Ajker Patrika

ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন মোহাম্মদ মুখবার 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ মে ২০২৪, ১৩: ২৫
Thumbnail image

ভয়াবহ এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর সঙ্গে নিহত হয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। এই অবস্থায় দেশটিতে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আর তা কাটিয়ে উঠতেই দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুখবার। 

ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি সংবিধান অনুসারে কোনো কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দেশটির সরকারপ্রধান তথা প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে সেই পদে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট। আর মোহাম্মদ মুখবার বর্তমানে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। 

তবে মুখবারের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুমোদন লাগবে। ইরানের সংবিধান অনুসারে মোহাম্মদ মুখবার আগামী ৫০ দিন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এবং এই সময়ের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। 

ইব্রাহিম রাইসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। তিনি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাঁর শাসনামলে চীন, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করে তেহরান। ইসরায়েলে আলোচিত ইরানি হামলার সময়ও প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। 

এর আগে, আজ সোমবার সকালে ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইব্রাহিম রাইসি ও আমির আবদুল্লাহিয়ানের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তার আগে, গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় আছড়ে পড়ে হেলিকপ্টারটি। ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজের জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন আরোহী ছিলেন। 

রাইসির হেলিকপ্টারে থাকা একজন কর্মকর্তা এবং ফ্লাইটের একজন ক্রু যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী বিভাগের ডেপুটি মোহসেন মানসুরি। তিনিই এই অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের দেখভাল করছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে মোহসেন বলেন, ‘এটা একটা আশার কথা। এতে বোঝা যায়, ঘটনা অতটা গুরুতর নয়, কারণ ওই ফ্লাইটের দুজন ব্যক্তি আমাদের লোকজনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করতে পেরেছেন।’ 

মানসুরি বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টার এবং আরও দুটি কপ্টার তাবরিজ শহরের পথে যাচ্ছিল। পরে ইরান ও আজারবাইজান উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের সীমান্তে কিজ কালাসি বাঁধ উদ্বোধন করেন। এরপর তাঁদের উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার মধ্যে রাইসির হেলিকপ্টারটির সঙ্গে অন্য দুটি কপ্টারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ওই দুটি হেলিকপ্টার অনুসন্ধান শুরু করে। 

মানসুরি আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গীর দুই সদস্য উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এতে বোঝা যায় ঘটনা গুরুতর নয়। তিনি বলেন, আরেকটি আশাব্যঞ্জক বিষয় হলো, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে দুর্ঘটনার অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছে।

আরও পড়ুন—

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত