Ajker Patrika

রাশিয়ার ড্রোন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৪, ২১: ১৯
Thumbnail image

রাশিয়ার একটি ড্রোন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেনের বাহিনী। ওই ঘাঁটি থেকে ইরানি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা ও ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে দাবি করেছে দেশটি। 

ইউক্রেনের স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে এমনটিই দেখা গেছে। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাসনোদার অঞ্চলে একটি বিমান ঘাঁটির কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরেই ইউক্রেনের নৌবাহিনী সেখানকার ছবি পোস্ট করেছে। 

আজ রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে। 

তবে মস্কো এখন পর্যন্ত এই রিপোর্ট নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা শুক্রবার রাতে অঞ্চলটিতে ড্রোন ভূপাতিত করেছে। 

কিয়েভের নৌ কর্মকর্তারা বলেছেন, হামলায় ইরানি শাহেদ ড্রোন পরিচালনার জন্য বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষক এবং শিক্ষানবিশ ক্যাডেট নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি কিয়েভের। 

বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে কিয়েভের নৌ কর্মকর্তারা বলেছেন, এই অভিযান পরিকল্পিত ছিল এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে অভিযান চালানো হয়েছে। 

মার্কিন সংস্থা প্ল্যানেট ল্যাবসের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, ড্রোন ঘাঁটিটি দখলকৃত ইউক্রেনীয় শহর মারিউপোলের বিপরীতে আজভ সাগরে ছিল। 

রাশিয়া শুক্রবার জানিয়েছে, তারা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইউক্রেনের ১১৪টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পরদিন শনিবার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার স্থাপিত কর্মকর্তারা বলেছেন, উপদ্বীপে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। ২০২০ সালে ক্রিমিয়ায় আঞ্চলিক গভর্নর হিসেবে নিয়োজিত মিখাইল রাজভোজায়েভ বলেছেন, প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাঁচটি মিসাইল বিমান প্রতিরক্ষা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ উপকূলীয় অঞ্চলে পড়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মার্কিন তৈরি এটিএসিএমএস, যা রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম। 

অন্যদিকে রাশিয়ার বেলগ্রেড এলাকার গভর্নর বলেছেন, আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। তবে ড্রোন ঘাঁটিতে হামলার কথা উল্লেখ করেনি রাশিয়া। 

এদিকে কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দুজন আহত হয়েছেন এবং বহু আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

কিয়েভের আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান রুসলান ক্রাভচেঙ্কো বলেছেন, ধ্বংসাবশেষ পড়ে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। হামলায় ৬টি টাওয়ার ব্লক, ২০টি ব্যক্তিগত বাড়ি এবং বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, তারা কিয়েভ অভিমুখে রাশিয়ার নিক্ষেপ করা তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে দুটি ধ্বংস করেছে। 

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আবারও ইউক্রেনে নতুন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের জন্য। তিনি বলেন, ‘ঝাঁকে ঝাঁকে আসা রুশ বোমা ধ্বংস করার জন্য ইউক্রেনের প্রয়োজনীয় বাহিনী এবং যন্ত্র প্রয়োজন।’ 

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৮৪৯ দিনের মতো চলছে দেশ দুটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত