Ajker Patrika

নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: ‘ফেসবুক লাইভ’ ভাইরাল

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৪৫
নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: ‘ফেসবুক লাইভ’ ভাইরাল

নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর ইয়েতি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ফোনে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। তবে ভিডিওটি অস্বস্তিকর। 

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, অবতরণের আগ মুহূর্ত, যাত্রীরা উড়োজাহাজের ভেতরে বসে আছেন। উড়োজাহাজের জানালা দিয়ে নিচে শহর দেখা যাচ্ছে। হঠাৎই মোবাইল ফোনের পর্দা কেঁপে ওঠে। ভিডিওর শেষ কয়েক সেকেন্ডে দেখা গেছে, জানালার বাইরে ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। আর শোনা যাচ্ছিল যাত্রীদের কান্না-আর্তনাদ। 

উড়োজাহাজটিতে পাঁচজন ভারতীয় যাত্রী ছিলেন। তাঁরা সবাই দেশটির উত্তর প্রদেশের ঘাজিপুরের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে সনু জইসওয়াল নামের একজন উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। তবে সেটি জইসওয়ালেরই অ্যাকাউন্ট কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় তিনিও নিহত হয়েছেন। 

নেপালের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য অভিষেক প্রতাপ শাহ এনডিটিভির কাছে ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন। এনডিটিভিকে অভিষেক বলেন, তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনি ফুটেজটি পেয়েছেন। ওই বন্ধু এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ফুটেজটি পেয়েছে। ভিডিওটি সত্যিকারের বলে দাবি করেন তিনি। গতকাল উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা মুঠোফোনে ভিডিওটি পাওয়া যায়। 

তবে স্বাধীনভাবে ওই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের কাছাকাছি আসার পর উড়োজাহাজটি ঘুরতে থাকে। এরপর এটি কাত হয়ে বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং আগুনের গোলা ছড়িয়ে পড়ে।

রোববার সকালে নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ এটিআর-৭২ পোখারা বিমানবন্দরে নামার আগে পুরোনো বিমানবন্দর ও নতুন বিমানবন্দরের মাঝামাঝি সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে যে ৭২ জন আরোহী উড়োজাহাজে ছিলেন, তাঁদের সবারই প্রাণ যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নেপালের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পোখারার দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত