Ajker Patrika

গুজরাটে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভারতীয় মুসলমান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০০: ০৪
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বাসিন্দা সুলতান মল্লিকের ভারতীয় পাসপোর্ট, তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে পাসপোর্ট নম্বর ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্য
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বাসিন্দা সুলতান মল্লিকের ভারতীয় পাসপোর্ট, তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে পাসপোর্ট নম্বর ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্য

ভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আটক হওয়া বাকিদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক বেআইনি বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সোমবার রাতে বিকাশ সহায়কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘নথির ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত এটা নিশ্চিত করা গেছে, ৪৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বেআইনিভাবে এখানে থাকছিলেন। আটক হওয়া বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমাদের মনে হচ্ছে, একটা বড় সংখ্যায় বেআইনি বাংলাদেশিদের পরিচয় আমরা নিশ্চিত করতে পারব।’

শনিবার ভোররাত থেকে প্রথমে আহমেদাবাদ ও সুরাতে এবং তারপরের দুই দিনে পুরো গুজরাটেই ‘বেআইনি বাংলাদেশি’ আটক করার জন্য অপারেশন চালাচ্ছে গুজরাট পুলিশ।

সাহিনা বিবি নামের এক নারীর সঙ্গে কথা বলে বিবিসি। তাঁর স্বামী সুলতান মল্লিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়। সাহিনা বিবি বলেন, ‘রাত তিনটা নাগাদ পুলিশ আসে আমাদের বাসায়। আমার স্বামী, বাচ্চাদের—সবার আধার কার্ড দেখতে চায়। তারপরে তারা আমার স্বামী আর দুই ভাগনেকে নিয়ে যায়। ওরা বলেছিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবে আমার স্বামী। কিন্তু প্রায় তিন দিন হতে চলল, তিনি ফেরেননি।’

যেদিন প্রথম অপারেশন শুরু হয়, সেদিনই আটক হন সুলতান মল্লিক ও তাঁর দুই কিশোর ভাগনে।

বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের আটক করা হয়, তবে বিবিসি বাংলার হাতে সুলতান মল্লিকের পাসপোর্ট ও ১৯৯৩ সালের একটি জমির দলিল হাতে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর অঞ্চলের বাসিন্দা।

পশ্চিমবঙ্গের সুলতান মল্লিক কেন আটক

সুলতান মল্লিক বছর ছয়েক ধরে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের সুরাতে এমব্রয়ডারির কাজ করেন। তাঁর স্ত্রীর কথায়, ‘প্রথমে তো জানতেই পারিনি যে কোন থানায় নিয়ে গেছে, কোথায় রেখেছে। শনিবার দিনের বেলা আমার স্বামী পুলিশের একটা নম্বর থেকেই ফোন করে জানায়, তাঁদের কোনো একটা গুদামঘরে রেখেছে। সব নথি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলেন আমার স্বামী। পাসপোর্ট, জমির দলিল—যা যা প্রমাণ ছিল, সব পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপর থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত আর কোনো যোগাযোগ নেই। এদিকে আমার শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর ছেলের এই দশা দেখে, আমার বড় মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। মাত্র এক বছর হলো আমি গুজরাটে এসেছি। এখন কোথায় স্বামীর খোঁজ করতে যাব বুঝতে পারছি না।’

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে, এমন একটি সংগঠন ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’ গুজরাটের ধরপাকড় শুরু হওয়ার পরে একটি হেল্পলাইন খুলেছে। প্রিয়জনের খোঁজ পাওয়ার জন্য ওই হেল্পলাইনে গত দুই দিনে প্রিয়জনের খোঁজ না পাওয়া এক শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানান সংগঠনটির রাজ্য সম্পাদক আসিফ ফারুক।

আসিফ ফারুক বলেন, ‘গুজরাতে সংখ্যাটা বড়, তাই বিষয়টা ব্যাপক আলোচনায় উঠে এসেছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশ, ওডিশা আর মহারাষ্ট্রেও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মুসলমানদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হেনস্তা করার ঘটনা সম্প্রতি খুব বেড়ে গেছে। এ রকম পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে, এই আশঙ্কা করেই আমরা গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটা চিঠিও দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কাজ যে কিছু হয়নি, দেখাই যাচ্ছে।’

তাঁর কথায়, ‘আরও একটা গুরুতর বিষয় জানতে পারলাম সুলতান মল্লিকের ব্যাপারে। আটক হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের আদালতে তোলার করার কথা ছিল। কিন্তু তিন দিন হয়ে গেল তাঁদের আটক করা হয়েছে, আদালতে কেন তোলা হলো না এখনো!’

বরযাত্রীদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ

‘বাংলাদেশি’দের খোঁজে পুলিশের অপারেশন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে আহমেদাবাদ পুলিশের ‘ক্রাইম ব্রাঞ্চ’ দপ্তরের সামনে বিবিসি গুজরাটের সংবাদদাতা তেজশ ভৈদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মোছা. ফারজানার।

মোছা. ফারজানা বিয়ের কার্ড দেখাচ্ছেন। তাদের বাড়িতে আসা বরযাত্রীদেরও ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
মোছা. ফারজানা বিয়ের কার্ড দেখাচ্ছেন। তাদের বাড়িতে আসা বরযাত্রীদেরও ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

মেহেদি রাঙা হাত দেখিয়ে ফারজানা একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে একটা বিয়ের কার্ড দেখান। ফারজানা বলেন, ‘বাড়িতে বিয়ে আছে। বরযাত্রীরা এসেছিল। আমাদের বাড়ি খুবই ছোট, তাই তাদের ঘুমোনোর ব্যবস্থা করেছিলাম চান্দোলা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখান থেকেই বাংলাদেশি সন্দেহ করে বরযাত্রীদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের আকোলা থেকে এসেছিল আমার বড় ভাই আর ভাতিজা। তারা না থাকলে কী করে বিয়ে হবে! ওই দিনই বাড়িতে হলদি (গায়েহলুদ) অনুষ্ঠান ছিল। সেটাও পিছিয়ে দিতে হয়েছে।’

তাদের বিয়েতেই সপরিবার এসেছিলেন মোছা. জেবুন্নেসা। তাঁর ছেলে আর ভগ্নিপতিকে পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছিল ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে।

তাঁর কথায়, ‘আমরা মহারাষ্ট্রের আকোলা থেকে বিয়েতে যোগ দিতে এসেছিলাম বরযাত্রী হিসেবে। আমাদের কাছে জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে আধার কার্ড—সব আছে।’

বিয়েবাড়ি ছেড়ে সারা দিন খাওয়াদাওয়া না করে তাঁরা বসে ছিলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের দপ্তরে। সব নথিপত্র জমা দেওয়ার পরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সবাইকে ছাড়া হয়।

মোছা. ফারজানা বা তাঁর আত্মীয়রা কেউ বাংলাদেশি নন, এমনকি বাংলাভাষীও নন। তাঁরা গুজরাট আর মহারাষ্ট্রের মুসলমান।

আহমেদাবাদের বাসিন্দাও আটক

ক্রাইম ব্রাঞ্চের দপ্তরেই বিবিসির তেজস ভৈদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আলমআরা পাঠান নামে এক নারীর। তিনি বলেন, ‘আমি তো সৈয়দবাড়ি মোহাম্মদী মসজিদ এলাকায় থাকি। ২৩ বছর ধরে আহমেদাবাদে আছি। আমার ছেলে রিয়াজের শ্বশুরবাড়ি চান্দোলা ঝিল এলাকায়। রাতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল ও, সেখান থেকে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমার পুত্রবধূকেও আটক করা হয়েছে।’

আহমেদবাদের বাসিন্দা আলমআরা পাঠানের ছেলে ও পুত্রবধূকেও ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করেছিল পুলিশ।
আহমেদবাদের বাসিন্দা আলমআরা পাঠানের ছেলে ও পুত্রবধূকেও ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করেছিল পুলিশ।

আলমআরা পাঠান আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র, আয়কর বিভাগের প্যান কার্ড, বিদ্যুতের বিল—সব নথিই আছে। পুলিশ আমাকে জানায়, সব নথি নিয়ে যেন এখানে হাজির হলে ছেলে আর ওর বউকে ছেড়ে দেবে। সকাল ১০টা থেকে এখানে বসে আছি।’

রাত ১০টা নাগাদ তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূকে ছেড়ে দেয় পুলিশ, তবে আবারও তাদের দেখা করতে বলা হয়েছে।

আলমআরা পাঠান বলেন, ‘আমরা তো বাংলাদেশ থেকে আসিনি, অপরাধও করিনি। আমার সন্তানেরা এখানেই জন্মেছে। তবু বুঝতে পারছি না, ছেলে আর তাঁর স্ত্রীকে কেন আটক করা হলো।’

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার এক বাসিন্দা আটক

‘বাংলাদেশি’ ধরার অভিযান প্রথমে আহমেদাবাদ আর সুরাতে শুরু হলেও গত দুই দিনে তা ছড়িয়েছে পুরো গুজরাটেই। ভারুচেও চলেছে সেই অপারেশন।

গতকাল সোমবার একটি গার্মেন্টসে সারা দিন কাজ করার পরে বিকেলে চা খেতে বেরিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সাঁকরাইলের বাসিন্দা নূর শেখ।

বিবিসি তিনি বলেন, ‘কাজের পরে বিকেলে চা খেতে যাচ্ছিলাম বড় রাস্তায়। সেদিকে যেতেই এক বন্ধু বলল, একটু আগে হাওড়ারই এক বাসিন্দাকে দোকানের সামনে থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। আমি তখনো গলির ভেতরেই ছিলাম।’

নূর শেখ বলেন, ‘বাংলাদেশিদের ধরবে ধরুক। কিন্তু আমরা তো ভারতীয়। দরকার হলে আধার চেক করে দেখুক। অন্য সব নথিও আছে। কিন্তু ধরে নিয়ে গিয়ে এ রকম হেনস্তা করার কী মানে?’

‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক আসিফ ফারুক বলেন, ‘নূর শেখ যে অঞ্চলে থাকেন, সেই ভারুচ জেলার কোটকপুর এলাকায় পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও হাওড়া জেলার এক হাজার জনের বেশি শ্রমিক আছে। গুজরাট পুলিশ এসে এই শ্রমিকদের ডকুমেন্ট চেক করে গেছে।’

গুজরাট পুলিশের সন্দেহ আধার কার্ড বা ভোটার পরিচয়পত্রসহ নথি বাংলাদেশিরাও বানিয়ে নিতে পারে। তাই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়সহ বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি রাজ্য গুজরাত পুলিশ তাদের দল পাঠাচ্ছে। যেসব পরিচয়পত্র জমা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো আসল নাকি নকল, সেটা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখবে গুজরাত পুলিশের দলগুলো।

সন্দেহভাজন ‘বাংলাদেশি’দের খোঁজে গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাড়ে ছয় হাজার মানুষকে আটক করেছে গুজরাট পুলিশ। ছবি: এএনআই
সন্দেহভাজন ‘বাংলাদেশি’দের খোঁজে গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাড়ে ছয় হাজার মানুষকে আটক করেছে গুজরাট পুলিশ। ছবি: এএনআই

অন্য রাজ্যেও বাঙালি মুসলমানদের হেনস্তা

‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’ বলছে, তাদের কাছে সারা দেশ থেকে অন্তত এক শ অভিযোগ জমা পড়েছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ‘বাংলাদেশি’ অভিহিত করে হেনস্তা, মারধর করা হয়েছে।

ওই সংগঠনটির কাছে অভিযোগ এসেছে যে ১৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ২৩ জন ফেরিওয়ালাকে উত্তর প্রদেশের কুশিনগরে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে দেয় এবং বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য মারধর করে স্থানীয়রা। এরপরে ওই আক্রান্তদের পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়, এক দিন পরে তাঁরা ছাড়া পান।

আবার ২১ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে ৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিক বাসে করে কর্মক্ষেত্র ওডিশার কেওনঝড়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বলে জানাচ্ছে ওই সংগঠন। ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার জসিপুরে সকালবেলায় বাস পৌঁছার পর স্থানীয়রা তাঁদের বাংলাদেশি বলে হেনস্তা ও মারধর করে। পরে তাঁরা মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন।

ওই মুর্শিদাবাদেরই সামশেরগঞ্জের এক বাসিন্দা ইদের পর ফেরিওয়ালা হিসেবে জিনিসপত্র বিক্রি করতে ওডিশার ভদ্রক টাউন থানা এলাকায় গেলে তাঁকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ।

সংগঠনটির প্রধান আসিফ ফারুক বলেন, ‘এ রকম প্রচুর অভিযোগ পাচ্ছি আমরা। সেই ২০১৪ সাল থেকেই এগুলো চলছে আর দিন দিন বেড়ে চলেছে। পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পরে তো আরও বেড়েছে এটা। কোথাও স্থানীয় পুলিশ, কোথাও বা ছোটখাটো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজন পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মুসলমান পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা করছে, মারধর করছে। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আসিফ ফারুক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাভাষী আর মুসলমান বলে কি দেশের যেকোনো জায়গায় গিয়ে কাজ করার বা ব্যবসা করার অধিকার নেই?’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত