Ajker Patrika

ইউক্রেনের আকাশে সেনাদের নজরে এল রহস্যময় বস্তু

ইউক্রেনের আকাশে সেনাদের নজরে এল রহস্যময় বস্তু

এবার এক উদ্ভট ঘটনার মুখোমুখি হলো ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। ইউক্রেনের সেনারা দাবি করছেন, নিজেদের আকাশ-সীমায় ডিস্কের মতো গোলাকৃতির একটি রহস্যময় যান তারা দেখতে পেয়েছেন। রহস্যময় ওই যানটি দেখতে অনেকটা ইউএফও-এর (কাল্পনিক এলিয়েন যান) মতো।

আজ বৃহস্পতিবার একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, রণক্ষেত্রে মোতায়েন রাখা একটি পর্যবেক্ষক ড্রোনের সাহায্যে রহস্যময় ওই বস্তুটির একটি ভিডিও ধারণ করেন সেনারা। পরে গতকাল পোস্ট করার পর ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ওই ভিডিওটি গতকালই সবার আগে অ্যাক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা হয়েছিল অ্যালবাফেলা নামে একটি আইডি থেকে। এই আইডি থেকে ইউক্রেন যুদ্ধের নিয়মিত আপডেট প্রদান করা হয়। ভিডিওটি পোস্ট করে এর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে—রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ডিস্ক সদৃশ একটি অজানা বস্তুর ভিডিও ধারণ করেছে।

এ বিষয়ে ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটি সম্প্রতি ইউক্রেনের ৪০৬ ব্যাটালিয়নের একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোনের সাহায্যে ধারণ করা হয়েছিল। এ ধরনের ড্রোন ইউক্রেনের সেনারা যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করছেন। ড্রোনের সাহায্যে ধারণ করা ভিডিওটিতে দেখা গেছে, রহস্যময় ওই বস্তুটি সমতল থেকে অন্তত ৫০০ ফুট ওপরে ভাসছিল।

ভিডিওটি ধারণ করার সময় ইউক্রেনের সেনাদের তাৎক্ষণিক কিছু কথোপকথনও ধরা পড়েছে। একজন বলছিলেন, ‘এটি কেন আমাদের ওপর মিসাইল ছুড়ছে না?’

জবাবে অন্য একজন সেনা বললেন, ‘আপনি কী বোঝাতে চাইছেন?’

পরমুহূর্তে ক্যামেরার ল্যান্স দিয়ে রহস্যময় বস্তুটিকে আরেকটু বড় করে দেখার পর একজনকে বলতে শোনা যায়—‘হে ঈশ্বর, এটা কী? এটা নড়ছে না কেন?’

এ সময় আরেকজন সেনা বলেন, ‘আমি তোমাদের নিশ্চিত করে বলছি, এটি একটি ইউএফও।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া হামলা চালানোর পর থেকে ইউক্রেনে আরও বেশ কয়েকবার এ ধরনের রহস্যময় বস্তু দেখা গেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ রাজ্যের গভর্নর ভাসিলি গোলাবেভ একটি টেলিগ্রাম পোস্টে দাবি করেছিলেন—প্রায় দেড় মাইল উচ্চতায় তারা বলের মতো দেখতে ছোট একটি বস্তুকে বাতাসে ভাসমান অবস্থায় দেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বিশ্বে প্রথম’ মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সফল পরীক্ষা তুরস্কের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৩
বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। ছবি: আনাদোলু
বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। ছবি: আনাদোলু

তুরস্কের প্রথম মানববিহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। জেট ইঞ্জিন চালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরের দূরত্বে (বিভিআর বা ৪০ কিলোমিটারের বেশি দূরে) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান।

গতকাল রোববার এই বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে। তুর্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এন–সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বায়কার জানায়, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানববিহীন যুদ্ধবিমান বিভিআর শ্রেণির এয়ার–টু–এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।’

বায়কারের বিবৃতিতে বলা হয়, কিজিলেলমা স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘গোকদোয়ান’ নামে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং তা উচ্চগতির জেটচালিত লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানে। লক্ষ্য শনাক্ত ও অনুসরণ করা হয় তুরস্কের স্থানীয় প্রযুক্তিতে আসেলসান নামক কোম্পানি নির্মিত মুরাদ অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে বা এইএসএ রাডার ব্যবহারের মাধ্যমে। এরপর কিজিলেলমার ডানার নিচে স্থাপিত পড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।

বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। ছবি: আনাদোলু
বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। ছবি: আনাদোলু

তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো যুদ্ধবিমান নিজস্ব রাডার ব্যবস্থাপনায় তৈরি আকাশ–থেকে–আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জেট চালিত উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করল। এ সফলতায় কিজিলেলমা বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র মানববিহীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশযুদ্ধে সক্ষমতার স্বীকৃতি পেল। এ মাসে কিজিলেলমার ধারাবাহিক পরীক্ষার অংশ এটি। এর আগে একটি এফ–১৬ যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করেও পরীক্ষামূলক অভিযান চালায় এটি।

রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় সিনোপ প্রদেশের আকাশে পরিচালিত এ পরীক্ষা ছিল ‘আরেকটি প্রথম’, যা তুরস্কের দীর্ঘমেয়াদি এরোস্পেস কৌশলের প্রতিফলন। পরীক্ষায় মেরজিফন এয়ার বেজের পাঁচটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিজিলেলমার সঙ্গে সমন্বিত বিন্যাসে উড্ডয়ন করে। মনুষ্যচালিত ও মানববিহীন প্ল্যাটফর্মের এ যৌথ মিশন ভবিষ্যৎ আকাশযুদ্ধের নতুন ধারণা তুলে ধরেছে। মিশনে আকাশ থেকে দৃশ্য ধারণের জন্য বায়রাকতার আকিনচি নামক আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলও (ড্রোন) ব্যবহার করা হয়।

বায়কারের বিশ্বখ্যাত ড্রোন–উৎপাদন প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সফলতার প্রদর্শন হলো এই কিজিলেলমা। কম রাডার সিগনেচার ও উন্নত সেন্সর প্রযুক্তির কারণে এটি দূর থেকে শত্রু উড়োজাহাজ শনাক্ত করতে পারে, অথচ রাডারে ধরা পড়ে না। মুরাদ এইএসএ রাডার, তয়গুন টার্গেটিং সিস্টেমসহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এতে সংযোজিত। আগে পরিচালিত পরীক্ষায় এটি তোলুন ও তেবের–৮২ নামক গোলাবারুদ দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছিল।

বায়কারের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সেলচুক বায়রাকতার এ উপলক্ষে প্রচারিত ভিডিওতে বলেন, ‘আজ আমরা উড্ডয়ন–ইতিহাসের নতুন এক যুগের দ্বার খুললাম।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানববিহীন যুদ্ধবিমান রাডার–নির্দেশিত এয়ার–টু–এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিখুঁতভাবে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আল্লাহর রহমতে এ অর্জনে এই প্রযুক্তিতে তুরস্ক বিশ্বের প্রথম দেশ হয়ে উঠল।’

বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। ছবি: আনাদোলু
বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। ছবি: আনাদোলু

বায়কারের সিইও হালুক বায়রাকতার ঘটনাটিকে এক বাঁকবদলের মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘নিজস্বভাবে তৈরি উড়োজাহাজ, রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র—এই তিনে গঠিত আকাশ–যুদ্ধ শৃঙ্খলের সমস্ত ধাপ আজ আমরা নিজেদের সক্ষমতায় সম্পন্ন করেছি।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ গর্ব সমগ্র জাতির।’

তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মেহমেত ফাতিহ কাচির বলেন, এটি বিশ্বে প্রথম সাফল্য এবং এটি প্রমাণ করে যে—তুরস্কের জাতীয় প্রযুক্তি সক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আকাশে আধিপত্যের নিয়ম নতুন করে লেখা সম্ভব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়ন ডলার ক্ষতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৮
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলতি ফল সেশনে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। অভিবাসন নীতি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এমন পতন দেখা গেল। যার অর্থনৈতিক মূল্যও বেশ বড়। প্রায় ১১০ কোটি ডলার।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (আইআইই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আইআইই–এর ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা মোট প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে যুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে টিউশন ফি ও শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন খরচ।

এ বছর এই তীব্র হ্রাসের মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শিক্ষার্থী–ভিসা নীতির পরিবর্তন। আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংগঠন নাফসার আলাদা এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই পতনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি হবে প্রায় ১.১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি ডলার।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ইমপ্ল্যানের আলাদা হিসাব অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের সরাসরি খরচ কমে যাওয়া এবং তার প্রভাব মিলিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি ধরা পড়েছে। ইমপ্ল্যানের অর্থনীতিবিদ বিয়র্ন মার্কেসন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা শুধু ক্লাসে যায় না, তারা স্থানীয় অর্থনীতিকে সক্রিয় রাখে। তাদের খরচ হাজারো চাকরি টিকিয়ে রাখে, স্থানীয় ব্যবসা সচল রাখে, আর সেই আয় থেকেই কমিউনিটি সার্ভিসের কর রাজস্ব গড়ে ওঠে।’

ট্রাম্প প্রশাসন আগামী বসন্তে নতুন ভিসা আবেদন অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিল। তাদের বেশির ভাগই ভারত ও চীন থেকে এসেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট উচ্চশিক্ষা শিক্ষার্থীর প্রায় ৬ শতাংশ, ওপেন ডোরসের তথ্য অনুযায়ী।

যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর প্রধান গন্তব্য। কিন্তু সেই পাইপলাইন আগে থেকেই চাপে ছিল। ২০২৪ সালের শরতেও নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছিল, যা ২০২০-২১ কোভিড-পরবর্তী সময়ের পর প্রথম বড় হ্রাস বলে ওপেন ডোরস জানায়। আরও কঠোর মার্কিন শিক্ষার্থী–ভিসা নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা নিয়ে বিদেশে পরিবর্তিত মনোভাব, এসব কারণেই এমন পতন ঘটেছে বলে অন্যান্য গবেষণায় পাওয়া যায়।

নাফসার নির্বাহী পরিচালক ও সিইও ফান্টা আউ বলেন, ‘গত বছর ও এ বছরের ভর্তি সংখ্যাগুলো গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের মেধা আসার পথ এখন অস্থির ও ঝুঁকির মধ্যে। এই নীতি পরিবর্তনের প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কমিউনিটিতে অনুভূত হচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমার বিস্তৃত অর্থনৈতিক প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানকার শিক্ষার্থীদের। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কেবল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই আনেন না, তারা সাধারণত পূর্ণ টিউশন ফি দেন। ওপেন ডোরস ৮২৫ টির বেশি প্রতিষ্ঠানের জরিপ চালিয়ে বলেছে, এই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় আয়ের উৎস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদুরোর সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে কী কথা হয়েছে বলব না: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২০
ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, তা তিনি বলবেন না। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, তা তিনি বলবেন না। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। উত্তর হলো, হ্যাঁ, আমি কথা বলেছি।’ সোজা ভাষায়, ট্রাম্প বোঝাতে চাইলেন যে, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে তা তিনি বলবেন না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে প্রথম জানানো হয়, চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। সেই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও কথা হয়। ট্রাম্প বলেন, ফোনালাপটি ভালো বা খারাপ হয়েছে কিনা এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল কেবল একটি ফোন কল।’

ট্রাম্পের এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন তিনি ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে একদিকে উগ্র ভাষা ব্যবহার করছেন, অন্যদিকে আবার কূটনীতির সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রাখছেন। গত শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভেনেজুয়েলার ওপর ও আশপাশের আকাশপথ ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’ বলে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এতে কারাকাসে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যখন তাঁর প্রশাসন মাদুরো সরকারকে চাপে ফেলতে পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে।

আকাশপথ বন্ধ ঘোষণার অর্থ কি ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা আসন্ন—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘এ নিয়ে বেশি কিছু ভেবো না।’ মার্কিন প্রশাসন বহুদিন ধরে ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে নানা বিকল্প বিবেচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, মাদুরো অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখছেন, যা আমেরিকানদের হত্যা করছে। মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় থাকা বিকল্পগুলোর মধ্যে মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ক্যারিবিয়ান সাগরে বিশাল সামরিক উপস্থিতি এবং ভেনেজুয়েলার উপকূলে তিন মাস ধরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা লক্ষ্য করে চালানো হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী নাকি নতুন ধাপের অভিযানের জন্য প্রস্তুত।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব হামলাকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্রও আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের পথে হাঁটছে।

ট্রাম্প বলেন, সেপ্টেম্বরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে একটি অভিযানে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়েছিল কি না, তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। তিনি যোগ করেন, এ ধরনের হামলা তিনি চাননি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ অবশ্য দাবি করেছেন, এসব হামলা বৈধ এবং ‘মারণক্ষম’ হওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প সামরিক সদস্যদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব শিগগিরই’ ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করবে বলে, যার লক্ষ্য সন্দেহভাজন ভেনেজুয়েলার মাদক পাচারকারীদের দমন।

মাদুরো ও তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখনো ফোনালাপ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদের প্রধান হোর্হে রদ্রিগেজ বলেন, ফোনালাপ তাঁর সংবাদ সম্মেলনের বিষয় নয়। সেদিন তিনি ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-হামলা নিয়ে পার্লামেন্টারি তদন্তের ঘোষণা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতপাতের বলি প্রেমিক, মৃতদেহের সামনে সিঁদুর পরে তরুণী বললেন, ‘আমাদের ভালোবাসাই জিতেছে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৪
মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে বাবা-মায়ের ফাঁসি চাইলেন তরুণী। ছবি: সংগৃহীত
মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে বাবা-মায়ের ফাঁসি চাইলেন তরুণী। ছবি: সংগৃহীত

তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নান্দেদের বাসিন্দা সক্ষম টাটে (২০) এবং আঁচল নামের এক তরুণীর মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আঁচলের ভাইদের মাধ্যমেই সক্ষমের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এরপর সক্ষমের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের সূত্রে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক আঁচলের পরিবার মেনে নেয়নি। ভিন্ন জাতের হওয়ায় মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্কে তীব্র বিরোধিতা শুরু করে এবং প্রেমিক যুগলকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়। তবে এত বাধা সত্ত্বেও আঁচল সক্ষমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি আঁচলের ভাই ও বাবা জানতে পারেন যে আঁচল সক্ষম টাটেকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপরই ক্ষোভে তারা চরম পদক্ষেপ নেয়। গত বৃহস্পতিবার তারা প্রকাশ্যেই সক্ষমকে মারধর করে। এরপর গুলি করে এবং পরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। এই বর্বরোচিত ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সক্ষম টাটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যখন চলছিল, ঠিক সেই সময় আঁচল সেখানে উপস্থিত হন। এই শোকস্তব্ধ পরিবেশে তিনি এক অভূতপূর্ব প্রতিবাদ করেন, ভালোবাসার অনন্য উদাহরণ তৈরি করেন। তিনি প্রথমে সক্ষমের নিষ্প্রাণ দেহে হলুদ লাগান এবং এরপর নিজের কপালে সিঁদুর পরেন। মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে তিনি সক্ষমের বাড়িতেই তাঁর স্ত্রী তথা পুত্রবধূ হিসেবে বাকি জীবন কাটাবেন।

সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে আঁচল বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসা জিতেছে, এমনকি সক্ষমের মৃত্যুতেও। আর আমার বাবা ও ভাইরা হেরেছে।’ তিনি সাফ জানান, সক্ষম আজ মৃত হলেও তাঁদের ভালোবাসা চিরন্তন, আর সেই কারণেই তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সক্ষমের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।

এই ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। সক্ষম টাটেকে হত্যা করার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আরও কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত