ঢাকা: গত বছরের শুরু থেকেই চলছে করোনা মহামারি। সংক্রমণ সামাল দিতে দেশে দেশে জারি করা হয় লকডাউন। থেমে যায় অর্থনীতির চাকা। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায় পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের। করোনার কারণে এখনো অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে এই মহামারিতে খুলে গেছে অনেকের ভাগ্যের চাকাও। এর মধ্যে পৃথিবীতে অন্তত নয়জন আছেন, যারা ইতিমধ্যেই শত কোটি ডলারের মালিক হয়ে গেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, ‘পিপলস ভ্যাকসিন’ নামে টিকার সমবণ্টনে বিশ্বাসী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্প্রতি করোনার টিকা বেচে বিলিয়নিয়ার হওয়া নয়জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। মাত্র দুই–তিন মাসের মধ্যেই তারা এমন বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।
সংস্থাটির তথ্যমতে, কোভিডের টিকা বেচে যারা ধনকুবের হয়েছেন, তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মডার্না ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক সংস্থার সিইওরা। বর্তমানে দুজনেরই সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। বিলিয়নিয়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন মডার্নার আরও দুই প্রতিষ্ঠাতা বিনিয়োগকারী ও সংস্থাটি চেয়ারম্যানও। শুধু তাই নয়, মডার্নার ভ্যাকসিন উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ের দায়িত্বে থাকা অন্য একটি সংস্থার সিইও-ও মহামারির মধ্যে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। তালিকায় থাকা বাকি তিনজন চীনের ভ্যাকসিন সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা।
নতুন নয় ‘ভ্যাকসিন বিলিয়নিয়ার’–এর মিলিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩০ বিলিয়ন ডলার! এই পরিমাণ সম্পদ দিয়ে গরিব দেশগুলোর সব মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে বলে দাবি করেছে পিপলস ভ্যাকসিন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশই বাস করেন এই নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে। অথচ বিশ্বব্যাপী যত টিকা সরবরাহ করা হয়েছে, তার মাত্র দশমিক ২ শতাংশ পেয়েছে এসব দেশ।
এখানেই শেষ নয়, পিপলস ভ্যাকসিন জানায়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করা ওষুধ কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমন আরও আটজন আছেন, যারা আগে থেকেই বিলিয়নিয়ার ছিলেন। মহামারির দেড় বছরে তাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩ হাজার ২২০ কোটি ডলার!
পিপলস ভ্যাকসিনের মতে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর। তাই টিকা বেচে তারা বিশাল আয় করবে, এই প্রত্যাশায় প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম দ্রুত হারে বাড়ছে। এর মধ্যে মডার্নার শেয়ারের দাম গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৭০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। একই সময়ে বায়োএনটেকের বেড়েছে ৬০০ শতাংশ। এ ছাড়া চীনা টিকা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে অক্সফামের স্বাস্থ্যনীতি ব্যবস্থাপক অ্যান ম্যারিয়ট সিএনএনকে বলেন, ‘টিকা খাতে একচেটিয়া ব্যবসার মাধ্যমে ফার্মাসিউটিক্যাল করপোরেশনগুলো যে পরিমাণ মুনাফা করছে, তার একটি ছোট নিদর্শন হলেন এই হঠাৎ শত কোটিপতি হওয়া নয়জন। অথচ এই টিকা তৈরিতে গবেষণা পর্যায় থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যায় পর্যন্ত ব্যয়ের একটি বড় অংশই হয়েছে জনগণের অর্থে। তাই কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি নয়, এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষের স্বার্থই রক্ষা পাওয়া উচিত ছিল।’
তা যে হয়নি, তা বোঝা যাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি হিসাবের দিকে তাকালে। সংস্থাটি জানায়, বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা টিকার ৮৭ শতাংশ ডোজই গেছে উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কাছে। বিপরীতে নিম্ন আয়ের দেশের মানুষ পেয়েছে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ ডোজ। আর এটি হয়েছে মানুষের টাকায় আবিষ্কৃত ও উৎপাদিত টিকার উচ্চমূল্য নির্ধারণের কারণে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনতে ৫ হাজার কোটি ডলারের প্রয়োজন পড়বে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ওই সময় পর্যন্ত বিশ্ব আরও বেশ কয়েকজন নতুন শত কোটিপতির দেখা পাবে।
ঢাকা: গত বছরের শুরু থেকেই চলছে করোনা মহামারি। সংক্রমণ সামাল দিতে দেশে দেশে জারি করা হয় লকডাউন। থেমে যায় অর্থনীতির চাকা। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায় পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের। করোনার কারণে এখনো অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে এই মহামারিতে খুলে গেছে অনেকের ভাগ্যের চাকাও। এর মধ্যে পৃথিবীতে অন্তত নয়জন আছেন, যারা ইতিমধ্যেই শত কোটি ডলারের মালিক হয়ে গেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, ‘পিপলস ভ্যাকসিন’ নামে টিকার সমবণ্টনে বিশ্বাসী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্প্রতি করোনার টিকা বেচে বিলিয়নিয়ার হওয়া নয়জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। মাত্র দুই–তিন মাসের মধ্যেই তারা এমন বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।
সংস্থাটির তথ্যমতে, কোভিডের টিকা বেচে যারা ধনকুবের হয়েছেন, তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মডার্না ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক সংস্থার সিইওরা। বর্তমানে দুজনেরই সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। বিলিয়নিয়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন মডার্নার আরও দুই প্রতিষ্ঠাতা বিনিয়োগকারী ও সংস্থাটি চেয়ারম্যানও। শুধু তাই নয়, মডার্নার ভ্যাকসিন উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ের দায়িত্বে থাকা অন্য একটি সংস্থার সিইও-ও মহামারির মধ্যে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। তালিকায় থাকা বাকি তিনজন চীনের ভ্যাকসিন সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা।
নতুন নয় ‘ভ্যাকসিন বিলিয়নিয়ার’–এর মিলিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩০ বিলিয়ন ডলার! এই পরিমাণ সম্পদ দিয়ে গরিব দেশগুলোর সব মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে বলে দাবি করেছে পিপলস ভ্যাকসিন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশই বাস করেন এই নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে। অথচ বিশ্বব্যাপী যত টিকা সরবরাহ করা হয়েছে, তার মাত্র দশমিক ২ শতাংশ পেয়েছে এসব দেশ।
এখানেই শেষ নয়, পিপলস ভ্যাকসিন জানায়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করা ওষুধ কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমন আরও আটজন আছেন, যারা আগে থেকেই বিলিয়নিয়ার ছিলেন। মহামারির দেড় বছরে তাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩ হাজার ২২০ কোটি ডলার!
পিপলস ভ্যাকসিনের মতে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর। তাই টিকা বেচে তারা বিশাল আয় করবে, এই প্রত্যাশায় প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম দ্রুত হারে বাড়ছে। এর মধ্যে মডার্নার শেয়ারের দাম গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৭০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। একই সময়ে বায়োএনটেকের বেড়েছে ৬০০ শতাংশ। এ ছাড়া চীনা টিকা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে অক্সফামের স্বাস্থ্যনীতি ব্যবস্থাপক অ্যান ম্যারিয়ট সিএনএনকে বলেন, ‘টিকা খাতে একচেটিয়া ব্যবসার মাধ্যমে ফার্মাসিউটিক্যাল করপোরেশনগুলো যে পরিমাণ মুনাফা করছে, তার একটি ছোট নিদর্শন হলেন এই হঠাৎ শত কোটিপতি হওয়া নয়জন। অথচ এই টিকা তৈরিতে গবেষণা পর্যায় থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যায় পর্যন্ত ব্যয়ের একটি বড় অংশই হয়েছে জনগণের অর্থে। তাই কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি নয়, এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষের স্বার্থই রক্ষা পাওয়া উচিত ছিল।’
তা যে হয়নি, তা বোঝা যাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি হিসাবের দিকে তাকালে। সংস্থাটি জানায়, বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা টিকার ৮৭ শতাংশ ডোজই গেছে উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কাছে। বিপরীতে নিম্ন আয়ের দেশের মানুষ পেয়েছে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ ডোজ। আর এটি হয়েছে মানুষের টাকায় আবিষ্কৃত ও উৎপাদিত টিকার উচ্চমূল্য নির্ধারণের কারণে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনতে ৫ হাজার কোটি ডলারের প্রয়োজন পড়বে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ওই সময় পর্যন্ত বিশ্ব আরও বেশ কয়েকজন নতুন শত কোটিপতির দেখা পাবে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আব্দুল কালাম ওরফে নেহা ১০ বছর বয়সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রায় দুই দশক মুম্বাইয়ে কাটানোর পর তিনি ভোপালে থিতু হন। পুলিশের অভিযোগ, তিনি তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় ধারণ করে স্থানীয় হিজড়া সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় দালালদের সহায়তায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার...
১ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিচয় বিপন্ন করেছে।’ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১ ঘণ্টা আগেফরাসি প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের প্রায় ২৫০টি ইঞ্জিন কিনতে চলেছে ভারত, যার আনুমানিক খরচ ৬১ হাজার কোটি রুটি। এতে ভারতীয় প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও আধুনিকতা, যা দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে এক নতুন মাত্রা আনবে।
২ ঘণ্টা আগেএডুয়ার্দো বলসোনারো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে নিজ দেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে দেশে তাঁর বাবার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি বিচার কার্যক্রম চলছে। ঠিক এই সময়ে
২ ঘণ্টা আগে