Ajker Patrika

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন মুখ, স্তেফান সোজোর্নেকে বেছে নিলেন মাখোঁ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

প্রধানমন্ত্রী পদের পর ফরাসি মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে পরিবর্তনে এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও তাঁর নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে উদারবাদী ও ইউরোপপন্থী রাজনীতিবিদ স্তেফান সোজোর্নেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদলের অংশ হিসেবে স্তেফান সোজোর্নেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সোজোর্নেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিয়োগের ঘোষণা দেয়। তিনি বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথেরিন কলোনার স্থলাভিষিক্ত হবেন। 

নবম ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ইউরোপের উদারপন্থী রাজনীতিবিদদের নিয়ে গঠিত ‘রিনিউ ইউরোপ গ্রুপের’ প্রধান ছিলেন সোজোর্নে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় তাঁকে সেই পদ ছাড়তে হবে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নেদারল্যান্ডস থেকে নির্বাচিত সদস্য মালিক আজমানি। উল্লেখ্য, সোজোর্নে মাখোঁর দল রেনেসাঁ পার্টির প্রধানও। 

এর আগে, ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফরাসি রাজনীতিতে ‘মাখোঁর বালক’ বলে পরিচিত গ্যাব্রিয়েল আত্তাল। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করবেন তিনি। গ্যাব্রিয়েল আত্তাল সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নের স্থলাভিষিক্ত হবেন। 

ফ্রান্সের রাজনীতিতে ‘মাখোঁনিয়া’ স্কুলের সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট তরুণ শিক্ষার্থী হিসেবে আত্তালের পরিচয় রয়েছে। ফ্রান্সে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাখোঁর রাজনীতি ও আদর্শের অনুসারীদের ‘মাখোঁনিয়া’ স্কুল বলা হয়। গ্যাব্রিয়েল আত্তাল ১৯৮৯ সালে প্যারিসের কাছে ক্লামার্ত শহরে জন্মগ্রহণ করেন। 

আত্তাল ২০০৬ সালে তিনি ফ্রান্সের সোশ্যালিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। পরে ২০১২ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেরিসোল তোরাইনের হয়ে কাজ করেন। সে বছরই আত্তাল ফ্রান্সের পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ লা রিপাবলিক এন মার্চে থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। 

এক বছর পরে ২০১৮ সালে আত্তাল সরকারের মুখপাত্র নিযুক্ত হন এবং ২০২২ সালে তিনি মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন। কিন্তু তাঁর নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয় ছিল না। পরের বছর ২০২৩ সালে তিনি ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী হন এবং স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করে ব্যাপক সমালোচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত