রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানিয়েছিল মিয়ানমার। মিয়ানমারের সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার আইসিজে মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে।
সর্বশেষ ২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করে নেয়। সে সময় জান্তা সরকার দাবি করেছিল, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে এ বিষয়ে মামলা করার কোনো অবস্থানে গাম্বিয়া নেই।
তবে এই মামলার প্রধান বিচারক জোয়ান ডনেগু বলেছেন, এই মামলা পরিচালনা করতে আইসিজে গঠিত ১৩ বিচারকের প্যানেল দেখেছে যে গণহত্যা রোধে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন অনুসরণ করা যেত, কিন্তু করা হয়নি। ফলে আদালত এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করার বিষয়ে বিচারপতি জোয়ান ডনেগু বলেন, ‘গাম্বিয়া জেনোসাইড কনভেনশনের সদস্য দেশ। তাই দেশটির এই মামলা করার বিষয়ে স্পষ্ট অধিকার রয়েছে।’ ফলে এ বিষয়ে মামলা চলার কোনো আপত্তি রইল না। মামলার বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে মামলার শুনানি শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
২০১৯ সালে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সহযোগিতায় মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রতি ‘ব্যাপক’ গণহত্যা, গণধর্ষণ চালানোসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। যার ফলে সেখান থেকে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘের একটি তদন্তে দেখা গেছে, সেই সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কতৃক পরিচালিত সেই ক্র্যাকডাউনটি ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ নিয়েই চালানো হয়েছিল। তদন্তে দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংসহ আরও পাঁচ জেনারেলের বিরুদ্ধে বিচারের সুপারিশ করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমারের তৎকালীন ক্ষমতাসীন বেসামরিক নেতা অং সান সু চি হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গিয়েছিলেন মামলায় মিয়ানমারের পক্ষে লড়তে। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানিয়েছিল মিয়ানমার। মিয়ানমারের সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার আইসিজে মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে।
সর্বশেষ ২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করে নেয়। সে সময় জান্তা সরকার দাবি করেছিল, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে এ বিষয়ে মামলা করার কোনো অবস্থানে গাম্বিয়া নেই।
তবে এই মামলার প্রধান বিচারক জোয়ান ডনেগু বলেছেন, এই মামলা পরিচালনা করতে আইসিজে গঠিত ১৩ বিচারকের প্যানেল দেখেছে যে গণহত্যা রোধে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন অনুসরণ করা যেত, কিন্তু করা হয়নি। ফলে আদালত এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করার বিষয়ে বিচারপতি জোয়ান ডনেগু বলেন, ‘গাম্বিয়া জেনোসাইড কনভেনশনের সদস্য দেশ। তাই দেশটির এই মামলা করার বিষয়ে স্পষ্ট অধিকার রয়েছে।’ ফলে এ বিষয়ে মামলা চলার কোনো আপত্তি রইল না। মামলার বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে মামলার শুনানি শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
২০১৯ সালে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সহযোগিতায় মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রতি ‘ব্যাপক’ গণহত্যা, গণধর্ষণ চালানোসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। যার ফলে সেখান থেকে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘের একটি তদন্তে দেখা গেছে, সেই সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কতৃক পরিচালিত সেই ক্র্যাকডাউনটি ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ নিয়েই চালানো হয়েছিল। তদন্তে দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংসহ আরও পাঁচ জেনারেলের বিরুদ্ধে বিচারের সুপারিশ করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমারের তৎকালীন ক্ষমতাসীন বেসামরিক নেতা অং সান সু চি হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গিয়েছিলেন মামলায় মিয়ানমারের পক্ষে লড়তে। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ওপর চাপ বাড়ছে। এরই মধ্যে এই দাবিতে দেশটির ৯টি রাজনৈতিক দলের ২২০ জন এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দাদের জন্য আরবি ভাষা ও ইসলামিক জ্ঞানার্জন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মূলত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গোয়েন্দা ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গোয়েন্দা শাখার সব সৈনিক ও কর্মকর্তার জন্য আরবি ভাষা এবং ইসলামিক স্টাডিজ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে।
১ ঘণ্টা আগেঘরে-বাইরে চাপের মুখে থাকলেও লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলে ‘এক টনও’ কয়লা রপ্তানি না করা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল। গত বৃহস্পতিবার তিনি এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি এমন এক সময়ে এই নির্দেশ দিলেন, যখন ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় লাখো মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে আছে।
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল আরোপিত দুর্ভিক্ষের ছবি যখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছে, তখন ভারত ও ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তারা সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অনেক আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা...
২ ঘণ্টা আগে