Ajker Patrika

চীনে সি বিরোধী আন্দোলনের শুরু যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১২: ০০
চীনে সি বিরোধী আন্দোলনের শুরু যেভাবে

চীনে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৪৫ জন। আজ মঙ্গলবার চীনা সম্প্রচারমাধ্যম সিটিজিএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। চীনে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ‘জিরো কোভিড পলিসি’তে অটল রয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির জনগণ অবশ্য এমন কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। 

লকডাউন তুলে নেওয়ার আন্দোলন অবশ্য ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের পতনের আন্দোলনে। লকডাউন-বিরোধী আন্দোলন থেকে ‘লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই’, ‘হয় স্বাধীনতা দাও, না হয় মৃত্যু দাও’, ‘সি চিনপিং পদত্যাগ করো, কমিউনিস্ট পার্টি পদত্যাগ করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন আন্দোলনের নজির নেই বললেই চলে। দৃশ্যত কোনো সংগঠিত উদ্যোগ ছাড়াই হাজার হাজার মানুষের এভাবে রাস্তায় নেমে আসা এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমজুড়ে সি-বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া চীনা প্রেসিডেন্টের জন্য হঠাৎ ভূমিকম্পের মতোই বিরাট এক ধাক্কা। সাংহাইসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। শুধু রাস্তায় নয়, আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। বেইজিং ও নানজিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। 

সাংহাইসহ চীনের বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়েছে আন্দোলনজনগণের রাস্তায় নেমে আসার বিষয়টির শুরু অবশ্য গত ২৪ নভেম্বরের একটি দুর্ঘটনা থেকে। গত ২৪ নভেম্বর উরুমকিতে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অনেকের ধারণা, অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটি লকডাউনের কারণে আংশিকভাবে তালাবদ্ধ থাকায় বাসিন্দারা সময়মতো বের হতে পারেনি। এ ছাড়া দগ্ধদের ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়াও সম্ভব হয়নি। এরপর ২৫ নভেম্বর শহরটির ক্ষুব্ধ জনগণ পথে নেমে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। 

বিবিসি বলছে, ২৬ নভেম্বর সাংহাইয়ের রাস্তায় নামে মানুষ। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় দাঁড়ায়। প্ল্যাকার্ডে কিছু লেখা ছিল না। ফাঁকা প্ল্যাকার্ড ধরে এমন আন্দোলন মূলত ২০২০ সালে হংকং আন্দোলনের সময় জনপ্রিয় হয়। যখন কর্তৃপক্ষ স্লোগান নিষিদ্ধ করে। এরপর ২৭ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। সাংহাই থেকে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা প্রেসিডেন্ট সির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। এমনকি আন্দোলনকারীদের ফোন থেকে ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলা হয়। বিবিসির এক সাংবাদিককেও কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। হংকংয়ের জনগণও চীনে চলমান এই আন্দোলনের সঙ্গে সমর্থন প্রকাশ করেছে। 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত