Ajker Patrika

অবসরে যাওয়া সেনাদের আবারও যুদ্ধে পাঠাচ্ছে মিয়ানমার জান্তা

অবসরে যাওয়া সেনাদের আবারও যুদ্ধে পাঠাচ্ছে মিয়ানমার জান্তা

জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিপক্ষে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে মিয়ানমার জান্তা। এ পরিস্থিতিতে জান্তা সরকার রিজার্ভ ফোর্সেস আইন সক্রিয় করেছে। আর এর মাধ্যমে অবসরে চলে যাওয়া প্রবীণ সেনা সদস্যদের আবারও যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতী খবরটি দিয়েছে। এর আগে, জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে একের পর এক যুদ্ধে পরাজয়ের মুখে মিয়ানমারের নারী-পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছিল জান্তা সরকার।

জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং গত মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন কারণ অনেক প্রবীণ সেনা তাকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আরও বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষার স্বার্থে আবারও দায়িত্বে ফিরতে চান অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যরা।

এ বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাতেই রিজার্ভ ফোর্সেস আইনে স্বাক্ষর করেন মিন অং হ্লাইং। তিনি মিয়ানমার ওয়ার ভেটেরানস অর্গানাইজেশনেরও সভাপতি। ২০১০ সালে স্বৈরশাসক থান শোয়ের শাসনামলে রিজার্ভ ফোর্সেস আইনটি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর কখনই আইনটি কার্যকর করা হয়নি।

মিয়ানমার ওয়ার ভেটেরানস অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সংগঠনটির দেশব্যাপী ৯১,৬৭৭ সদস্য এবং ১,৬১,৩৭২ জন সহায়ক সদস্য ছিল। এ ছাড়া মিয়ানমারের ৩৩০টি শহরের মধ্যে ৩০৮টিতে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।

তবে অবসরপ্রাপ্ত সবাইকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হবে না বলে জানান মিন অং হ্লাইং। তিনি বলেন, শুধু যারা উপযুক্ত তাদেরই ফ্রন্টলাইনে পাঠানো হবে।

জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুনকে উদ্ধৃত করে জান্তা মিডিয়া বলেছে, যারা গত পাঁচ বছরে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ বা অবসরের অনুমতি পেয়েছেন তাদের রিজার্ভ ফোর্সে বাধ্যতামূলকভাবে অংশ নিতে হবে। তবে সবাইকে সক্রিয় দায়িত্ব দেওয়া হবে না। দেশের জন্য যাদের সত্যিকার অর্থেই দরকার তাদেরই কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

রিজার্ভ ফোর্সেস আইনের অধীনে সেনাদের পরিষেবার মেয়াদ কত দিন বাড়ানো যাবে তা বলা হয়নি। তা ছাড়া, এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সাবেক সেনা সদস্যরা তিন বছরের জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণে জান্তা সদস্যরা একের পর এক ঘাঁটি হারিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত