Ajker Patrika

চীন সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা 

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ১৭
চীন সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা 

জান্তাবাহিনীর কাছ থেকে আরও একটি শহরের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। লাউক্কাই নামের শহরটি প্রতিবেশী দেশ চীনের সীমান্তসংলগ্ন। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীনা জান্তাবাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ এই শহরের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স বিষয়টি জানিয়েছে। 

মূলত জাতিগত তিন সশস্ত্র গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মির (এএ) সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। গোষ্ঠীটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, লাউক্কাই নামের শহরটিতে জান্তাবাহিনীর যে আঞ্চলিক সেনাঘাঁটি ছিল, সেখানকার সৈন্যরা বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। 
 
গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে চীন সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে। সেই অপারেশনের অংশ হিসেবেই লাউক্কাই শহরটির দখল নিল বিদ্রোহীরা। এটি গোষ্ঠীগুলোর দখল করা সর্বশেষ শহর। 

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোকাং (লাউক্কাই) অঞ্চলের সবগুলো সেনাঘাঁটিতে থেকে জান্তাবাহিনীকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের আর কোনো ঘাঁটিই মিয়ানমারে সামরিক কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণে নেই।’ জান্তাবাহিনীর কাছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি জানতে চাইলে তারা এর কোনো জবাব দেয়নি। 

এর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৫টিতেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এ সময় তারা জান্তাবাহিনীর কাছ থেকে ১৪২টি সেনা ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। এর বাইরে তারা চিন রাজ্যের পালেতওয়ার নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। 

সে সময় আরাকান আর্মি ঘোষণা দেয়, তারা বিগত ৪৫ দিন ধরে টানা যুদ্ধ করে যাচ্ছিল জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। অবশেষে তারা রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েসহ অন্য আরও ১৫টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পাশাপাশি পালেতওয়ার ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানেরও দখল নিয়েছে তারা। 

এদিকে বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে ম্রউক উ, পাকতাও ও মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি। কেবল রাখাইনেই নয়, জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারজুড়েই জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ সাফল্য লাভ করছে। শান প্রদেশের একটি বাণিজ্যকেন্দ্র দখল করে নিয়েছে জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত জাতিগত সংখ্যালঘু যোদ্ধারা। কয়েক দিন আগে চীন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার আশ্বাস দেওয়ার পর গত শনিবার এ ঘোষণা দেয় সংখ্যালঘু যোদ্ধারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত