অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর শুল্ক ৮৪ শতাংশে উন্নীত করেছে বেইজিং। আগে এই শুল্কের হার ছিল ৩৪ শতাংশ। এর আগে, ট্রাম্প চীনের ওপর কয়েক দফায় শুল্কারোপ করা হয়। একপর্যায়ে চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে সেটিও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ উন্নীত করেন তিনি। ট্রাম্প মার্কিন শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার পর চীনের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বেইজিং ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই’ করার অঙ্গীকার করেছে এবং ওয়াশিংটনও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারাও পিছু হটবে না। শুল্ক ছাড়াও চীন এক ডজনেরও বেশি মার্কিন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব কোম্পানির নির্বাহীরা চীনে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং চীনে বিনিয়োগও করতে পারবেন না।
কাগজে কলমে, শুল্কের কারণে চীনের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। চীনা কোম্পানিগুলো গত বছর আমেরিকায় প্রায় ৪৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করেছে। এই পরিমাণ মার্কিন কোম্পানিগুলো চীনে যা বিক্রি করেছে তার প্রায় ৩ গুণ। আর তাই বাস্তবতা হলো—উচ্চ শুল্ক চীনা ব্যবসার ওপর বড় আঘাত হানবে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে বাস্তবতা আরও অনেক জটিল। মুডিস অ্যানালিটিক্সের সারাহ তান বলেন, চীনের ৮৪ শতাংশ শুল্ক মার্কিন কৃষি কোম্পানিগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। কারণ, এসব কোম্পানির সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার চীন।
সারাহ তান বলেন, ‘মার্কিন কৃষি খাত (চীনা) আক্রমণের প্রথম সারিতে। মার্চ মাসে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে এই বাড়তি শুল্ক যখন যুক্ত হবে তার ফলে সয়াবিন, ফল, দুগ্ধজাত পণ্য, শূকরের মাংস এবং গরুর মাংসের ওপর আরও বাড়তি ১০ শতাংশ এবং মুরগি, গম, ভুট্টা এবং তুলার ওপর ১৫ শতাংশ যুক্ত হবে তখন মার্কিন কৃষকেরা দেখবেন শিগগির চীনের বাজারে তাদের পণ্যের চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় হ্রাস পাচ্ছে।’
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অ্যালেক্স হোমস বলেছেন, মার্কিন ভোক্তারাও মূল্যস্ফীতির মুখে পড়বেন। কারণ, শুল্ক চীনা আমদানিকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে শুল্কের হার এখন এতটাই বেশি যে, এটি মূলত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য সবকিছুর জন্য একটি অবরোধ।’
দ্য ইকোনমিস্টের ভূ-রাজনীতি বিভাগের সম্পাদক ডেভিড রেনির মতে, চীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের আক্রমণের জন্য খুব সাবধানে পরিকল্পনা করছে এবং এর অস্ত্রাগারে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উভয় ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা রয়েছে। রেনি বিবিসির নিউজ আওয়ার অনুষ্ঠানে বলেন, বেইজিং ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই বুঝতে পেরেছিল যে, তিনি চীনকে লক্ষ্যবস্তু করবেন।
রেনি সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি চীনা কর্মকর্তা ও পণ্ডিতদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। তিনি বলেন, ‘চীন পরিকল্পনা করতে পছন্দ করে। তারা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পছন্দ করে। এই অস্থির, লেনদেনভিত্তিক আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোকাবিলা করা তাদের জন্য খুব কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে তারা দীর্ঘ সময় ধরে খুব সাবধানে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা স্বল্পমেয়াদি প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি এবং রপ্তানির ওপর এই অবিশ্বাস্যভাবে উচ্চ নির্ভরতা থেকে তাদের পুরো অর্থনীতিকে নতুন করে সাজানো এবং ভারসাম্য রক্ষার জন্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর শুল্ক ৮৪ শতাংশে উন্নীত করেছে বেইজিং। আগে এই শুল্কের হার ছিল ৩৪ শতাংশ। এর আগে, ট্রাম্প চীনের ওপর কয়েক দফায় শুল্কারোপ করা হয়। একপর্যায়ে চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে সেটিও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ উন্নীত করেন তিনি। ট্রাম্প মার্কিন শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার পর চীনের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বেইজিং ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই’ করার অঙ্গীকার করেছে এবং ওয়াশিংটনও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারাও পিছু হটবে না। শুল্ক ছাড়াও চীন এক ডজনেরও বেশি মার্কিন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব কোম্পানির নির্বাহীরা চীনে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং চীনে বিনিয়োগও করতে পারবেন না।
কাগজে কলমে, শুল্কের কারণে চীনের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। চীনা কোম্পানিগুলো গত বছর আমেরিকায় প্রায় ৪৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করেছে। এই পরিমাণ মার্কিন কোম্পানিগুলো চীনে যা বিক্রি করেছে তার প্রায় ৩ গুণ। আর তাই বাস্তবতা হলো—উচ্চ শুল্ক চীনা ব্যবসার ওপর বড় আঘাত হানবে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে বাস্তবতা আরও অনেক জটিল। মুডিস অ্যানালিটিক্সের সারাহ তান বলেন, চীনের ৮৪ শতাংশ শুল্ক মার্কিন কৃষি কোম্পানিগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। কারণ, এসব কোম্পানির সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার চীন।
সারাহ তান বলেন, ‘মার্কিন কৃষি খাত (চীনা) আক্রমণের প্রথম সারিতে। মার্চ মাসে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে এই বাড়তি শুল্ক যখন যুক্ত হবে তার ফলে সয়াবিন, ফল, দুগ্ধজাত পণ্য, শূকরের মাংস এবং গরুর মাংসের ওপর আরও বাড়তি ১০ শতাংশ এবং মুরগি, গম, ভুট্টা এবং তুলার ওপর ১৫ শতাংশ যুক্ত হবে তখন মার্কিন কৃষকেরা দেখবেন শিগগির চীনের বাজারে তাদের পণ্যের চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় হ্রাস পাচ্ছে।’
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অ্যালেক্স হোমস বলেছেন, মার্কিন ভোক্তারাও মূল্যস্ফীতির মুখে পড়বেন। কারণ, শুল্ক চীনা আমদানিকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে শুল্কের হার এখন এতটাই বেশি যে, এটি মূলত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য সবকিছুর জন্য একটি অবরোধ।’
দ্য ইকোনমিস্টের ভূ-রাজনীতি বিভাগের সম্পাদক ডেভিড রেনির মতে, চীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের আক্রমণের জন্য খুব সাবধানে পরিকল্পনা করছে এবং এর অস্ত্রাগারে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উভয় ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা রয়েছে। রেনি বিবিসির নিউজ আওয়ার অনুষ্ঠানে বলেন, বেইজিং ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই বুঝতে পেরেছিল যে, তিনি চীনকে লক্ষ্যবস্তু করবেন।
রেনি সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি চীনা কর্মকর্তা ও পণ্ডিতদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। তিনি বলেন, ‘চীন পরিকল্পনা করতে পছন্দ করে। তারা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পছন্দ করে। এই অস্থির, লেনদেনভিত্তিক আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোকাবিলা করা তাদের জন্য খুব কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে তারা দীর্ঘ সময় ধরে খুব সাবধানে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা স্বল্পমেয়াদি প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি এবং রপ্তানির ওপর এই অবিশ্বাস্যভাবে উচ্চ নির্ভরতা থেকে তাদের পুরো অর্থনীতিকে নতুন করে সাজানো এবং ভারসাম্য রক্ষার জন্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’
তিনি ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো যুগের পর যুগ ধরে রাশিয়ার প্রতি অবিশ্বাস ও শত্রুতার মনোভাব পোষণ করে এসেছে। পিটার দা গ্রেটের আমল থেকেই তারা রাশিয়াকে ইউরোপীয় পরিবারে উপযুক্তভাবে স্থান দিতে চায়নি। বরং একে দুর্বল করে রাখার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে।’
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার তরুণ উদ্যোক্তা ও আইসক্রিম দোকানের মালিক ছিলেন ২০ বছর বয়সী সাইফোল্লাহ মুসাল্লেত। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। তাঁর শোকবিহ্বল পরিবারের আশা—এই তরুণ যেন ‘শুধু আরেকটি সংখ্যা’ হয়ে হারিয়ে না যান।
৪ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে আরআইসিকে পুনরুজ্জীবিত করার আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষত ভারতের কোয়াড সদস্য হওয়ার পর। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এই জোটকে বেইজিং মনে করে নিজেদের উত্থান ঠেকানোর জন্য গঠিত একটি জোট। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা...
৫ ঘণ্টা আগেসিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে তুরস্ক তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে তুরস্ক তাদের এই অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, আঙ্কারা আঞ্চলিক শক্তি...
৬ ঘণ্টা আগে