Ajker Patrika

থাইল্যান্ডে ডে কেয়ার সেন্টারে হামলা থেকে যেভাবে বেঁচে গেছে শিশু এমি

থাইল্যান্ডে ডে কেয়ার সেন্টারে হামলা থেকে যেভাবে বেঁচে গেছে শিশু এমি

থাইল্যান্ডের ডে কেয়ার সেন্টারের নৃশংস হামলা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে ছোট্ট শিশু পাভিনাত সুপলওয়োং ওরফে এমি। সে তখন কম্বলের নিচে ঘুমাচ্ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নং বুয়া লাম্ফুর একটি শিশু ডে কেয়ার সেন্টারে হামলাকারী ব্যক্তি ঘুমন্ত শিশুদের ওপর ছুরি নিয়ে চড়াও হলে তিন বছর বয়সী এমি ওই কক্ষের কোনায় কম্বলের নিচে ঘুমিয়ে থাকার কারণে হামলাকারীর হাত থেকে বেঁচে যায়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এমিই একমাত্র অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এমির মা পানম্পাই সিথং বলছেন, ‘আমি তো হতবাক হয়ে গেছি। যারা সন্তান হারিয়েছে, সে সব পরিবারের দুঃখ আমি বুঝতে পারছি...আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমার মেয়ে বেঁচে ফিরেছে। সত্যি কথা বলতে, এই ঘটনায় আমার মধ্যে এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে।’

এই ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এমির পরিবার জানিয়েছে, ‘এমনি আমাদের মেয়ের ঘুম বেশ পাতলা। কিন্তু বুধবার শিশুদের ঘুমের সময় হামলাকারী যখন শিশুদের ওপর চড়াও হলো তখন এমি ঘরটির কোনায় মাথা পর্যন্ত কম্বলমুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে ছিল। এ কারণেই হয়তো সে এখনো আমাদের মাঝে রয়েছে।’

এমির মা বলেন, ‘আমি মনে করি ওই সময় কোনো এক শুভ শক্তি এমির চোখে ঘুম এনে দিয়েছিল। আমি জানি আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ভিন্ন, তবুও আমি মনে করি আমার মেয়ে এই কারণে বেঁচে ফিরেছে।’

এদিকে গতকাল রোববার এমিদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এমিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছে বলে জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে একটি প্রি-স্কুলের ডে কেয়ার সেন্টারে ভয়াবহ বন্দুক ও ছুরি হামলায় ২৩ শিশুসহ ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁকে সম্প্রতি মাদককাণ্ডে বরখাস্ত করা হয়। তবে শিশুদের ওপর কেন এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হলো, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু জানা যায়নি।

থাইল্যান্ডে এমন গোলাগুলির ঘটনা বিরল। এর আগে ২০২০ সালে নাখোন রাতচাসিমা শহরে এক সেনাসদস্য ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। এ সময় আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত