Ajker Patrika

ইউক্রেনকে ৪টি যুদ্ধবিমান দিচ্ছে পোল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩, ১২: ৩৮
Thumbnail image

ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ড প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে যাচ্ছে। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘শিগগিরই ইউক্রেনকে চারটি যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে সেগুলো অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পোল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান ইউক্রেন যুদ্ধে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে যুদ্ধাস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে ন্যাটো জোটভুক্ত প্রথম কোনো দেশ হিসেবে পোল্যান্ড যুদ্ধবিমান দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে যাচ্ছে। 

ইউক্রেনের ডেপুটি স্পিকার ওলেনা কনড্রাটিউক সংসদে বলেছেন, অন্যান্য দেশ পোল্যান্ডকে অনুসরণ করবে বলে তিনি আশা করেন। দেশটির একজন সংসদ সদস্য কিরা রুদিক বিবিসিকে বলেছেন, এটি অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান পাওয়াটা অসম্ভব বা পরাবাস্তব কিছু নয়। এমন ঘটনার জন্য কেবল রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। 

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি সাক বলেছেন, ‘পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমানগুলোকে আমাদের বিমানবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করবে।’ 

ইউক্রেনের শক্তিশালী মিত্র হিসেবে পোল্যান্ড ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে অনেক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট দুদা বলেছেন, তাঁদের কাছে এখনো বেশ কয়েকটি সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯ উড়োজাহাজ রয়েছে। 

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, পোল্যান্ডের কাছে থাকা সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান থেকে চারটি যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা বলেছেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডের রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। 

এর আগে ন্যাটোভুক্ত আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে সোভিয়েত যুগের উড়োজাহাজ পাঠাবে বলে জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, এসব উড়োজাহাজ ইউক্রেনের পাইলটরা যেন প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করতে পারে, সে জন্য তারা উড়োজাহাজগুলো পাঠাবে। 

ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বারবার এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে। 

এদিকে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। দেশটি বলেছে, প্রশিক্ষণে দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে। এ সময়ে দীর্ঘমেয়াদি বিকল্প হিসেবে পশ্চিমারা যুদ্ধবিমান পাঠাতে পারে। 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি এই মুহূর্তে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠাবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত