জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ার হার নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য তাই দেশটির সরকার নাগরিকদের বিয়ে এবং স্মার্ট পরিবার গঠনের জন্য উৎসাহিত করছে। এমনকি এবার একটি ডেটিং অ্যাপেরও যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ জুন) জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি নতুন পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, গত বছর ১২ কোটি ৩৯ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে মাত্র ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭ জন শিশুর জন্ম হয়েছে। আগের বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মা-প্রতি শিশু জন্মের হার ছিল ১ দশমিক ২৬। কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এই হার ১ দশমিক ২০-এ নেমে এসেছে।
কোনো দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য অবশ্যই সেই দেশের একেকজন মায়ের গড়ে ২ দশমিক ১ জন করে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। এর চেয়ে কম হলে দেশের জনসংখ্যা কমতে থাকবে, আর বেশি হলে বাড়তে থাকবে।
মা-প্রতি সন্তান জন্মের স্ট্যান্ডার্ড সূচক থেকে জাপানের অবনমন ঘটেছিল অন্তত অর্ধশতাব্দী আগে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১৯৭৩ সালে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের জন্য অর্থনৈতিক সংকোচনের সময় এমনটি ঘটেছিল। কিন্তু এর পর থেকে জাপানে সন্তান জন্মের হার প্রতিনিয়ত কমেই যাচ্ছে।
জাপানের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সমস্যাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। কারণ, এই বছরগুলোতে দেশটির মৃত্যুবরণ করা মানুষের সংখ্যা শিশু জন্মের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে দেশটির জনসংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির শ্রমশক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক ক্ষেত্রে।
২০২৩ সালে জাপানে ১৫ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মানে হলো, গত বছর দেশটিতে মৃত্যুবরণ করা মানুষের সংখ্যা নতুন জন্ম নেওয়া শিশুদের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি ছিল।
কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমানে বিন্দুমাত্র আশাও দেখছে না দেশটির সরকার। কারণ, দেশটির তরুণ-তরুণীদের বিয়ে করার হারও অনেক কমে গেছে। গত বছর দেশটিতে সব মিলিয়ে মাত্র ৩০ হাজার বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে বিচ্ছেদের ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী সমস্যাগুলোকে খুঁজে বের করার জন্য জাপান সরকার একের পর এক সরকারি সংস্থা নিয়োগ করছে। এসবের আলোকে দেশটিতে ইতিমধ্যে কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। দেশটির শিশু সুরক্ষার কেন্দ্র ও সুবিধাগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর পরিবারগুলোর বাসস্থানের ক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি কয়েকটি শহরে সন্তান জন্মের পর বাবা-মাকে অর্থও দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ পদক্ষেপ অনুযায়ী, দেশটির রাজধানী টোকিওতে সরকারি একটি ডেটিং অ্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছেন নগর কর্মকর্তারা। বর্তমানে এই অ্যাপ একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে এটির কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হবে।
অ্যাপটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দয়া করে এটিকে ব্যবহার করুন, প্লিজ।’
অ্যাপটিতে জাপানি নারী ও পুরুষদের পছন্দের পাত্র-পাত্রী খুঁজে দিতে কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই অ্যাপে আগ্রহীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিবরণসহ তাঁদের কাঙ্ক্ষিত পাত্র-পাত্রীর ক্ষেত্রে পছন্দ-অপছন্দের নানা তথ্য সংযোজন করবেন। সেই অনুযায়ী একজন যোগ্য সঙ্গী খুঁজে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
বিষয়টি নজরে এসেছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কেরও। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ইতিবাচক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই বিষয়ের গুরুত্ব বোঝার জন্য জাপান সরকারের প্রতি আমি খুশি। যদি এ ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে জাপানসহ আরও অনেক দেশ কার্যত উধাও হয়ে যাবে।’
অ্যাপটির বিষয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে নিবন্ধন করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই ‘সিঙ্গেল’ হতে হবে এবং তাঁর বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। প্রাথমিকভাবে এটিতে নিবন্ধনের জন্য নারী-পুরুষদের টোকিও মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত এবং অবস্থান করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ার হার নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য তাই দেশটির সরকার নাগরিকদের বিয়ে এবং স্মার্ট পরিবার গঠনের জন্য উৎসাহিত করছে। এমনকি এবার একটি ডেটিং অ্যাপেরও যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ জুন) জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি নতুন পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, গত বছর ১২ কোটি ৩৯ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে মাত্র ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭ জন শিশুর জন্ম হয়েছে। আগের বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মা-প্রতি শিশু জন্মের হার ছিল ১ দশমিক ২৬। কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এই হার ১ দশমিক ২০-এ নেমে এসেছে।
কোনো দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য অবশ্যই সেই দেশের একেকজন মায়ের গড়ে ২ দশমিক ১ জন করে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। এর চেয়ে কম হলে দেশের জনসংখ্যা কমতে থাকবে, আর বেশি হলে বাড়তে থাকবে।
মা-প্রতি সন্তান জন্মের স্ট্যান্ডার্ড সূচক থেকে জাপানের অবনমন ঘটেছিল অন্তত অর্ধশতাব্দী আগে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১৯৭৩ সালে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের জন্য অর্থনৈতিক সংকোচনের সময় এমনটি ঘটেছিল। কিন্তু এর পর থেকে জাপানে সন্তান জন্মের হার প্রতিনিয়ত কমেই যাচ্ছে।
জাপানের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সমস্যাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। কারণ, এই বছরগুলোতে দেশটির মৃত্যুবরণ করা মানুষের সংখ্যা শিশু জন্মের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে দেশটির জনসংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির শ্রমশক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক ক্ষেত্রে।
২০২৩ সালে জাপানে ১৫ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মানে হলো, গত বছর দেশটিতে মৃত্যুবরণ করা মানুষের সংখ্যা নতুন জন্ম নেওয়া শিশুদের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি ছিল।
কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমানে বিন্দুমাত্র আশাও দেখছে না দেশটির সরকার। কারণ, দেশটির তরুণ-তরুণীদের বিয়ে করার হারও অনেক কমে গেছে। গত বছর দেশটিতে সব মিলিয়ে মাত্র ৩০ হাজার বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে বিচ্ছেদের ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী সমস্যাগুলোকে খুঁজে বের করার জন্য জাপান সরকার একের পর এক সরকারি সংস্থা নিয়োগ করছে। এসবের আলোকে দেশটিতে ইতিমধ্যে কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। দেশটির শিশু সুরক্ষার কেন্দ্র ও সুবিধাগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর পরিবারগুলোর বাসস্থানের ক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি কয়েকটি শহরে সন্তান জন্মের পর বাবা-মাকে অর্থও দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ পদক্ষেপ অনুযায়ী, দেশটির রাজধানী টোকিওতে সরকারি একটি ডেটিং অ্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছেন নগর কর্মকর্তারা। বর্তমানে এই অ্যাপ একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে এটির কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হবে।
অ্যাপটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দয়া করে এটিকে ব্যবহার করুন, প্লিজ।’
অ্যাপটিতে জাপানি নারী ও পুরুষদের পছন্দের পাত্র-পাত্রী খুঁজে দিতে কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই অ্যাপে আগ্রহীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিবরণসহ তাঁদের কাঙ্ক্ষিত পাত্র-পাত্রীর ক্ষেত্রে পছন্দ-অপছন্দের নানা তথ্য সংযোজন করবেন। সেই অনুযায়ী একজন যোগ্য সঙ্গী খুঁজে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
বিষয়টি নজরে এসেছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কেরও। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ইতিবাচক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই বিষয়ের গুরুত্ব বোঝার জন্য জাপান সরকারের প্রতি আমি খুশি। যদি এ ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে জাপানসহ আরও অনেক দেশ কার্যত উধাও হয়ে যাবে।’
অ্যাপটির বিষয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে নিবন্ধন করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই ‘সিঙ্গেল’ হতে হবে এবং তাঁর বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। প্রাথমিকভাবে এটিতে নিবন্ধনের জন্য নারী-পুরুষদের টোকিও মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত এবং অবস্থান করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
৫ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে