তিন দশক আগে ঝু লিং ছিলেন চীনের সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির রসায়নের শিক্ষার্থী। ১৯৯৪ সালে উচ্চ মাত্রায় বিষাক্ত রাসায়নিক থালিয়াম প্রয়োগের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এর ফলে শরীর প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্ক অকার্যকর হয়ে প্রায় অন্ধ হয়ে যান তিনি। বছরের পর বছর ধরে দিনের ২৪ ঘণ্টা সেবা ও নজরদারির মধ্যে থাকার পর অবশেষে মারা গেছেন লিং।
এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝু লিংকে কে বিষপ্রয়োগ করেছিল তা আজ পর্যন্ত অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটিতে এখন পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে লিংয়ের ক্লাসমেট ও রুমমেট সান উই এই মামলায় একাধিকবার তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
১৯৯৭ সালে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন সান উই। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। পাশাপাশি এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর নামটিকেই পরিবর্তন করে ফেলেন।
জানা যায়, ১৯৯৪ সালে হঠাৎ একদিন পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেছিলেন ঝু লিং। তাঁর চুল পড়ে যেতে শুরু করেছিল। এক মাসের মধ্যে তিনি কোমায় চলে যান। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত হন যে, ঝু লিংকে বিষাক্ত থালিয়াম প্রয়োগ করা হয়েছে। নরম এই পদার্থটি পানিতে সহজেই মিশে যায় এবং এটি স্বাদ-গন্ধহীন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে খবর প্রকাশিত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কম্পাউন্ডে থালিয়াম মজুত রাখা ছিল সেখানে প্রবেশের অনুমতি ছিল ঝু লিংয়ের রুমমেট সান উইয়ের। কিন্তু সান দাবি করেন, ওই কম্পাউন্ডে প্রবেশের অনুমতি শুধু তাঁর একার ছিল না, আরও অনেক শিক্ষার্থীরই ছিল।
পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিশ্বাস করে, সান উই প্রতিহিংসার বশে ঝু লিংকে থালিয়ামের মতো বিষ প্রয়োগ করেছিলেন। কারণ শুধু রূপ নয়, পড়াশোনা ও সংগীতেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন লিং।
তবে লিংয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা কিংবা প্রতিহিংসাকে অস্বীকার করেছিলেন সান উই। একপর্যায়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। ২০১৩ সালে সান উইয়ের বিষয়ে তদন্ত ও তাঁকে বের করে দেওয়ার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল।
পিটিশনে সানের পরিবারের শক্তিশালী রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে বলে বর্ণনা করা হয়। তবে ওই পিটিশনের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। যদিও ঝু লিংয়ের বিষক্রিয়ার বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছিল মার্কিন প্রশাসন।
সান উইয়ের দাদা সান ইউইকি একজন প্রভাবশালী চীনা কর্মকর্তা ছিলেন। তাই জল্পনা ছিল—সানের বিষয়ে তদন্তে তাঁর দাদা হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তবে সান দাবি করেছিলেন—তিনি যখন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হন ততদিনে তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে কারও হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিল পুলিশও।
তিন দশক আগে ঝু লিং ছিলেন চীনের সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির রসায়নের শিক্ষার্থী। ১৯৯৪ সালে উচ্চ মাত্রায় বিষাক্ত রাসায়নিক থালিয়াম প্রয়োগের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এর ফলে শরীর প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্ক অকার্যকর হয়ে প্রায় অন্ধ হয়ে যান তিনি। বছরের পর বছর ধরে দিনের ২৪ ঘণ্টা সেবা ও নজরদারির মধ্যে থাকার পর অবশেষে মারা গেছেন লিং।
এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝু লিংকে কে বিষপ্রয়োগ করেছিল তা আজ পর্যন্ত অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটিতে এখন পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে লিংয়ের ক্লাসমেট ও রুমমেট সান উই এই মামলায় একাধিকবার তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
১৯৯৭ সালে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন সান উই। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। পাশাপাশি এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর নামটিকেই পরিবর্তন করে ফেলেন।
জানা যায়, ১৯৯৪ সালে হঠাৎ একদিন পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেছিলেন ঝু লিং। তাঁর চুল পড়ে যেতে শুরু করেছিল। এক মাসের মধ্যে তিনি কোমায় চলে যান। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত হন যে, ঝু লিংকে বিষাক্ত থালিয়াম প্রয়োগ করা হয়েছে। নরম এই পদার্থটি পানিতে সহজেই মিশে যায় এবং এটি স্বাদ-গন্ধহীন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে খবর প্রকাশিত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কম্পাউন্ডে থালিয়াম মজুত রাখা ছিল সেখানে প্রবেশের অনুমতি ছিল ঝু লিংয়ের রুমমেট সান উইয়ের। কিন্তু সান দাবি করেন, ওই কম্পাউন্ডে প্রবেশের অনুমতি শুধু তাঁর একার ছিল না, আরও অনেক শিক্ষার্থীরই ছিল।
পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিশ্বাস করে, সান উই প্রতিহিংসার বশে ঝু লিংকে থালিয়ামের মতো বিষ প্রয়োগ করেছিলেন। কারণ শুধু রূপ নয়, পড়াশোনা ও সংগীতেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন লিং।
তবে লিংয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা কিংবা প্রতিহিংসাকে অস্বীকার করেছিলেন সান উই। একপর্যায়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। ২০১৩ সালে সান উইয়ের বিষয়ে তদন্ত ও তাঁকে বের করে দেওয়ার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল।
পিটিশনে সানের পরিবারের শক্তিশালী রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে বলে বর্ণনা করা হয়। তবে ওই পিটিশনের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। যদিও ঝু লিংয়ের বিষক্রিয়ার বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছিল মার্কিন প্রশাসন।
সান উইয়ের দাদা সান ইউইকি একজন প্রভাবশালী চীনা কর্মকর্তা ছিলেন। তাই জল্পনা ছিল—সানের বিষয়ে তদন্তে তাঁর দাদা হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তবে সান দাবি করেছিলেন—তিনি যখন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হন ততদিনে তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে কারও হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিল পুলিশও।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং-এর মধ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং মানুষের ১৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে একটি কথোপকথনের ভিডিও প্রত্যাহার করে নিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৬ ঘণ্টা আগেআগামী ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈশ্বিক কূটনৈতিক মঞ্চে সাধারণত বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানেরা উপস্থিত থেকে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। তবে এ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী...
৯ ঘণ্টা আগেঅপরাধমুক্ত দেশ গড়ে তোলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক বার্তা। এ বার্তা দিয়ে সংসদে আনা হয়েছে নতুন বিল, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো মন্ত্রী ফৌজদারি মামলায় অন্তত ৩০ দিন জেলে কাটালেই তাঁকে ছাড়তে হবে পদ। এই বিলকে সামনে রেখে অপরাধমুক্ত রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারে নেমেছে শাসক দল...
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য ও উৎপাদন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের বিরুদ্ধের একের পর এক মন্তব্য করেই যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি বলেছেন, মার্কিন পণ্যে ভারত উচ্চশুল্ক আরোপ করে রাখায় আমেরিকানদের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে