অনলাইন ডেস্ক
এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনল ইসরায়েলেরই দুই মানবাধিকার সংস্থা। বেতসেলেম ও ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল নামের ওই দুই সংগঠন সরাসরি বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নিজেদের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যউপাত্ত, প্রমাণসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থা দুটি।
এই দুই মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ইসরায়েলের দুই মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেম ও ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল প্রথমবারের মতো সরাসরি বলল যে ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। এটি মানবাধিকার অঙ্গনের জন্য এক নতুন মাইলফলক, যা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি সরকার যখন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যক্রম দমন করার চেষ্টা করছে, তখন এই দুই প্রতিবেদন প্রকাশ সাহসিকতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতির নিদর্শন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে এগিয়ে আসা, দখলদারির অবসান ঘটানো এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযান, দীর্ঘমেয়াদি দখলদার ও বর্ণবাদনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে যে প্রতিবেদন বেতসেলেম প্রকাশ করেছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আওয়ার জেনোসাইড’ বা ‘আমাদের গণহত্যা’। প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ড, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনযাপনের ধরন বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করা হয়েছে—পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করা হচ্ছে। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা–ও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বেতসেলেম সতর্ক করে বলেছে, গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, তার কিছু কৌশল পশ্চিম তীরেও প্রয়োগ করা হচ্ছে। যদিও তা তুলনামূলকভাবে ছোট পরিসরে, তবুও তা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, অবকাঠামোগত ধ্বংস ও দখলের নীতিকে প্রতিবেদনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েলের মেডিকেল লিগ্যাল বিশ্লেষণে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে পরিকল্পিতভাবে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সংগঠনটির নিজস্ব চ্যালেঞ্জ, ভিজ্যুয়াল প্রমাণ ও ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনিদের সাক্ষ্য দিয়ে দেখানো হয়েছে—এই ধ্বংস যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়, বরং একটি সুচিন্তিত নীতি, যার লক্ষ্য গাজার ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করা এবং এটি গণহত্যারই একটি রূপ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চিকিৎসাকেন্দ্রে সরাসরি ও নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে, চিকিৎসাসহায়তা আটকে দেওয়া হয়েছে, মুমূর্ষু রোগীদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, এমনকি চিকিৎসকদের আটক, নির্যাতন ও হত্যাও করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন দুটি এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। অ্যামনেস্টি মহাসচিব বলেন, এই নির্ভুল ও শক্তিশালী প্রতিবেদনগুলো সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর সামনে একটি সুস্পষ্ট বাস্তবতা তুলে ধরেছে। আর সেই বাস্তবতা হলো—গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা।
তিনি আরও বলেন, সবার বোঝা উচিত, এখন আর লোকদেখানো বিবৃতি আর প্রতীকী বিতর্কের সময় নেই। এখনই কার্যকর ও জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনল ইসরায়েলেরই দুই মানবাধিকার সংস্থা। বেতসেলেম ও ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল নামের ওই দুই সংগঠন সরাসরি বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নিজেদের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যউপাত্ত, প্রমাণসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থা দুটি।
এই দুই মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ইসরায়েলের দুই মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেম ও ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল প্রথমবারের মতো সরাসরি বলল যে ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। এটি মানবাধিকার অঙ্গনের জন্য এক নতুন মাইলফলক, যা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি সরকার যখন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যক্রম দমন করার চেষ্টা করছে, তখন এই দুই প্রতিবেদন প্রকাশ সাহসিকতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতির নিদর্শন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে এগিয়ে আসা, দখলদারির অবসান ঘটানো এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযান, দীর্ঘমেয়াদি দখলদার ও বর্ণবাদনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে যে প্রতিবেদন বেতসেলেম প্রকাশ করেছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আওয়ার জেনোসাইড’ বা ‘আমাদের গণহত্যা’। প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ড, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনযাপনের ধরন বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করা হয়েছে—পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করা হচ্ছে। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা–ও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বেতসেলেম সতর্ক করে বলেছে, গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, তার কিছু কৌশল পশ্চিম তীরেও প্রয়োগ করা হচ্ছে। যদিও তা তুলনামূলকভাবে ছোট পরিসরে, তবুও তা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, অবকাঠামোগত ধ্বংস ও দখলের নীতিকে প্রতিবেদনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েলের মেডিকেল লিগ্যাল বিশ্লেষণে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে পরিকল্পিতভাবে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সংগঠনটির নিজস্ব চ্যালেঞ্জ, ভিজ্যুয়াল প্রমাণ ও ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনিদের সাক্ষ্য দিয়ে দেখানো হয়েছে—এই ধ্বংস যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়, বরং একটি সুচিন্তিত নীতি, যার লক্ষ্য গাজার ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করা এবং এটি গণহত্যারই একটি রূপ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চিকিৎসাকেন্দ্রে সরাসরি ও নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে, চিকিৎসাসহায়তা আটকে দেওয়া হয়েছে, মুমূর্ষু রোগীদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, এমনকি চিকিৎসকদের আটক, নির্যাতন ও হত্যাও করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন দুটি এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। অ্যামনেস্টি মহাসচিব বলেন, এই নির্ভুল ও শক্তিশালী প্রতিবেদনগুলো সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর সামনে একটি সুস্পষ্ট বাস্তবতা তুলে ধরেছে। আর সেই বাস্তবতা হলো—গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা।
তিনি আরও বলেন, সবার বোঝা উচিত, এখন আর লোকদেখানো বিবৃতি আর প্রতীকী বিতর্কের সময় নেই। এখনই কার্যকর ও জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
আজ থেকে ৪৪ বছর আগে ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালে প্রিন্স চার্লসকে (বর্তমান ব্রিটিশ রাজা) বিয়ে করেছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। রাজকীয় পোশাক ও ২৫ ফুট লম্বা ট্রেন ছাপিয়ে সেদিন সবার নজর কেড়ে নেয় ডায়ানার মাথার ঝলমলে টায়রা।
৪ ঘণ্টা আগেএই ইস্যুতে আজ মঙ্গলবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি ভেঙে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক ডাকেন স্টারমার। বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যৌথভাবে গৃহীত নতুন শান্তি পরিকল্পনা ও গাজার ২২ লাখ মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপপ তারকা ক্যাটি পেরির সঙ্গে মন্ট্রিয়েলের একটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় ডিনার ডেটে দেখা গেছে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই খবর প্রকাশ করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেসব ধরনের বিবাহের জন্য ডেনমার্ক ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশের মতো নয়। তারা জন্মসনদ বা অবিবাহিত থাকার প্রমাণ চায় না। ডেনমার্কে বিয়ের জন্য শুধু একটি সার্টিফিকেট দরকার হয়। এটি পেলে চার মাসের মধ্যে ডেনমার্ক সরকার বিয়ের অনুমতি দেয়। কিছু ক্ষেত্রে, যদি ডিভোর্সের কাগজপত্র পরিষ্কার না হয়, তবে কর্মকর্তারা একটি
৬ ঘণ্টা আগে