Ajker Patrika

মহামারি ঠেকাতে একমত বিশ্ব, স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন চুক্তি গৃহীত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ১৮: ০৪
কোভিড-১৯-এর মতো মহামারি ঠেকাতে একমত হয়েছে বিশ্ব। ছবি: এএফপি
কোভিড-১৯-এর মতো মহামারি ঠেকাতে একমত হয়েছে বিশ্ব। ছবি: এএফপি

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বার্ষিক সম্মেলনে আজ মঙ্গলবার একটি নতুন চুক্তি নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির লক্ষ্য, ভবিষ্যৎ মহামারি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করা। ডব্লিউএইচওর সদস্য দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। যদিও স্লোভাকিয়া এর ওপর ভোটাভুটির দাবি জানিয়েছিল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, এই চুক্তির ফলে বিশ্ব আরও সুরক্ষিত হবে এবং ভবিষ্যৎ মহামারির হুমকি থেকে আরও ভালোভাবে রক্ষা পাবে। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি জনস্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও বহুপক্ষীয় পদক্ষেপের এক বিজয়। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি স্বীকৃতি যে, আমাদের নাগরিক, সমাজ ও অর্থনীতিকে কোভিড-১৯-এর মতো ক্ষতির মুখে আর পড়তে দেওয়া যাবে না।’

রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর তথ্য, ওষুধ ও ভ্যাকসিন বণ্টনের নতুন পদ্ধতির বিস্তারিত আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মহামারি চুক্তি স্বাক্ষর ও অনু সমর্থনের জন্য উন্মুক্ত হবে না। তবে আজ মঙ্গলবারের এই সিদ্ধান্ত একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। কারণ একসময় এই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে অনুমোদিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রস্তাব অনুযায়ী—রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু প্রাপ্তি ও সুবিধা বণ্টন (পিএবিএস) পদ্ধতির বিষয়ে আগামী বছরের সম্মেলনে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সম্মেলন ২০২৬ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আজ স্বাক্ষরিত চুক্তির মূল বিষয়বস্তু হলো—স্বাস্থ্যঝুঁকির ওপর নজরদারি বাড়ানো, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার এবং সংকটের সময় আরও বেশি ওষুধ ও ভ্যাকসিন বিতরণের প্রতিশ্রুতি। যদিও এই চুক্তির বিধানগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাথমিক দাবির চেয়ে কম, তবুও কূটনীতিকেরা এটিকে আরও ন্যায্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিধির দিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছেন।

নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং মহামারি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া-বিষয়ক স্বাধীন প্যানেলের সহসভাপতি হেলেন ক্লার্ক বলেন, এই চুক্তিকে একটি ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করুন, যা আজ থেকেই গড়ে তোলা শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, অর্থায়ন, চিকিৎসাসামগ্রীর ন্যায্য প্রাপ্তি এবং ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বোঝার ক্ষেত্রে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। কাজ শুরু করতে দেরি করবেন না। বিপজ্জনক রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত