অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সহকর্মীর হাতেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই গবেষণা দলে ব্যাপক যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী তানিয়া প্লাইবারসেক অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক ডিভিশন কর্তৃক প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন দেখার পর খুবই বিস্মিত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক ডিভিশনে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে নারীরা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, যৌনতার জন্য সরাসরি প্রস্তাব এবং যৌন সহিংস আচরণের শিকার হয়েছেন নারীরা।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ওই গবেষণা ক্যাম্পে নারীরা এতটাই অনিরাপদ বোধ করতেন যে—তাঁরা তাদের ঋতু, এই সময়ে ব্যবহৃত প্যাড এবং ট্যাম্পুন ইত্যাদি বিষয়ও লুকিয়ে রাখতেন। এমনকি তাদের জন্য এসব প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ছিল যথেষ্ট কম।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই অস্ট্রেলিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা ওই ক্যাম্পটিতে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন। এই বিষয়ে তানিয়া প্লাইবারসেক বলেছেন, ‘একজন মন্ত্রী হিসেবে, যেকোনো কর্মস্থলে যেকোনো যৌন হয়রানির বিষয়ে জিরো–টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করব।’
অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার ক্যাসি, ডেভিস অ্যান্ড মসন রিসার্চ স্টেশনে গত প্রায় ৫০০ জন গবেষক কাজ করছেন। গ্রীষ্মের সময়ে ক্যাম্পটিতে ৫০০ লোক থাকলেও শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে লোকসংখ্যা কমতে থাকে এবং সবশেষে ১৫ থেকে ৩০ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়ে যান।
ওই প্রতিবেদনের মূল লেখক অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মেরেডিথ ন্যাশ বলেছেন, জনবসতি থেকে অনেক দূরে এবং যোগাযোগ সংকট থাকায় নারীরা হয়রানির বিষয়ে অভিযোগও জানাতে পারতেন না সহজে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, ‘তাঁরা (নারীরা) তাদের নিগ্রহকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে দিনের পর দিন কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, তাঁরা চাইলেও সেখানে থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারতেন না।’
মেরেডিথ ন্যাশ আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আরেকটি বিষয় হলো—ক্ষমতার কাঠামো। তাঁরা (নারীরা) এমন কোনো অবস্থানে থাকেন না যার ফলে তাঁরা তাদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করতে পারেন কিংবা সহজে ঘরে ফিরতে কোনো সহায়তা পেতে পারেন।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পুরুষতান্ত্রিক পরিবেশে নারীরা পুরুষালি মনোভাবের কারণে ঋতুর মতো স্বাভাবিক বিষয়টিও লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হন। প্রতিবেদনে নারীদের যাবতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশও করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সহকর্মীর হাতেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই গবেষণা দলে ব্যাপক যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী তানিয়া প্লাইবারসেক অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক ডিভিশন কর্তৃক প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন দেখার পর খুবই বিস্মিত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক ডিভিশনে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে নারীরা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, যৌনতার জন্য সরাসরি প্রস্তাব এবং যৌন সহিংস আচরণের শিকার হয়েছেন নারীরা।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ওই গবেষণা ক্যাম্পে নারীরা এতটাই অনিরাপদ বোধ করতেন যে—তাঁরা তাদের ঋতু, এই সময়ে ব্যবহৃত প্যাড এবং ট্যাম্পুন ইত্যাদি বিষয়ও লুকিয়ে রাখতেন। এমনকি তাদের জন্য এসব প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ছিল যথেষ্ট কম।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই অস্ট্রেলিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা ওই ক্যাম্পটিতে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন। এই বিষয়ে তানিয়া প্লাইবারসেক বলেছেন, ‘একজন মন্ত্রী হিসেবে, যেকোনো কর্মস্থলে যেকোনো যৌন হয়রানির বিষয়ে জিরো–টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করব।’
অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার ক্যাসি, ডেভিস অ্যান্ড মসন রিসার্চ স্টেশনে গত প্রায় ৫০০ জন গবেষক কাজ করছেন। গ্রীষ্মের সময়ে ক্যাম্পটিতে ৫০০ লোক থাকলেও শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে লোকসংখ্যা কমতে থাকে এবং সবশেষে ১৫ থেকে ৩০ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়ে যান।
ওই প্রতিবেদনের মূল লেখক অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মেরেডিথ ন্যাশ বলেছেন, জনবসতি থেকে অনেক দূরে এবং যোগাযোগ সংকট থাকায় নারীরা হয়রানির বিষয়ে অভিযোগও জানাতে পারতেন না সহজে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, ‘তাঁরা (নারীরা) তাদের নিগ্রহকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে দিনের পর দিন কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, তাঁরা চাইলেও সেখানে থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারতেন না।’
মেরেডিথ ন্যাশ আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আরেকটি বিষয় হলো—ক্ষমতার কাঠামো। তাঁরা (নারীরা) এমন কোনো অবস্থানে থাকেন না যার ফলে তাঁরা তাদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করতে পারেন কিংবা সহজে ঘরে ফিরতে কোনো সহায়তা পেতে পারেন।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পুরুষতান্ত্রিক পরিবেশে নারীরা পুরুষালি মনোভাবের কারণে ঋতুর মতো স্বাভাবিক বিষয়টিও লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হন। প্রতিবেদনে নারীদের যাবতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশও করা হয়।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে