ফজলুল বারী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
ইসরায়েলের ভেতর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার ঘটনার পর মুসলিমদের একটি গ্রুপের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও বিরোধী দল ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সমাজে ইহুদি-বিদ্বেষের কোনো জায়গা নেই।
প্রশ্ন উঠেছে, এদের মিছিল করার অনুমতি পুলিশ কেন দিয়েছে। পুলিশ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছে, মিছিলের অনুমতি দিলে তা নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়। ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতি সমর্থন জানাতে সোমবার রাতে সিডনির টাউন হল থেকে অপেরা হাউস পর্যন্ত আলোর রেখায় ইসরায়েলি নীল-সাদা পতাকায় মোড়ানো হয়। এর বিপরীতে ইসরায়েল থেকে সরকারি সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল বের করে ‘প্রো-ফিলিস্তিনি অ্যাকশন গ্রুপ’। ওই মিছিলে ইসরায়েল ও ইহুদিদের উদ্দেশ্যে ‘আপত্তিকর’ স্লোগান তোলা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাদের প্রতিবাদের পর পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মিছিলের আয়োজক গ্রুপ বলেছে, ইসরায়েল ও ইহুদিবিরোধী স্লোগান যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের কর্মসূচির অংশগ্রহণকারী নন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতায় যেতে ও থাকতে ইহুদি লবির আশীর্বাদকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি ও লিবারেল কোয়ালিশনের অভ্যন্তরে শক্তিশালী ইহুদি গ্রুপ সক্রিয় থাকে। শনিবারের ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ফোন করেন। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধু অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক সমর্থন চান।
অস্ট্রেলিয়ার নেতারা সিডনির সমাবেশে ইহুদিবিরোধী স্লোগান তোলার পরে ‘ঘৃণ্য’ দৃশ্যের নিন্দা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজি বলেছেন, সমাবেশের ছবিগুলো ছিল ‘ভয়াবহ’ এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত ‘স্লোগান যা ইহুদিবিরোধী এবং ভয়ংকর’, পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওয়াং ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের নিন্দা করেছেন।
ওয়াং বলেন, ‘আমাদের সমাজে ইহুদি-বিরোধিতার কোনো স্থান নেই। প্রশ্ন উঠেছে, কেন সোমবার রাতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং ইহুদিরা শহরে নিরাপদ ছিল কি না।’
সিডনিতে সিডনি অপেরা হাউসের বাইরে যখন অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়, তখন ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিক্রিয়া দেখায়। ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে গাজার ফিলিস্তিনি ছিটমহলে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, শত শত লোককে হত্যা করেছে৷ আরও ডজনখানেককে অপহরণ করেছে।
সিডনির ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশে অস্ট্রেলিয়াকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায়, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা সিডনি টাউন হল থেকে সিডনি অপেরা হাউস পর্যন্ত মিছিল করেছে, যেটি ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সাদা এবং নীল রঙে আলোকিত হয়েছিল। ক্যানবেরার সংসদ ভবনও ইসরায়েলের পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়েছে।
ইহুদি-বিদ্বেষের সমালোচনা করে মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের সকলের ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।’ অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের প্রথম সমকামী মন্ত্রী ওয়াং মঙ্গলবার এবিসি রেডিও ন্যাশনালের সঙ্গে কথা বলেন।
ওয়াং বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি-বিদ্বেষ বা কুসংস্কার বা কোনো ধরনের ঘৃণার কোনো স্থান নেই এবং আমাদের সকলের উচিত সেই ধরনের ইহুদিবিরোধী ভাষার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো। দুর্ভাগ্যবশত কিছু লোক এর উল্টো কাজে নিয়োজিত। আমাদের সকল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো উচিত।’
অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আলবানিজি স্কাই নিউজকে বলেছেন, সমাবেশের ছবিগুলো ‘ভয়াবহ’ ছিল, যেখানে ‘সেমিটিকবিরোধী স্লোগান ছিল, যা ভয়ংকর।’
নিউসাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন, কেউ ‘জাতিগত অপমান বা ঘৃণার প্ররোচনা বা সহিংসতার প্ররোচনায়’ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে। তিনি অপেরা হাউসের দৃশ্যগুলোকে ‘ঘৃণ্য’ বলে উল্লেখ করেন।
মিন্স বলেন, সিডনির ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিরাপদে দেখা করা ও শোক করতে পারেন।
ফিলিস্তিনিরা কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের দখলদারত্বে ভুগছে কি না, সেখান থেকে শনিবারের ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে পেনি ওয়াং এবিসি রেডিওকে বলেন, ‘আমরা জানি এটি বিশ্বের এমন একটি অঞ্চল যেখানে দীর্ঘকাল ধরে বিরোধ, দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ, সব দিক থেকে সহিংসতা রয়েছে। আমরা হামাসকে যা করতে দেখেছি তার কোনো কিছুই সমর্থনযোগ্য নয়।’
সিডনিতে সমাবেশের পরে বিরোধী দলের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র জেমস প্যাটারসন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘অস্ট্রেলীয় শহরে এই দৃশ্যগুলো দেখে হতবাক। যদি অস্ট্রেলিয়ানরা মনে করে, এটি আচরণ করার একটি উপযুক্ত উপায়, তাহলে আমাদের গুরুতর সমস্যা আছে।’
ওয়েন্টওয়ার্থের স্বতন্ত্র সাংসদ অ্যালেগ্রা স্পেন্ডার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘গত রাতে অপেরা হাউসের বাইরের দৃশ্য এবং স্লোগান জঘন্য। এমন এক সময়ে যখন আমাদের ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি থাকা উচিত, তারা ভয়ংকর অপব্যবহারের শিকার হয়েছে।’
অপেরা হাউসে বিক্ষোভের সংগঠক আমল নাসের বলেন, যুবকরা ইহুদি-বিদ্বেষী স্লোগানে অংশ নিচ্ছে, তারা মূল দলের অংশ নয় এবং তারা নিজেরা এসে অপেরা হাউসে যোগ দিয়েছে। আমরা যেকোনো ধরনের ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা করি এবং এটি আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়। আমাদের মুভমেন্ট হলো বর্ণবাদবিরোধী এবং ঔপনিবেশিকবিরোধী।
অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ মঙ্গলবার বলেছে যে তারা সিডনি অপেরা হাউসের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের তদন্ত করছে, বিক্ষোভে ইহুদিবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে এমন একটি ছোট গোষ্ঠীর ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পরে৷
প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনি সমর্থক সোমবার সন্ধ্যায় সিডনির ডাউনটাউনের মধ্য দিয়ে শহরের আইকনিক অপেরা হাউসের দিকে যাত্রা করেছিল। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য পুলিশ মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে যে তারা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না তা নির্ধারণ করতে বিক্ষোভের ফুটেজ পর্যালোচনা করছে। মোটকথা প্রতিবাদ করতে এসে সিডনিবাসী ফিলিস্তিনিরা উল্টো এখানে পুলিশি জেরার জেরবার হবেন। কারণ ইহুদি-বিদ্বেষের স্লোগান আপত্তিকর ছিল। এখন স্থানীয় ইহুদি জনগোষ্ঠীকে খুশি করতে পুলিশ-সরকার যা যা দরকার এখন তাই করবে।
ইসরায়েলের ভেতর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার ঘটনার পর মুসলিমদের একটি গ্রুপের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও বিরোধী দল ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সমাজে ইহুদি-বিদ্বেষের কোনো জায়গা নেই।
প্রশ্ন উঠেছে, এদের মিছিল করার অনুমতি পুলিশ কেন দিয়েছে। পুলিশ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছে, মিছিলের অনুমতি দিলে তা নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়। ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতি সমর্থন জানাতে সোমবার রাতে সিডনির টাউন হল থেকে অপেরা হাউস পর্যন্ত আলোর রেখায় ইসরায়েলি নীল-সাদা পতাকায় মোড়ানো হয়। এর বিপরীতে ইসরায়েল থেকে সরকারি সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল বের করে ‘প্রো-ফিলিস্তিনি অ্যাকশন গ্রুপ’। ওই মিছিলে ইসরায়েল ও ইহুদিদের উদ্দেশ্যে ‘আপত্তিকর’ স্লোগান তোলা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাদের প্রতিবাদের পর পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মিছিলের আয়োজক গ্রুপ বলেছে, ইসরায়েল ও ইহুদিবিরোধী স্লোগান যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের কর্মসূচির অংশগ্রহণকারী নন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতায় যেতে ও থাকতে ইহুদি লবির আশীর্বাদকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি ও লিবারেল কোয়ালিশনের অভ্যন্তরে শক্তিশালী ইহুদি গ্রুপ সক্রিয় থাকে। শনিবারের ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ফোন করেন। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধু অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক সমর্থন চান।
অস্ট্রেলিয়ার নেতারা সিডনির সমাবেশে ইহুদিবিরোধী স্লোগান তোলার পরে ‘ঘৃণ্য’ দৃশ্যের নিন্দা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজি বলেছেন, সমাবেশের ছবিগুলো ছিল ‘ভয়াবহ’ এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত ‘স্লোগান যা ইহুদিবিরোধী এবং ভয়ংকর’, পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওয়াং ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের নিন্দা করেছেন।
ওয়াং বলেন, ‘আমাদের সমাজে ইহুদি-বিরোধিতার কোনো স্থান নেই। প্রশ্ন উঠেছে, কেন সোমবার রাতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং ইহুদিরা শহরে নিরাপদ ছিল কি না।’
সিডনিতে সিডনি অপেরা হাউসের বাইরে যখন অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়, তখন ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিক্রিয়া দেখায়। ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে গাজার ফিলিস্তিনি ছিটমহলে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, শত শত লোককে হত্যা করেছে৷ আরও ডজনখানেককে অপহরণ করেছে।
সিডনির ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশে অস্ট্রেলিয়াকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায়, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা সিডনি টাউন হল থেকে সিডনি অপেরা হাউস পর্যন্ত মিছিল করেছে, যেটি ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সাদা এবং নীল রঙে আলোকিত হয়েছিল। ক্যানবেরার সংসদ ভবনও ইসরায়েলের পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়েছে।
ইহুদি-বিদ্বেষের সমালোচনা করে মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের সকলের ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।’ অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের প্রথম সমকামী মন্ত্রী ওয়াং মঙ্গলবার এবিসি রেডিও ন্যাশনালের সঙ্গে কথা বলেন।
ওয়াং বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি-বিদ্বেষ বা কুসংস্কার বা কোনো ধরনের ঘৃণার কোনো স্থান নেই এবং আমাদের সকলের উচিত সেই ধরনের ইহুদিবিরোধী ভাষার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো। দুর্ভাগ্যবশত কিছু লোক এর উল্টো কাজে নিয়োজিত। আমাদের সকল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো উচিত।’
অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আলবানিজি স্কাই নিউজকে বলেছেন, সমাবেশের ছবিগুলো ‘ভয়াবহ’ ছিল, যেখানে ‘সেমিটিকবিরোধী স্লোগান ছিল, যা ভয়ংকর।’
নিউসাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন, কেউ ‘জাতিগত অপমান বা ঘৃণার প্ররোচনা বা সহিংসতার প্ররোচনায়’ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে। তিনি অপেরা হাউসের দৃশ্যগুলোকে ‘ঘৃণ্য’ বলে উল্লেখ করেন।
মিন্স বলেন, সিডনির ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিরাপদে দেখা করা ও শোক করতে পারেন।
ফিলিস্তিনিরা কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের দখলদারত্বে ভুগছে কি না, সেখান থেকে শনিবারের ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে পেনি ওয়াং এবিসি রেডিওকে বলেন, ‘আমরা জানি এটি বিশ্বের এমন একটি অঞ্চল যেখানে দীর্ঘকাল ধরে বিরোধ, দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ, সব দিক থেকে সহিংসতা রয়েছে। আমরা হামাসকে যা করতে দেখেছি তার কোনো কিছুই সমর্থনযোগ্য নয়।’
সিডনিতে সমাবেশের পরে বিরোধী দলের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র জেমস প্যাটারসন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘অস্ট্রেলীয় শহরে এই দৃশ্যগুলো দেখে হতবাক। যদি অস্ট্রেলিয়ানরা মনে করে, এটি আচরণ করার একটি উপযুক্ত উপায়, তাহলে আমাদের গুরুতর সমস্যা আছে।’
ওয়েন্টওয়ার্থের স্বতন্ত্র সাংসদ অ্যালেগ্রা স্পেন্ডার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘গত রাতে অপেরা হাউসের বাইরের দৃশ্য এবং স্লোগান জঘন্য। এমন এক সময়ে যখন আমাদের ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি থাকা উচিত, তারা ভয়ংকর অপব্যবহারের শিকার হয়েছে।’
অপেরা হাউসে বিক্ষোভের সংগঠক আমল নাসের বলেন, যুবকরা ইহুদি-বিদ্বেষী স্লোগানে অংশ নিচ্ছে, তারা মূল দলের অংশ নয় এবং তারা নিজেরা এসে অপেরা হাউসে যোগ দিয়েছে। আমরা যেকোনো ধরনের ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা করি এবং এটি আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়। আমাদের মুভমেন্ট হলো বর্ণবাদবিরোধী এবং ঔপনিবেশিকবিরোধী।
অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ মঙ্গলবার বলেছে যে তারা সিডনি অপেরা হাউসের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের তদন্ত করছে, বিক্ষোভে ইহুদিবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে এমন একটি ছোট গোষ্ঠীর ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পরে৷
প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনি সমর্থক সোমবার সন্ধ্যায় সিডনির ডাউনটাউনের মধ্য দিয়ে শহরের আইকনিক অপেরা হাউসের দিকে যাত্রা করেছিল। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য পুলিশ মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে যে তারা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না তা নির্ধারণ করতে বিক্ষোভের ফুটেজ পর্যালোচনা করছে। মোটকথা প্রতিবাদ করতে এসে সিডনিবাসী ফিলিস্তিনিরা উল্টো এখানে পুলিশি জেরার জেরবার হবেন। কারণ ইহুদি-বিদ্বেষের স্লোগান আপত্তিকর ছিল। এখন স্থানীয় ইহুদি জনগোষ্ঠীকে খুশি করতে পুলিশ-সরকার যা যা দরকার এখন তাই করবে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বয়কটের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ড্যানিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বয়কট করছেন।
২৮ মিনিট আগেগাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে ইহুদি ও ইসলামবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
১ ঘণ্টা আগেপ্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে