Ajker Patrika

তালেবান আফগানিস্তানে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতে 

প্রতিনিধি, কলকাতা
তালেবান আফগানিস্তানে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতে 

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে তালেবানের হাতে যাওয়ার পর ভারতেও তাদেরকে সমর্থন করছেন অনেকে। এটাই বিপজ্জনক প্রবণতা বলছে ভারতের শাসক দল বিজেপি। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, তালেবান ইস্যুতে ফায়দা নেওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দলটি। তাঁদের মতে, ভারত সরকার তালেবানদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও অনেকেই সমর্থন করছেন বর্তমান আফগান পরিস্থিতিকে।

প্রকাশ্যে তালেবানদের সমর্থন করায় ইতিমধ্যেই ভারতের জাতীয় সংসদের এক প্রবীণ সদস্যের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করেছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার। তালেবানদের সমর্থন করায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তাও বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিজেপি শাসিত আসামে তালেবানদের সমর্থন করায় ১৪ জনক শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়।

আফগানিস্তানে তালেবান উত্থানের পর ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসক দল তার ফায়দা নিতে ততপরতা শুরু করেছে। সামনেই ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ-সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভার ভোট। তার আগে বিজেপি বলছে, শরিয়তি আইনের খপ্পর থেকে বাঁচতে বিজেপি-কে ভোট দিন'। উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সংসদের সদস্য শাফিকুর রেহমান বার্ক বলেছিলেন, ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনের মতোই তালেবানরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করছে। এরপরই রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। 

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন,  নারী এবং শিশুদের ওপরে নির্যাতন চলছে। অথচ এক দল লোক নির্লজ্জ ভাবে তালিবানকে সমর্থন করে চলেছেন। এ বার তাঁদের মুখোশ খুলে ফেলা দরকার।

তালেবানদের আফগান দখলকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানান অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সেক্রেটারি মাওলানা ওমরেইন মেহফুজ রহমানী এবং জাতীয় মুখপাত্র মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি। এদিকে, সামাজিক গণমাধ্যমে তালেবানদের সমর্থন করায় আসামের ১০টি জেলা থেকে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মাওলানা ও একজন মেডিকেল কলেজের ছাত্রও রয়েছেন। ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই তালেবান উত্থানের বিরোধী। 

গত শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন, সন্ত্রাসের ভিত্তিতে ধ্বংসকারী শক্তি একটি সাম্রাজ্য গড়ে তোলার চিন্তা থেকে কিছু সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। কিন্তু, এর অস্তিত্ব কখনো স্থায়ী হয় না। দীর্ঘকাল মানবতাকে দমনও করতে পারে না।

তবে কংগ্রেস নেতা অধীরঞ্জন চৌধুরীর মতে, তালেবানদের নামে সংখ্যালঘুদের যাতে হয়রানি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা রাষ্ট্রের কর্তব্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত