পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে জড়িত পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ তুলেছে। গতকাল সোমবার দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তেহরান অবৈধভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে ও গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে চলেছে। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার কাছে হাজারো ড্রোন বিক্রি করছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পশ্চিম দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান এরই মধ্যে তার কাছে থাকা ইউরেনিয়ামকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করে ফেলেছে। অথচ দেশটির ঘোষিত কোনো পারমাণবিক কর্মসূচি নেই। এর ফলে এই সমৃদ্ধকরণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র এসব অভিযোগ তুলেছে। তবে ইরান ও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি ও ইরান মিলে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ছয় জাতি আলোচনা শুরু হয় ২০১৩ সালের দিকে। আলোচনার লক্ষ্য হলো ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের উপযোগী ইউরেনিয়াম তৈরির চেষ্টা বাদ দিতে রাজি করানো, যাতে এর বিনিময়ে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা সম্ভব হয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
তবে সেই আলোচনার সূত্র ধরে ইরান সম্মত হয়েছিল, দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখবে যাতে সেগুলোকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহার করা যায়। বিপরীতে ইরানের ওপর থেকে পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল। সেই সূত্র ধরে ২০১৫ সালে এই আলোচনার ফলাফল বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিষয়টি মুখ থুবড়ে পড়ে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আমির ইরাভানি ও রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া এই নতুন অভিযোগ উত্থাপনের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছেন জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। ইরাভানি পশ্চিমা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘ইরান নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি অনুসরণ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছিল শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে।’ রাশিয়া ইউক্রেনে ইরানের ড্রোন ব্যবহার করছে—এমন দাবিও উড়িয়ে দেন।
জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এই চুক্তির বদলে একটি শক্তিশালী চুক্তি করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা আর হয়নি। তবে এই সময়ে এসে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে ইরান গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে এবং প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করে ফেলেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনা ২০২২ সালের আগস্টে ভেঙে পড়ে। তারপরও গতকাল সোমবার জাতিসংঘের রাজনৈতিক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো জোর দিয়ে বলেন যে, জাতিসংঘের মহাসচিব এখনো আশাবাদী যে, জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন বাস্তবায়ন সম্ভব এবং এটিই ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে।
আইএইএ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে তা জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন নির্ধারিত সীমার চেয়ে ২২ গুণ বেশি। রোজমেরি ডিকার্লো ইরানকে এই সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে জড়িত পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ তুলেছে। গতকাল সোমবার দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তেহরান অবৈধভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে ও গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে চলেছে। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার কাছে হাজারো ড্রোন বিক্রি করছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পশ্চিম দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান এরই মধ্যে তার কাছে থাকা ইউরেনিয়ামকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করে ফেলেছে। অথচ দেশটির ঘোষিত কোনো পারমাণবিক কর্মসূচি নেই। এর ফলে এই সমৃদ্ধকরণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র এসব অভিযোগ তুলেছে। তবে ইরান ও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি ও ইরান মিলে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ছয় জাতি আলোচনা শুরু হয় ২০১৩ সালের দিকে। আলোচনার লক্ষ্য হলো ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের উপযোগী ইউরেনিয়াম তৈরির চেষ্টা বাদ দিতে রাজি করানো, যাতে এর বিনিময়ে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা সম্ভব হয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
তবে সেই আলোচনার সূত্র ধরে ইরান সম্মত হয়েছিল, দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখবে যাতে সেগুলোকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহার করা যায়। বিপরীতে ইরানের ওপর থেকে পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল। সেই সূত্র ধরে ২০১৫ সালে এই আলোচনার ফলাফল বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিষয়টি মুখ থুবড়ে পড়ে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আমির ইরাভানি ও রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া এই নতুন অভিযোগ উত্থাপনের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছেন জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। ইরাভানি পশ্চিমা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘ইরান নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি অনুসরণ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছিল শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে।’ রাশিয়া ইউক্রেনে ইরানের ড্রোন ব্যবহার করছে—এমন দাবিও উড়িয়ে দেন।
জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এই চুক্তির বদলে একটি শক্তিশালী চুক্তি করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা আর হয়নি। তবে এই সময়ে এসে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে ইরান গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে এবং প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করে ফেলেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনা ২০২২ সালের আগস্টে ভেঙে পড়ে। তারপরও গতকাল সোমবার জাতিসংঘের রাজনৈতিক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো জোর দিয়ে বলেন যে, জাতিসংঘের মহাসচিব এখনো আশাবাদী যে, জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন বাস্তবায়ন সম্ভব এবং এটিই ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে।
আইএইএ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে তা জয়েন্ট প্ল্যান অব অ্যাকশন নির্ধারিত সীমার চেয়ে ২২ গুণ বেশি। রোজমেরি ডিকার্লো ইরানকে এই সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে দুদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস। বিক্ষোভ দমনে শহরটিতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা দমনে এই গার্ডদের মোতায়েন করা
২ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলার পর এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক মরদেহ উদ্ধার হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এদিকে গাজার সিভিল ডিফেন্স এই হামলাকে ‘পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা’ বলে অভিহিত
৩ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
১৮ ঘণ্টা আগে