Ajker Patrika

মহামূল্যবান বিরল খনিজ সরবরাহে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করল চীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৫২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বিরল খনিজ মজুত না করার নির্দেশ দিয়েছে চীন। বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ এ খনিজের সরবরাহে প্রভাব বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য রপ্তানি সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিদেশে মজুত রোধ করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং। বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে জানা দুই সূত্রের বরাতে আজ শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

চীন সতর্ক করে বলেছে, বিরল খনিজ বা সেগুলো থেকে তৈরি পণ্য, যেমন বৈদ্যুতিক মোটর ও গাড়িতে ব্যবহৃত চুম্বক যেসব কোম্পানি বড় আকারে মজুত করবে, তারা আরও কঠোর সরবরাহ সংকটের মুখে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, চীনা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে অনুমোদিত রপ্তানির পরিমাণ সীমিত করেছে, যাতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত মজুত গড়ে তুলতে না পারে।

বিশ্বের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রায় ৯০ শতাংশ ও স্থায়ী চুম্বক উৎপাদনের ৯৪ শতাংশ এখন চীনের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে এ খাতের নিয়ন্ত্রণকে চীন কৌশলগতভাবে ব্যবহার করেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশটি সাত ধরনের মাঝারি ও ভারী বিরল খনিজকে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করে। এর ফলে গাড়িশিল্পসহ একাধিক খাতে ঘাটতি দেখা দেয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্প্রতি শুল্কবিরতির সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিরল খনিজে চীনের নিয়ন্ত্রণ আলোচনার বড় একটি ইস্যু রয়ে গেছে। মূলত খনিজ উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কোটাব্যবস্থার মাধ্যমে চীন এর সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা গত বছর শুধু দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

একটি জরিপে অংশ নেওয়া কোম্পানির অর্ধেকই জানিয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের বিরল খনিজের আবেদন স্থগিত রাখা হয়েছে বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। গত জুনে চীন ৩ হাজার ১৮৮ টন স্থায়ী চুম্বক রপ্তানি করেছে। মে মাসের তুলনায় তা দ্বিগুণ হলেও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম। দেশটির বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা কার্যকরের পর তিন মাসে রপ্তানির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, আবেদনকারী কোম্পানিগুলো আগের রেকর্ডের তুলনায় হঠাৎ বড় অর্ডার দিলে তা ‘মজুত’ হতে পারে—এমন আশঙ্কায় অতিরিক্ত যাচাইয়ের মুখে পড়ছে। এমন ক্ষেত্রে আবেদনপত্র লাইন বাই লাইন খতিয়ে দেখা হয় এবং সামান্য অসংগতি দেখা গেলে বিলম্ব বা প্রত্যাখ্যান হতে পারে।

এ জটিলতার কারণে কিছু পশ্চিমা কোম্পানি তাদের পণ্যের উৎপাদন চীনে সরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মোটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘রিগ্যাল রেক্সনর্ড’-এর প্রধান নির্বাহী লুইস পিঙ্কহ্যাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামলাতে গত চার মাসে তিনি প্রতি সপ্তাহে এক বা দুবার করে জরুরি বৈঠক করেছেন।

সরবরাহ শৃঙ্খলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে বেইজিং বিরল খনিজের বাজারকে কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

এপিএসের বেতন ১ বছরে বেড়েছে ১৮ বছরের সমান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত