আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউক্রেনের বিপক্ষে যুদ্ধে রাশিয়াকে যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। এমনটাই দাবি করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের। তারা বলছে, পিয়ংইয়ং মস্কোকে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ১৫২ মিমি আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদলীয় এক এমপিকে জমা দেওয়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিআইএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া প্রায় ২৮ হাজার কনটেইনারে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ডিআইএ জানায়, ১৫২ মিমি শেলের হিসাব ধরলে সরবরাহকৃত শেলের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের বেশি ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র এবং আনুমানিক ১৩ হাজার সেনা সরবরাহ করেছে বলে জানায় সংস্থাটি।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের দাবি, গত এক বছরে উত্তর কোরিয়া প্রায় ১১ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। গত মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাটিও জানায়, জুলাই বা আগস্টে উত্তর কোরিয়া আরও সেনা পাঠাতে পারে।
এদিকে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে পুনর্গঠনের কাজে সহায়তার জন্য উত্তর কোরিয়া ৫ হাজার সামরিক নির্মাণকর্মী এবং ১ হাজার মাইন পরিষ্কার ও নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পাঠাবে।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে তিনি ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ দিচ্ছেন।
উত্তর কোরিয়ায় লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে কিম জানান, ইউক্রেন সংকটের ‘মূল কারণ’ মোকাবিলায় ‘রুশ নেতৃত্বের সব ধরনের পদক্ষেপকে’ উত্তর কোরিয়া সমর্থন করে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, শনিবার কিম ও লাভরভের মধ্যে উষ্ণ ও আস্থার পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিম জং উন আরও বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, রুশ সেনাবাহিনী ও জনগণ দেশকে মর্যাদা ও মৌলিক স্বার্থ রক্ষার পবিত্র দায়িত্বে বিজয় অর্জন করবেই।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এ বৈঠকের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় কিম জং উন ও সের্গেই লাভরভ পরস্পরকে করমর্দন ও আলিঙ্গন করছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, লাভরভ উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুইয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন এবং রাশিয়ায় মোতায়েন উত্তর কোরিয়ার সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধের সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হলো, অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে জানান, রুশ বিমান হামলা বেড়ে যাওয়ায় ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে ন্যাটোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন তিনি।
পিয়ংইয়ং প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে গত এপ্রিল মাসে।
গত বছরের জুনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন কিম জং উন। চুক্তিতে বলা হয়, যদি কোনো একটি দেশ ‘আগ্রাসনের’ মুখে পড়ে, তবে অন্য দেশ সেটিকে সহায়তা করবে।
শুধু সৈন্য নয়, উত্তর কোরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য হাজার হাজার শ্রমিক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
আরও খবর পড়ুন:
ইউক্রেনের বিপক্ষে যুদ্ধে রাশিয়াকে যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। এমনটাই দাবি করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের। তারা বলছে, পিয়ংইয়ং মস্কোকে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ১৫২ মিমি আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদলীয় এক এমপিকে জমা দেওয়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিআইএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া প্রায় ২৮ হাজার কনটেইনারে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ডিআইএ জানায়, ১৫২ মিমি শেলের হিসাব ধরলে সরবরাহকৃত শেলের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের বেশি ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র এবং আনুমানিক ১৩ হাজার সেনা সরবরাহ করেছে বলে জানায় সংস্থাটি।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের দাবি, গত এক বছরে উত্তর কোরিয়া প্রায় ১১ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। গত মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাটিও জানায়, জুলাই বা আগস্টে উত্তর কোরিয়া আরও সেনা পাঠাতে পারে।
এদিকে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে পুনর্গঠনের কাজে সহায়তার জন্য উত্তর কোরিয়া ৫ হাজার সামরিক নির্মাণকর্মী এবং ১ হাজার মাইন পরিষ্কার ও নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পাঠাবে।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে তিনি ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ দিচ্ছেন।
উত্তর কোরিয়ায় লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে কিম জানান, ইউক্রেন সংকটের ‘মূল কারণ’ মোকাবিলায় ‘রুশ নেতৃত্বের সব ধরনের পদক্ষেপকে’ উত্তর কোরিয়া সমর্থন করে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, শনিবার কিম ও লাভরভের মধ্যে উষ্ণ ও আস্থার পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিম জং উন আরও বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, রুশ সেনাবাহিনী ও জনগণ দেশকে মর্যাদা ও মৌলিক স্বার্থ রক্ষার পবিত্র দায়িত্বে বিজয় অর্জন করবেই।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এ বৈঠকের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় কিম জং উন ও সের্গেই লাভরভ পরস্পরকে করমর্দন ও আলিঙ্গন করছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, লাভরভ উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুইয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন এবং রাশিয়ায় মোতায়েন উত্তর কোরিয়ার সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধের সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হলো, অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে জানান, রুশ বিমান হামলা বেড়ে যাওয়ায় ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে ন্যাটোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন তিনি।
পিয়ংইয়ং প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে গত এপ্রিল মাসে।
গত বছরের জুনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন কিম জং উন। চুক্তিতে বলা হয়, যদি কোনো একটি দেশ ‘আগ্রাসনের’ মুখে পড়ে, তবে অন্য দেশ সেটিকে সহায়তা করবে।
শুধু সৈন্য নয়, উত্তর কোরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য হাজার হাজার শ্রমিক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
আরও খবর পড়ুন:
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা আপাতত স্থগিত রাখার অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় সাময়িকভাবে আটকে গেল।
৪ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সী পৌডেল দৌড়ে পালাচ্ছেন, আর পেছনে শত শত মানুষ তাঁকে ধাওয়া করছে। একপর্যায়ে এক তরুণ বিক্ষোভকারী সামনে থেকে এসে লাফিয়ে তাঁকে লাথি মারেন। এতে তিনি একটি লাল দেয়ালে ধাক্কা খান। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার উঠে দৌড়াতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেনেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কোটেশ্বরে ভয়াবহ সহিংসতায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, আত্মসমর্পণের পরও আন্দোলনকারীরা তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেদোহায় ইসরায়েলি হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি হামাস নেতাদের। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে