Ajker Patrika

মদের বোতলে তরল কোকেন পাচার, দুই বোতলেই ২৬ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৩, ২৩: ০২
Thumbnail image

নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ বহন করতে পারেন বিমানযাত্রীরা। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছে কোকেন পাচারকারীরা। তারা অভিনব উপায়ে কোকেনকে তরলে রূপান্তরিত করে এটিকে মদ ঘোষণা দিয়ে বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিচ্ছে। 

গত বৃহস্পতিবার ভারতের দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। দুটি হুইস্কির বোতলে করে কোকেন পাচার করতে চেয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এক কেনিয়ান নারী। পরে তাকে আটক করা হয়। 

রোববার হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ার ওই নারী ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা থেকে কোকেনের চালান নিয়ে আকাশপথে ভারতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। 

ভারতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তরল কোকেন আটকের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি চালান তাঁরা ধরেছেন। 

গত এপ্রিলেও দিল্লির বিমানবন্দরে হুইস্কির বোতলে কোকেনসহ আটক করা হয়েছিল তাঞ্জানিয়ার এক ব্যক্তিকে। তিনিও ইথিওপিয়া থেকে ওই চালান নিয়ে এসেছিলেন। 

এ ছাড়া গত নভেম্বরে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই বোতল তরল কোকেনসহ ইথিওপিয়া থেকে আসা এক নাইজেরিয়ানকে আটক করা হয়েছিল। সে সময় ভারতের নারকোটিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ওই দুই বোতলে প্রায় ২০ কোটি রুপির কোকেন ছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ২৬ কোটি টাকারও বেশি। 

বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তাদের মতে, মদের বোতলে করে কেউ কোকেন পাচারের চেষ্টা করলে তা ধরা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। কারণ নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ বহনের সুযোগ আছে বিমানযাত্রীদের। 

ধরা পড়া মাদক পাচারকারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী-কোকেন পাচারের এই পদ্ধতিটি নতুন। এই পদ্ধতিতে প্রথমে কোকেনের পাউডারকে তরলে রূপান্তর করা হয়। পরে আবার ওই কোকেনকে পাউডারে পরিণত করা যায়। সম্প্রতি এই পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু ভারতেই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই কৌশলে কোকেন পাচার করা হচ্ছে। 

তবে তরল কোকেন শনাক্ত করতে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড দুটি কৌশল আবিষ্কার করেছে। এ দুটি কৌশলে মদের বোতলের ছিপ না খুলেই ভেতরে কোকেন আছে কি-না তা পরীক্ষা করা সম্ভব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত