শান্তি চুক্তির প্রয়োজনে দেশের কোনো ভূখণ্ড পুতিনের হাতে যাবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার মানে রাশিয়া আবারও ফিরে আসতে পারে। বরং পশ্চিমা অস্ত্র শান্তি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী বসন্তের শুরুতেই আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন দিক থেকেই চলছে রুশ আক্রমণ। অবশ্যই, আধুনিক অস্ত্রই পারে শান্তি প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে। অস্ত্রই একমাত্র ভাষা, যা রাশিয়া বোঝে।’
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বেলারুশের নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর হুমকির কথা স্বীকার করে বিবিসিকে বলেন, ‘আমি আশা করি বেলারুশ যুদ্ধে যোগ দেবে না। যদি তাই হয়, আমরা লড়াই করব এবং আমরা বেঁচে থাকব। ইউক্রেনে হামলা চালাতে নিজেদের একটি মঞ্চ হিসেবে রাশিয়াকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে বেলারুশের জন্য একটি বিশাল ভুল।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী এক বছর আগে বেলারুশ থেকে পুরোপুরি আক্রমণের একটি অংশ শুরু করেছিল। তারা দক্ষিণে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা পিছু হটেছিল।
যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশল দেখে বিস্মিত কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, ‘যেভাবে সৈন্যরা সবকিছু ধ্বংস করেছে, তা অর্থহীন। যদি এ রকম হামলার আদেশ পেয়ে থাকে এবং তা পালন করে থাকে, তবে বুঝতে হবে তারাও একই মূল্যবোধ ধারণ করে।’
কীভাবে এই যুদ্ধের অবসান হতে পারে বলে মনে করেন জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইউক্রেন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। আমাদের দেশ শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, মূল্যবোধের দিক থেকেও ইউরোপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই পথ বেছে নিয়েছি, কারণ আমরা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই। আঞ্চলিক সমঝোতা রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দুর্বল করে দেবে।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আপসের প্রশ্ন নয়, কথা হচ্ছে আমরা কেন ভয় পাব? আমাদের জীবনে প্রতিদিন অনেক ক্ষেত্রেই আপস করতে হয়। প্রশ্ন হলো, সেই আপস কার সঙ্গে করব? পুতিনের সঙ্গে? না আমরা তাঁর সঙ্গে কোনো আপস করব না। কারণ তাঁর ওপর কোনো আস্থা নেই। আমরা কী তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে কোনো সংলাপ করব? আমি বলছি, তাও হবে না। কারণ তাঁর ওপর আমাদের কোনো বিশ্বাস নেই।’
এ দিকে পশ্চিমা অস্ত্র যে গতিতে এসেছে তা নিয়ে দিনদিন কিয়েভ হতাশ হয়ে পড়ছে। জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর যুদ্ধের জন্য গত মাসে যে ট্যাংকের সরবরাহ করার কথা ছিল, তা পৌঁছাতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তাই দেশকে রক্ষা করতে জোরদার আন্তর্জাতিক সমর্থন ও আধুনিক অস্ত্র চাইতে ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ (ইইউ) যুক্তরাজ্যের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। আধুনিক যুদ্ধবিমান চাইলে জেলেনস্কিকে তখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, ‘কোনো কিছুই আলোচনার টেবিলের বাইরে নেই।’
চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের দেওয়া তথ্য বলেছে, ইউক্রেনে আক্রমণের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত যে কোনো সময়ের চেয়ে এই মাসে রুশ সৈন্য বেশি মারা গেছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক বছর পূর্তি হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। এই পূর্তি উপলক্ষে জেলেনস্কি বিবিসিকে এই সাক্ষাৎকার দেন।
শান্তি চুক্তির প্রয়োজনে দেশের কোনো ভূখণ্ড পুতিনের হাতে যাবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার মানে রাশিয়া আবারও ফিরে আসতে পারে। বরং পশ্চিমা অস্ত্র শান্তি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী বসন্তের শুরুতেই আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন দিক থেকেই চলছে রুশ আক্রমণ। অবশ্যই, আধুনিক অস্ত্রই পারে শান্তি প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে। অস্ত্রই একমাত্র ভাষা, যা রাশিয়া বোঝে।’
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বেলারুশের নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর হুমকির কথা স্বীকার করে বিবিসিকে বলেন, ‘আমি আশা করি বেলারুশ যুদ্ধে যোগ দেবে না। যদি তাই হয়, আমরা লড়াই করব এবং আমরা বেঁচে থাকব। ইউক্রেনে হামলা চালাতে নিজেদের একটি মঞ্চ হিসেবে রাশিয়াকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে বেলারুশের জন্য একটি বিশাল ভুল।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী এক বছর আগে বেলারুশ থেকে পুরোপুরি আক্রমণের একটি অংশ শুরু করেছিল। তারা দক্ষিণে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা পিছু হটেছিল।
যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশল দেখে বিস্মিত কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, ‘যেভাবে সৈন্যরা সবকিছু ধ্বংস করেছে, তা অর্থহীন। যদি এ রকম হামলার আদেশ পেয়ে থাকে এবং তা পালন করে থাকে, তবে বুঝতে হবে তারাও একই মূল্যবোধ ধারণ করে।’
কীভাবে এই যুদ্ধের অবসান হতে পারে বলে মনে করেন জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইউক্রেন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। আমাদের দেশ শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, মূল্যবোধের দিক থেকেও ইউরোপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই পথ বেছে নিয়েছি, কারণ আমরা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই। আঞ্চলিক সমঝোতা রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দুর্বল করে দেবে।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আপসের প্রশ্ন নয়, কথা হচ্ছে আমরা কেন ভয় পাব? আমাদের জীবনে প্রতিদিন অনেক ক্ষেত্রেই আপস করতে হয়। প্রশ্ন হলো, সেই আপস কার সঙ্গে করব? পুতিনের সঙ্গে? না আমরা তাঁর সঙ্গে কোনো আপস করব না। কারণ তাঁর ওপর কোনো আস্থা নেই। আমরা কী তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে কোনো সংলাপ করব? আমি বলছি, তাও হবে না। কারণ তাঁর ওপর আমাদের কোনো বিশ্বাস নেই।’
এ দিকে পশ্চিমা অস্ত্র যে গতিতে এসেছে তা নিয়ে দিনদিন কিয়েভ হতাশ হয়ে পড়ছে। জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর যুদ্ধের জন্য গত মাসে যে ট্যাংকের সরবরাহ করার কথা ছিল, তা পৌঁছাতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তাই দেশকে রক্ষা করতে জোরদার আন্তর্জাতিক সমর্থন ও আধুনিক অস্ত্র চাইতে ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ (ইইউ) যুক্তরাজ্যের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। আধুনিক যুদ্ধবিমান চাইলে জেলেনস্কিকে তখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, ‘কোনো কিছুই আলোচনার টেবিলের বাইরে নেই।’
চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের দেওয়া তথ্য বলেছে, ইউক্রেনে আক্রমণের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত যে কোনো সময়ের চেয়ে এই মাসে রুশ সৈন্য বেশি মারা গেছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক বছর পূর্তি হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। এই পূর্তি উপলক্ষে জেলেনস্কি বিবিসিকে এই সাক্ষাৎকার দেন।
ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলবেনিয়ায়। ইউরোপের দেশগুলোর প্রায় সব শীর্ষ নেতাই এখন সেখানে অবস্থান করছেন। নেতাদের জন্য লাল গালিচা সংবর্ধনা আয়োজন করেছিল আলবেনিয়া কর্তৃপক্ষ।
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত করছাড় বিল কংগ্রেসে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) হাউস বাজেট কমিটিতে প্রস্তাবটি প্রাথমিক ধাপেই আটকে যায়, কারণ রিপাবলিকান দলের কট্টরপন্থী সদস্যরা আরও বড় পরিসরে খরচ কমানোর দাবিতে বিলটি আটকে দেন। এই ঘটনাটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য
৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-আমেরিকান সাহিত্যিক সালমান রুশদির ওপর হামলাকারী হাদি মাতারকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। শুক্রবার (১৬ মে) নিউইয়র্কের চৌতকোয়া শহরের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজার্সির ২৭ বছর বয়সী হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টা ও হামলার অভিযোগে দোষী
৬ ঘণ্টা আগেব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা আজ শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একমত হয়ে জানিয়েছেন, শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থান ‘অগ্রহণযোগ্য’। এই আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও পরামর্শ হয়েছে বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার...
৭ ঘণ্টা আগে