Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে জলোচ্ছ্বাস, বন্দরনগরী সিত্তে প্লাবিত

আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ১৯: ৪৬
ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে জলোচ্ছ্বাস, বন্দরনগরী সিত্তে প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে মিয়ানমারের বন্দরনগরী সিত্তে অবস্থান করছে। শহরের ওপর দিয়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঘূর্ণিঝড়ে মিয়ানমার উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের ফলে সিত্তের বড় অংশ প্লাবিত হয়ে গেছে। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে সিত্তে শহরের টিনের তৈরি ঘরগুলো উড়ে যেতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে প্রায় চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি মোখা। ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এতে ব্যাপক হতাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।   

ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে জলোচ্ছ্বাসের ফলে বন্দরনগরী সিত্তের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ছবি: মিয়ানমার নাওমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তার একাংশ ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শহরের বাসিন্দাদের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভবনগুলোর নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।   

জাতিসংঘের মানবিক অফিসের (ওসিএইচএ) তথ্যমতে, রাখাইন রাজ্যজুড়ে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা চাহিদাসম্পন্ন ছিল। এ অঞ্চলের প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে ওই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। 

Sittwe_WN_4জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধি রামানাথান বালাক্রিশনান বলেন, যে এলাকায় আগে থেকেই মানবিক সাহায্য জরুরি, সে এলাকায় এমন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত মানুষের জন্য দুঃস্বপ্ন। হাজার হাজার দুর্বল মানুষ যাদের এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা ক্রমাগত সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।  

ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে জলোচ্ছ্বাসের ফলে বন্দরনগরী সিত্তের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একটি আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে আছে মানুষ। ছবি: মিয়ানমার নাওদুই বছর আগে মিয়ানমারে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ দমন-পীড়নের পর, একটি প্রতিরোধ আন্দোলন বিভিন্ন ফ্রন্টে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। আজকের ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে জান্তার এক মুখপাত্রকে রয়টার্সের পক্ষ থেকে কল করা হলে তিনি কোনো জবাব দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত