সুরাত খান আহমেদজাই, ব্যাংক কর্মকর্তা, আফগানিস্তান
দেশে নতুন মানুষ (তালেবান) ক্ষমতা দখল করেছে। সারা শহরজুড়ে তাদের আনাগোনা দেখতে উৎসাহী হয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে আফগান শিশুরা। কিন্তু এই কোমলমতি শিশুরা জানে না, এই নতুন পরিবর্তন তাদের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে। তালেবান কী এবং তারা কতটা ভয়াবহ হতে পারে। এমনিতেই এত বছর পুলিশের টহল দেখে এসব শিশু অভ্যস্ত, এখন ইউনিফর্ম ছাড়া এত লোককে তারা দেখছে বিস্ময়ভরে।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আসলেই খুবই ভয়াবহ, যা বাইরে থেকে পুরোটা বোঝা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়বারের মতো তালেবান এ দেশের ক্ষমতা দখল করেছে। মাঝখানে প্রায় ২০ বছর পার হলেও তালেবান সেই ১৯৯৬ সালের মতোই রয়ে গেছে। তবে দেশের মানুষ এবার তালেবানদের আচরণ কেমন হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।
ক্ষমতা গ্রহণ করতে না করতে আফগানিস্তানের তিন রঙা জাতীয় পতাকা পছন্দ করছে না তালেবানরা। যেখানেই এই পতাকা তারা দেখছে, নামিয়ে কালিমা আর সিংহখচিত সাদা পতাকা টাঙিয়ে দিচ্ছে। তারা ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর অনেক গাড়ি জব্দ করেছে, সে গাড়িতে চড়েই কোনো প্রকার ইউনিফর্ম আর ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই শহরে টহল দিয়ে যাচ্ছে। তবে খোস্ত প্রদেশে আফগানিস্তানের পতাকা নামানো নিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে তালেবানদের কিছু বিরোধ হয়েছে। পতাকা না নামাতে তালেবানদের সতর্ক করেছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। আবার জালালাবাদেও দেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তালেবানদের সংঘর্ষ হয়েছে। কাবুলেও একই কারণে দুই পক্ষের গোলযোগ হয়েছে।
আফগানিস্তানের সব শহরই এখন বন্ধ রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কবে কাজে যোগদান করতে পারবেন, তা কেউ জানেন না। সবাই শুধুই অপেক্ষা করে যাচ্ছেন। কখন নতুন সরকার সিদ্ধান্ত দেবে, তা-ও দেশের মানুষ জানে না। সত্যি বলতে দেশে এখন কোনো সরকার নেই। সরকার গঠন নিয়ে তালেবান এবং আমেরিকার নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় আছে। হয়তো দুই পক্ষ একমতে আসার পরই নতুন সরকার গঠন করা হবে।
গতকাল সকালে সরকার গঠনে আমেরিকা এবং তালেবানদের আলোচনার বড় কিছু বিষয় ছিল। তালেবান ছয় মাসের জন্য সরকারপ্রধান হিসেবে কোনো ব্যক্তিকে মেনে নেবে না। যদিও আপাতত আমেরিকা চাচ্ছে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন একটা সরকার থাকুক। এরপর নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আগ্রহী আমেরিকা।
বর্তমানে ৩ হাজার আমেরিকান সৈনিক কাবুল বিমানবন্দরে আছে এবং কুয়েতে ৪ হাজার অপেক্ষায় আছে। ৬০০ ব্রিটিশ এবং ফ্রান্স সেনা আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের আগমনের কারণ, তারা নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।
গতকালও কাবুল বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বিমানবন্দরে গত দুই দিন কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না। সবাই বিমানবন্দরের ভেতর কোনো প্রকার তল্লাশি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারছে। মনে হচ্ছে, এ যেন সুপারমার্কেট।
পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান এবং ইরান থেকে অনেক তালেবান এখন আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। দেশের মানুষ অন্যত্র যেতে চাইলেও দুর্ভাগ্যক্রমে সামনে যাওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। শুধু বেলুচিস্তান লাগোয়া ছামান বর্ডার খোলা আছে। কিছু মানুষ সেটা দিয়ে পাকিস্তান চলে যাচ্ছে, আবার অনেকেই পরিস্থিতি কী হয়, তা বোঝার অপেক্ষায় আছে।
দেশে নতুন মানুষ (তালেবান) ক্ষমতা দখল করেছে। সারা শহরজুড়ে তাদের আনাগোনা দেখতে উৎসাহী হয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে আফগান শিশুরা। কিন্তু এই কোমলমতি শিশুরা জানে না, এই নতুন পরিবর্তন তাদের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে। তালেবান কী এবং তারা কতটা ভয়াবহ হতে পারে। এমনিতেই এত বছর পুলিশের টহল দেখে এসব শিশু অভ্যস্ত, এখন ইউনিফর্ম ছাড়া এত লোককে তারা দেখছে বিস্ময়ভরে।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আসলেই খুবই ভয়াবহ, যা বাইরে থেকে পুরোটা বোঝা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়বারের মতো তালেবান এ দেশের ক্ষমতা দখল করেছে। মাঝখানে প্রায় ২০ বছর পার হলেও তালেবান সেই ১৯৯৬ সালের মতোই রয়ে গেছে। তবে দেশের মানুষ এবার তালেবানদের আচরণ কেমন হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।
ক্ষমতা গ্রহণ করতে না করতে আফগানিস্তানের তিন রঙা জাতীয় পতাকা পছন্দ করছে না তালেবানরা। যেখানেই এই পতাকা তারা দেখছে, নামিয়ে কালিমা আর সিংহখচিত সাদা পতাকা টাঙিয়ে দিচ্ছে। তারা ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর অনেক গাড়ি জব্দ করেছে, সে গাড়িতে চড়েই কোনো প্রকার ইউনিফর্ম আর ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই শহরে টহল দিয়ে যাচ্ছে। তবে খোস্ত প্রদেশে আফগানিস্তানের পতাকা নামানো নিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে তালেবানদের কিছু বিরোধ হয়েছে। পতাকা না নামাতে তালেবানদের সতর্ক করেছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। আবার জালালাবাদেও দেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তালেবানদের সংঘর্ষ হয়েছে। কাবুলেও একই কারণে দুই পক্ষের গোলযোগ হয়েছে।
আফগানিস্তানের সব শহরই এখন বন্ধ রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কবে কাজে যোগদান করতে পারবেন, তা কেউ জানেন না। সবাই শুধুই অপেক্ষা করে যাচ্ছেন। কখন নতুন সরকার সিদ্ধান্ত দেবে, তা-ও দেশের মানুষ জানে না। সত্যি বলতে দেশে এখন কোনো সরকার নেই। সরকার গঠন নিয়ে তালেবান এবং আমেরিকার নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় আছে। হয়তো দুই পক্ষ একমতে আসার পরই নতুন সরকার গঠন করা হবে।
গতকাল সকালে সরকার গঠনে আমেরিকা এবং তালেবানদের আলোচনার বড় কিছু বিষয় ছিল। তালেবান ছয় মাসের জন্য সরকারপ্রধান হিসেবে কোনো ব্যক্তিকে মেনে নেবে না। যদিও আপাতত আমেরিকা চাচ্ছে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন একটা সরকার থাকুক। এরপর নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আগ্রহী আমেরিকা।
বর্তমানে ৩ হাজার আমেরিকান সৈনিক কাবুল বিমানবন্দরে আছে এবং কুয়েতে ৪ হাজার অপেক্ষায় আছে। ৬০০ ব্রিটিশ এবং ফ্রান্স সেনা আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের আগমনের কারণ, তারা নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।
গতকালও কাবুল বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বিমানবন্দরে গত দুই দিন কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না। সবাই বিমানবন্দরের ভেতর কোনো প্রকার তল্লাশি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারছে। মনে হচ্ছে, এ যেন সুপারমার্কেট।
পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান এবং ইরান থেকে অনেক তালেবান এখন আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। দেশের মানুষ অন্যত্র যেতে চাইলেও দুর্ভাগ্যক্রমে সামনে যাওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। শুধু বেলুচিস্তান লাগোয়া ছামান বর্ডার খোলা আছে। কিছু মানুষ সেটা দিয়ে পাকিস্তান চলে যাচ্ছে, আবার অনেকেই পরিস্থিতি কী হয়, তা বোঝার অপেক্ষায় আছে।
২০২৪ সালের মে মাসে মার্কিন সংস্থা পিএস ইঞ্জিনিয়ারিং ইনকর্পোরেটেড–এর সঙ্গে তিনটি যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ কেনার বিষয়ে যোগাযোগ করেছিল এইচএএল। দু’পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছিল ই–মেইলে।
৪০ মিনিট আগেফিলিস্তিন (বর্তমানে যার অনেক অংশই ইসরায়েল ও জর্ডানের অংশ)–এর অনেক ঐতিহাসিক স্থান শত শত বছর ধরে মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি—তিন ধর্মের মানুষদের কাছেই পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে অন্যতম জেরুজালেম। এই জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়...
১ ঘণ্টা আগেইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীতে হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এক সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, যুদ্ধজাহাজটিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
৫ ঘণ্টা আগে