অনলাইন ডেস্ক
প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন জাপানি এক ব্যক্তি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবার তাঁকে ক্ষতিপূরণ সহ মুক্তি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে ৮৯ বছর বয়সী ইওয়া হাকামাতাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ২১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ক্ষতিপূরণ প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি।
হাকামাতার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জাপানের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারি মামলার জন্য এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ।
১৯৬৮ সালে হাকামাতা তাঁর বস, বসের স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত বছর নতুন করে মামলাটি পর্যালোচনা করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।
হাকামাতার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ৪৭ বছর কারাগারে থাকার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় বিচারক কুনি কোশি গতকাল সোমবার ওই ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন এবং স্বীকার করেন যে, হাকামাতা অত্যন্ত গুরুতর মানসিক ও শারীরিক কষ্ট ভোগ করেছেন।
হাকামাতাকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ প্রদান করবে জাপান সরকার। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এটিকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
হাকামাতার মামলা জাপানের দীর্ঘতম ও অন্যতম আলোচিত বিচারিক ঘটনা। ২০১৪ সালে তাঁর মামলাটি পুনঃ বিচারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তখনই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই মামলাটি যারা তদন্ত করেছিলেন, তাঁরাই হাকামাতাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে ফাঁসিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।
এ অবস্থায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর শিজুওকার একটি আদালতে বিচারক হাকামাতাকে খালাস দিলে, সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষ ‘বানজাই’ (হুররে) বলে উল্লাস প্রকাশ করেন। তবে মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনের সেই শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি হাকামাতা।
২০১৪ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হাকামাতা তাঁর ৯১ বছর বয়সী বোন হিদেকোর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে এই হিদেকোই তাঁর ভাইয়ের মুক্তির জন্য লড়াই করে গেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হাকামাতা একটি মিসো (জাপানি খাবার) প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় কাজ করতেন। ১৯৬৬ সালে শিজুওকার একটি বাড়িতে আগুন লাগার পর তাঁর বস, বসের স্ত্রী এবং তাঁদের দুই সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল।
তদন্তকারীরা হাকামাতাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেন এবং দাবি করেন, চারজনকে হত্যার পর তিনি ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং ২ লাখ ইয়েন চুরি করেন। শুরুতে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে ১২ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হন। এ অবস্থায় ১৯৬৮ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
বছরের পর বছর ধরে হাকামাতার আইনজীবীরা যুক্তি দিয়ে এসেছেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পোশাকে পাওয়া ডিএনএ তাঁর সঙ্গে মেলেনি এবং পুলিশের দেখানো প্রমাণ সন্দেহজনক ছিল।
২০১৪ সালে মামলাটি পুনঃ বিচারের অনুমতি পেলেও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এটি শুরু হতে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
এই মামলা জাপানের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে পুনঃ বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগের বিষয়ে।
প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন জাপানি এক ব্যক্তি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবার তাঁকে ক্ষতিপূরণ সহ মুক্তি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে ৮৯ বছর বয়সী ইওয়া হাকামাতাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ২১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ক্ষতিপূরণ প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি।
হাকামাতার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জাপানের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারি মামলার জন্য এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ।
১৯৬৮ সালে হাকামাতা তাঁর বস, বসের স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত বছর নতুন করে মামলাটি পর্যালোচনা করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।
হাকামাতার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ৪৭ বছর কারাগারে থাকার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় বিচারক কুনি কোশি গতকাল সোমবার ওই ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন এবং স্বীকার করেন যে, হাকামাতা অত্যন্ত গুরুতর মানসিক ও শারীরিক কষ্ট ভোগ করেছেন।
হাকামাতাকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ প্রদান করবে জাপান সরকার। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এটিকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
হাকামাতার মামলা জাপানের দীর্ঘতম ও অন্যতম আলোচিত বিচারিক ঘটনা। ২০১৪ সালে তাঁর মামলাটি পুনঃ বিচারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তখনই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই মামলাটি যারা তদন্ত করেছিলেন, তাঁরাই হাকামাতাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে ফাঁসিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।
এ অবস্থায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর শিজুওকার একটি আদালতে বিচারক হাকামাতাকে খালাস দিলে, সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষ ‘বানজাই’ (হুররে) বলে উল্লাস প্রকাশ করেন। তবে মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনের সেই শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি হাকামাতা।
২০১৪ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হাকামাতা তাঁর ৯১ বছর বয়সী বোন হিদেকোর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে এই হিদেকোই তাঁর ভাইয়ের মুক্তির জন্য লড়াই করে গেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হাকামাতা একটি মিসো (জাপানি খাবার) প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় কাজ করতেন। ১৯৬৬ সালে শিজুওকার একটি বাড়িতে আগুন লাগার পর তাঁর বস, বসের স্ত্রী এবং তাঁদের দুই সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল।
তদন্তকারীরা হাকামাতাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেন এবং দাবি করেন, চারজনকে হত্যার পর তিনি ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং ২ লাখ ইয়েন চুরি করেন। শুরুতে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে ১২ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হন। এ অবস্থায় ১৯৬৮ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
বছরের পর বছর ধরে হাকামাতার আইনজীবীরা যুক্তি দিয়ে এসেছেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পোশাকে পাওয়া ডিএনএ তাঁর সঙ্গে মেলেনি এবং পুলিশের দেখানো প্রমাণ সন্দেহজনক ছিল।
২০১৪ সালে মামলাটি পুনঃ বিচারের অনুমতি পেলেও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এটি শুরু হতে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
এই মামলা জাপানের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে পুনঃ বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগের বিষয়ে।
ইসলামি পোশাকের একটি ব্র্যান্ড মেরাচি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির একটি বিজ্ঞাপন ফ্রান্সে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায়, আইফেল টাওয়ার একটি হিজাবে মোড়ানো। আর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে—‘ফরাসি সরকার মেরাচিকে আসতে দেখলে ঘৃণা করে।’
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন পৃথক বৈঠকে কৃষ্ণসাগরে বলপ্রয়োগ বন্ধের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে এই আলোচনা সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ইউনিফিকেশন চার্চ ১৯৬০-এর দশক থেকে জাপানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর প্রতিষ্ঠাতা সান মিয়ং মুনের নাম থেকেই ‘মুনিজ’ নামটি এসেছে। চার্চটি হাজার হাজার যুগলের একযোগে বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অতীতে আলোচিত হয়েছে এবং আত্মার মুক্তির জন্য বিবাহকে কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে প্রচার করে
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বর্তমানে ৬ বুলগেরিয়ানের বিচার চলছে। সম্প্রতি বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরও দুই নারী—সভেতেলিনা জেনচেভা এবং সভেতানকা দনচেভা। তাঁদের পরিচয় এবারই প্রথম প্রকাশ্যে এল।
৯ ঘণ্টা আগে