান, নরওয়ে, কানাডা, স্পেন, পোল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার সামরিক কোম্পানিও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত