Ajker Patrika

রাজনীতিতে পা রেখেই থাই প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া কে এই সেরেথা থাভাইসিন 

রাজনীতিতে পা রেখেই থাই প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া কে এই সেরেথা থাভাইসিন 

দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে নতুন প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেয়েছে থাইল্যান্ড। দেশটির দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ থেকেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন রিয়েল এস্টেট ধনকুবের সেরেথা থাভাইসিন। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

থাইল্যান্ডে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র থাকলেও দেশটির শাসন ব্যবস্থা পার্লামেন্টারি। চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি বা তার চেয়ে ১০ আসন কম পাওয়া ফেউ থাই পার্টি কেউই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। তাই জোট গঠনের মাধ্যমে সরকার গঠনের চেষ্টা চালান মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত। কিন্তু দুই দফা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে মনোনীত হয়েও তিনি প্রয়োজনীয় সমর্থন লাভে ব্যর্থ হন।

এর পর পিটা ঘোষণা দেন, তার দলের জোটসঙ্গী ফেউ থাই যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেবে তাঁকেই তাঁর দল সমর্থন দেবে। সেই আলোচনা অনুসারে ফেউ থাই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী সেরেথা থাভাইসিনকে মনোনয়ন দেয় এবং গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের দুই কক্ষের ভোট পেয়ে তিনি দেশের ৩০ তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিন এমন এক দিনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, যেদিন সকালেই থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ফেউ থাই পার্টির প্রধান পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা দেশে ফিরেছেন।

কে এই সেরেথা থাভাইসিন

ফেউ থাই পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা সেরেথা থাভাইসিন ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। তিনি থাই ভাষায় ‘নিদ’ বা ছোট নামেও পরিচিত। তাঁর পরিবার দেশের অন্যতম রক্ষণশীল সম্ভ্রান্ত একটি পরিবার। ব্যাংককে জন্ম নেওয়া এই রিয়েল এস্টেট টাইকুন চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ ছিলেন।

থাইল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে টিআরটি জানাচ্ছে, সেরেথা থাভাইসিন উদারনৈতিক রাজনৈতিক মতাদর্শের অধিকারী তবে এই মতবাদের প্রতি খুব বেশ উগ্র মনোভাব নেই তাঁর। থাভাইসিনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নাম সানসিরি। নিজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠন নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে তাঁর।

থাই রাজনীতিতে ‘ঠোঁটকাটা’ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তাঁর। থাইল্যান্ডের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা থাভাইসিনকে ‘স্পষ্টবাদী বা ঠোঁটকাটা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মতো ছেলে ভোলানো কথার ফুলঝুরি ছোটানোর দক্ষতার অভাব রয়েছে থাভাইসিনের মধ্যে। তবে তাঁর মধ্যে ব্যবসায়ীসুলভ এমন কিছু দক্ষতা রয়েছে যা দেশের মানুষকে আশাবাদী করতে পারে।

এদিকে, ধারণা করা হয় থাভাইসিনের জীবনে ফেউ থাই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা থাকসিন সিনাওয়াত্রার প্রভাব রয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে থাভাইসিন নিজের রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার পেছনে থাকসিনের অবদান রয়েছে বলেও স্বীকার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত