Ajker Patrika

রপ্তানিতে ধস: ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ৫.৯২ থেকে নামল ৩.৩২ শতাংশে

রপ্তানিতে ধস: ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ৫.৯২ থেকে নামল ৩.৩২ শতাংশে

বিদেশের চাহিদার ওপর নির্ভরশীল ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বড় ধাক্কা খেয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৩২ শতাংশে নেমেছে, যা আগের বছরের শেষ প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।

প্রথম প্রান্তিকে শিল্প খাত ও নির্মাণ খাতে বড় ধস যেমন হয়েছে, তেমনি বস্ত্র খাত ও জুতা শিল্প খাতসহ সার্বিক রপ্তানি খাতে চাহিদা মারাত্মক কমেছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের (জিএসও) একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র।

এতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকস বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স এক নোটে বলেছে, ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রপ্তানির ওপর বেশি নির্ভর করে। বৈশ্বিক চাহিদার কমে যাওয়ায় তাই রপ্তানিও ব্যাপক কমেছে।

জিএসওর কর্মকর্তা ত্রান থি থু ব্লুমবার্গকে বলেন, এই প্রান্তিকে বস্ত্র ও জুতা রপ্তানির ক্রয়াদেশ কমেছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। তবে বিষয়টা শুধু শিল্প খাতের নয়, আবাসনে সংকটের কারণে নির্মাণ খাতেও ধস নেমেছে।

ভিয়েতনাম নির্মাণ খাতকে অনেক সুবিধা দিয়েছে। তাই রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো সম্পদের তুলনায় অনেক বেশি ঋণ নিয়েছে। কিন্তু এখন ঋণের বিতরণে শর্ত অনেক কঠোর করায় এই খাতটিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।

এসব বিষয় বিবেচনা করলে চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি কিছুটা দুর্বল থাকবে বলে ক্যাপিটাল ইকোনমিকস বলছে।

জিএসওর প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে রয়েছে স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের হাব। স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিক রপ্তানি করেই সব চেয়ে বেশি আয় করে দেশটি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ভিয়েতনামের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোতে স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা অনেক কমে গেছে।

তাই ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিক পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। এই সময়ে ১৫ শতাংশ কমে স্মার্টফোন রপ্তানি থেকে আয় দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলারে এবং ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানি থেকেও আয় কমেছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে যখন গত বছরের তুলনায় পণ্য ও পরিসেবার খুচরা বিক্রি ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে তখন শিল্প উৎপাদন কমেছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। 

চলতি বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্য ধরেছে সরকার। আগের বছর এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ০২ শতাংশ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।

শেয়ার বাজার বিষয়ক তথ্যমাধ্যম রিফিনিটিভের তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় ভিয়েতনামের স্টক ইনডেক্স ২৯ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসের শুরুতে তারল্য বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত রদ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত