Ajker Patrika

মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য খুন, সাবেক শিক্ষকের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩৭
Thumbnail image

মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য খুন করার অভিযোগে জার্মানিতে একজন সাবেক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বার্লিনের একটি আদালত এ রায় দেন।

এ নিয়ে মামলার বিচারক ম্যাথিয়াস শার্টজ বলেন, স্টেফান আর নামে ওই ব্যক্তি মানুষের মাংস খেয়ে দেখতে চেয়েছিলেন। 

এ ঘটনাকে অমানবিক বলে আখ্যায়িত করে শার্টজ বলেন, আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কোনো অভিযোগ আগে আসেনি। 

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রায় প্রদানের সময় অভিযুক্ত নীরব ও অভিব্যক্তিহীন ছিলেন। 

আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪২ বছর বয়সী স্টেফান ভুক্তভোগীর সঙ্গে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হন। পরে তিনি ওই ভুক্তভোগীকে বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানান। কয়েক দিন পর ওই ভুক্তভোগী বাড়িতে এলে তাঁকে জবাই করেন স্টেফান আর । পরে ওই ব্যক্তির মরদেহের বিভিন্ন অংশ টুকরো টুকরো করে বার্লিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা প্যানকোর বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়। 

অভিযুক্ত স্টেফান আর জানিয়েছেন, গলা ও বিশেষ অঙ্গ কাটার আগে ভুক্তভোগীকে মাদক সেবন করিয়েছেন তিনি।

২০২০ সালের নভেম্বরে প্যানকো জেলার একটি পার্কে একটি মরদেহের হাড় পাওয়ার পর পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে তদন্তের মাধ্যমে স্টেফান আরের এই অপকর্মের খবরটি উঠে আসে।

পুলিশ জানায়, ওই ভুক্তভোগীর নাম বার্লিনার স্টেফান টি। তাঁর বয়স ছিল ৪৩। মরদেহ উদ্ধারের আগে বেশ কয়েক দিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। 

ওই ভুক্তভোগীর ফোন রেকর্ডের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরে তাঁর কাছ থেকে ওই মরদেহের বাকি অংশ উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, ভুক্তভোগী স্বাভাবিকভাবেই মারা গেছেন। সমকামিতার কথা গোপন রাখতেই তাঁর মরদেহ টুকরো টুকরো করেন স্টেফান আর। 

তবে বিচারক শার্টজ বলেন, অণ্ডকোষ ও বিশেষ অঙ্গ এমনভাবে আলাদা করা হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় যে অভিযুক্তের মানুষের মাংস খাওয়ার ইচ্ছা ছিল। 

এর আগেও জার্মানিতে ডেটলেভ গুয়েঞ্জেল নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ৫৮ বছর বয়সী গুয়েঞ্জেল এক ব্যক্তিকে খুনের পর মরদেহ তাঁর বাগানে দাফন করার আগে ছোট ছোট টুকরো করে কেটেছিল। তবে তিনি ওই ব্যক্তির মাংস খেয়েছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

এদিকে ২০০৬ সালে জার্মানিতে আরমিন মেইওয়েস নামে আরেক ব্যক্তিকে মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য খুন করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আরমিন মেইওয়েস ভুক্তভোগীর মাংস খেয়েছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত