অনলাইন ডেস্ক
২০০১ সালের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে। এ সময় তালেবানদের বিরুদ্ধে কান্দাহারের আশপাশের উপজাতিদের নেতৃত্ব দেন হামিদ কারজাই। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির শীর্ষ নেতা ছিলেন হামিদ কারজাই। তাঁর পরে ক্ষমতায় আসা আশরাফ গনি সরকার আবারও তালেবানদের কাছে পরাজয়ের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে হামিদ কারজাইর অবস্থান কী?
আফগানিস্তানের তালেবান ও গনি সরকারের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে এখনো হামিদ কারজাইর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জুন মাসে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারজাই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সমালোচনা, ব্যর্থতার বিষয়ে কথা বলেন।
তালেবান শাসনের পতনের পর প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন হামিদ কারজাই। ডিসেম্বরে জার্মানিতে আফগানিস্তান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের চেয়ারম্যান হিসেবে ছয় মাসের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার জন্য কারজাইকে নির্বাচিত করেন বিশিষ্ট আফগান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট। ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারজাই বিজয়ী ঘোষিত হন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। ২০০৯ সালে নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ বছর মেয়াদে জয়লাভ করে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয় পান আশরাফ গনি।
আল জাজিরাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে গনি বলেছিলেন, 'চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ২০ বছর আগে এখানে এসেছিল। কিন্তু চরমপন্থা আজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে।' যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহার প্রস্থান করা সেনারা একটি বিপর্যয়কে পেছনে ফেলে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, 'আমরা আফগান হিসেবে আমাদের সব ব্যর্থতাকেই স্বীকার করি। কিন্তু ঠিক সেই উদ্দেশ্যে এখানে আসা বৃহৎ শক্তির কি হবে? তারা এখন আমাদের ছেড়ে কোথায় যাচ্ছে? ' প্রশ্নের পরে নিজেই উত্তর দিলেন 'সম্পূর্ণ অপমান এবং বিপর্যয়'।
নিজের ১৩ বছরের শাসনামলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি দ্বন্দ্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল কারজাইর। তিনি চেয়েছিলেন, মার্কিন সেনারা যাতে আফগানিস্তান ছেড়ে যায়।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, 'আমি মনে করি আমাদের উচিত নিজেদের দেশকে রক্ষা করা। তাদের উপস্থিতি আমাদের দুঃখ-দুর্দশার সম্মুখীন করেছে। এ নিয়ে আমরা আর চলতে চাই না। তাঁদের চলে যাওয়াই আফগানিস্তানের জন্য ভালো।'
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি চীনের প্রতিও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন কারজাই। যদিও তালেবানের কাছেও তিনি ছিলেন আমেরিকার পুতুল মাত্র। অন্যদিকে একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তার সম্পর্ক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায়। সে হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতি কারজাইর পছন্দসই হয়েছে বলা গেলেও তালেবান সরকারে কারজাইর অবস্থান কেমন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, কারজাই তার উপজাতীয় পোশাক, ভেড়ার চামড়ার টুপি এবং আফগানিস্তানের সম্প্রদায়ের মধ্যে জোট নির্মাতা হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পরিচিত ছিলেন।
২০০১ সালের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে। এ সময় তালেবানদের বিরুদ্ধে কান্দাহারের আশপাশের উপজাতিদের নেতৃত্ব দেন হামিদ কারজাই। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির শীর্ষ নেতা ছিলেন হামিদ কারজাই। তাঁর পরে ক্ষমতায় আসা আশরাফ গনি সরকার আবারও তালেবানদের কাছে পরাজয়ের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে হামিদ কারজাইর অবস্থান কী?
আফগানিস্তানের তালেবান ও গনি সরকারের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে এখনো হামিদ কারজাইর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জুন মাসে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারজাই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সমালোচনা, ব্যর্থতার বিষয়ে কথা বলেন।
তালেবান শাসনের পতনের পর প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন হামিদ কারজাই। ডিসেম্বরে জার্মানিতে আফগানিস্তান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের চেয়ারম্যান হিসেবে ছয় মাসের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার জন্য কারজাইকে নির্বাচিত করেন বিশিষ্ট আফগান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট। ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারজাই বিজয়ী ঘোষিত হন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। ২০০৯ সালে নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ বছর মেয়াদে জয়লাভ করে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয় পান আশরাফ গনি।
আল জাজিরাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে গনি বলেছিলেন, 'চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ২০ বছর আগে এখানে এসেছিল। কিন্তু চরমপন্থা আজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে।' যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহার প্রস্থান করা সেনারা একটি বিপর্যয়কে পেছনে ফেলে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, 'আমরা আফগান হিসেবে আমাদের সব ব্যর্থতাকেই স্বীকার করি। কিন্তু ঠিক সেই উদ্দেশ্যে এখানে আসা বৃহৎ শক্তির কি হবে? তারা এখন আমাদের ছেড়ে কোথায় যাচ্ছে? ' প্রশ্নের পরে নিজেই উত্তর দিলেন 'সম্পূর্ণ অপমান এবং বিপর্যয়'।
নিজের ১৩ বছরের শাসনামলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি দ্বন্দ্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল কারজাইর। তিনি চেয়েছিলেন, মার্কিন সেনারা যাতে আফগানিস্তান ছেড়ে যায়।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, 'আমি মনে করি আমাদের উচিত নিজেদের দেশকে রক্ষা করা। তাদের উপস্থিতি আমাদের দুঃখ-দুর্দশার সম্মুখীন করেছে। এ নিয়ে আমরা আর চলতে চাই না। তাঁদের চলে যাওয়াই আফগানিস্তানের জন্য ভালো।'
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি চীনের প্রতিও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন কারজাই। যদিও তালেবানের কাছেও তিনি ছিলেন আমেরিকার পুতুল মাত্র। অন্যদিকে একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তার সম্পর্ক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায়। সে হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতি কারজাইর পছন্দসই হয়েছে বলা গেলেও তালেবান সরকারে কারজাইর অবস্থান কেমন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, কারজাই তার উপজাতীয় পোশাক, ভেড়ার চামড়ার টুপি এবং আফগানিস্তানের সম্প্রদায়ের মধ্যে জোট নির্মাতা হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পরিচিত ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকার বরাত দিয়ে সোমবার মার্কিন গণমাধ্যম দ্য পিপল জানিয়েছে, অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থান করা ওই গবেষক দলের একজন ই-মেইলের মাধ্যমে এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই সহকর্মী শারীরিক...
৩৯ মিনিট আগেপশ্চিম মিয়ানমারের খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ঘন পাহাড়ি অঞ্চল চিন। এ অঞ্চলে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের (সিএনডিএফ) সদর দপ্তর। সম্প্রতি এখানে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়েছিল কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি দল।
১ ঘণ্টা আগেব্রাজিলের সাও পাওলো ও সেয়ারা রাজ্যের গবেষকেরা হংকং ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় নতুন ওই করোনাভাইরাস আবিষ্কার করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের শ্বাসযন্ত্রজনিত সিনড্রোম ‘মার্স-কোভ’ এর সঙ্গে নতুন ভাইরাসটির অনেক মিল রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে গত বছরের আগস্টে রাশিয়ার ভেতরে প্রবেশ করে কুরস্কের কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল ইউক্রেনের বাহিনী। কিন্তু যুদ্ধের এই পর্যায়ে এসে রাশিয়ার দক্ষ যুদ্ধ ইউনিটগুলো কুরস্কে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর ওই অঞ্চলটিতে বিপদের মুখে...
২ ঘণ্টা আগে