গত তিন বছরে বিশ্বজুড়ে গৃহযুদ্ধ এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যকার সংঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলোর (প্রাইও) গবেষণায় দেখা গেছে যে, যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা আগের দুই বছরের তুলনায় কমলেও ২০২১ সাল থেকে বেসামরিক নাগরিকসহ সংঘাত সম্পর্কিত মৃত্যুর সামগ্রিক সংখ্যা গত ৩০ বছরের মধ্যে পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গত তিন বছরে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলের গৃহযুদ্ধ, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
গত বছর সংঘাতে নিহতের সংখ্যা কমার পেছনে টাইগ্রেতে যুদ্ধবিরতিকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে প্রতিবেদনটি। তবু ২০২৩ সালে যুদ্ধসংক্রান্ত কারণে অন্তত ১ লাখ ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে ইউক্রেনে নিহতের সংখ্যা ৭১ হাজারের বেশি এবং গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ শুরুর তিন মাসেরও কম সময়ে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ আনুমানিক ২৩ হাজার মানুষ নিহত হয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী সংঘাতের মাত্রাও যথেষ্ট বেড়েছে। ৩৪টি দেশের ভিন্ন ভিন্ন ৫৯টি অঞ্চলে সংঘাতের ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ একই সঙ্গে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে।
প্রতিবেদনটির লেখক এবং প্রাইওর গবেষক ও অধ্যাপক সিরি আস রুস্তাদ বলেছেন, বিশ্বে সহিংসতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় যে, সংঘাতের চিত্র ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। একই দেশ থেকে সংঘাত পরিচালনাকারী একাধিক ব্যক্তি সক্রিয় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চরম মাত্রার অনেক সহিংসতা দেখেছি। গত কয়েক বছরে একই সঙ্গে ঘটেছে একাধিক সংঘাতের ঘটনা। গাজা, ইউক্রেন এবং ইথিওপিয়ায় যুদ্ধে মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। পুরো বিষয়টিই আন্তর্জাতিক শক্তির লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। কে কাকে সমর্থন করে এবং কোথাকার অর্থ কোথায় যায়—এসব বিষয় বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন করে তুলেছে।’
রুস্তাদ আরও বলেন, অর্ধেকেরও বেশি দেশে একাধিক সংঘাত চলছে এবং সাতটি দেশ একই সঙ্গে তিনটিরও বেশি ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে। এর আংশিক কারণ হিসেবে তিনি ইসলামিক স্টেট এবং মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কর্মরত অন্যান্য সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেওয়া গোষ্ঠী এবং সুশীল সমাজের জন্য সংঘাতের চিত্র অনুমান করে জনসাধারণের জীবনমান উন্নত করার প্রচেষ্টাও কঠিন হয়েছে বলে মত দেন তিনি।
পৃথক ২৮টি বিরোধপূর্ণ অঞ্চল নিয়ে রাষ্ট্র সম্পর্কিত সর্বাধিকসংখ্যক সংঘাতের অঞ্চল হিসেবে রয়ে গেছে আফ্রিকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আফ্রিকায় গত এক দশকে সংঘাতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং মহাদেশটিতে ২০২১ সাল থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেছে অন্তত ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
সংঘাতের ৩৬টি ঘটনা ঘটলেও প্রথমবারের মতো রাষ্ট্র সম্পর্কিত কোনো সংঘর্ষের ঘটনা নেই যুক্তরাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা প্রবণ দেশ হিসেবে উঠে এসেছে মেক্সিকো। দেশটিতে সংঘাত সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি।
রুস্তাদ বলেন, ‘ক্রমাগত উদ্বেগের ব্যাপার হলো, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন নতুন এবং অত্যন্ত সহিংস সংঘাত বেড়েই চলেছে।’
গত তিন বছরে বিশ্বজুড়ে গৃহযুদ্ধ এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যকার সংঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলোর (প্রাইও) গবেষণায় দেখা গেছে যে, যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা আগের দুই বছরের তুলনায় কমলেও ২০২১ সাল থেকে বেসামরিক নাগরিকসহ সংঘাত সম্পর্কিত মৃত্যুর সামগ্রিক সংখ্যা গত ৩০ বছরের মধ্যে পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গত তিন বছরে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলের গৃহযুদ্ধ, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
গত বছর সংঘাতে নিহতের সংখ্যা কমার পেছনে টাইগ্রেতে যুদ্ধবিরতিকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে প্রতিবেদনটি। তবু ২০২৩ সালে যুদ্ধসংক্রান্ত কারণে অন্তত ১ লাখ ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে ইউক্রেনে নিহতের সংখ্যা ৭১ হাজারের বেশি এবং গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ শুরুর তিন মাসেরও কম সময়ে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ আনুমানিক ২৩ হাজার মানুষ নিহত হয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী সংঘাতের মাত্রাও যথেষ্ট বেড়েছে। ৩৪টি দেশের ভিন্ন ভিন্ন ৫৯টি অঞ্চলে সংঘাতের ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ একই সঙ্গে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে।
প্রতিবেদনটির লেখক এবং প্রাইওর গবেষক ও অধ্যাপক সিরি আস রুস্তাদ বলেছেন, বিশ্বে সহিংসতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় যে, সংঘাতের চিত্র ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। একই দেশ থেকে সংঘাত পরিচালনাকারী একাধিক ব্যক্তি সক্রিয় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চরম মাত্রার অনেক সহিংসতা দেখেছি। গত কয়েক বছরে একই সঙ্গে ঘটেছে একাধিক সংঘাতের ঘটনা। গাজা, ইউক্রেন এবং ইথিওপিয়ায় যুদ্ধে মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। পুরো বিষয়টিই আন্তর্জাতিক শক্তির লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। কে কাকে সমর্থন করে এবং কোথাকার অর্থ কোথায় যায়—এসব বিষয় বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন করে তুলেছে।’
রুস্তাদ আরও বলেন, অর্ধেকেরও বেশি দেশে একাধিক সংঘাত চলছে এবং সাতটি দেশ একই সঙ্গে তিনটিরও বেশি ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে। এর আংশিক কারণ হিসেবে তিনি ইসলামিক স্টেট এবং মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কর্মরত অন্যান্য সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেওয়া গোষ্ঠী এবং সুশীল সমাজের জন্য সংঘাতের চিত্র অনুমান করে জনসাধারণের জীবনমান উন্নত করার প্রচেষ্টাও কঠিন হয়েছে বলে মত দেন তিনি।
পৃথক ২৮টি বিরোধপূর্ণ অঞ্চল নিয়ে রাষ্ট্র সম্পর্কিত সর্বাধিকসংখ্যক সংঘাতের অঞ্চল হিসেবে রয়ে গেছে আফ্রিকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আফ্রিকায় গত এক দশকে সংঘাতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং মহাদেশটিতে ২০২১ সাল থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেছে অন্তত ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
সংঘাতের ৩৬টি ঘটনা ঘটলেও প্রথমবারের মতো রাষ্ট্র সম্পর্কিত কোনো সংঘর্ষের ঘটনা নেই যুক্তরাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা প্রবণ দেশ হিসেবে উঠে এসেছে মেক্সিকো। দেশটিতে সংঘাত সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি।
রুস্তাদ বলেন, ‘ক্রমাগত উদ্বেগের ব্যাপার হলো, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন নতুন এবং অত্যন্ত সহিংস সংঘাত বেড়েই চলেছে।’
দুর্গাপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিচয় বিপন্ন করেছে।’ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২২ মিনিট আগেফরাসি প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের প্রায় ২৫০টি ইঞ্জিন কিনতে চলেছে ভারত, যার আনুমানিক খরচ ৬১ হাজার কোটি রুটি। এতে ভারতীয় প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও আধুনিকতা, যা দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে এক নতুন মাত্রা আনবে।
১ ঘণ্টা আগেএডুয়ার্দো বলসোনারো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে নিজ দেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে দেশে তাঁর বাবার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি বিচার কার্যক্রম চলছে। ঠিক এই সময়ে
১ ঘণ্টা আগেকেবলমাত্র বেশি উপার্জন করা মানেই ধনী হওয়া নয়। বিভিন্ন দেশে জিনিসের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে এবং যেখানে জীবনযাত্রার খরচ কম, সেখানে অল্প বেতনেও ভালো থাকা যায়। কাজের সময়ও ভিন্ন হয়—কিছু দেশ কম কর্ম ঘণ্টায়ও বেশি আয় করে, যা অবসর যাপনের জন্য যথেষ্ট সময় এনে দেয়। তাহলে সত্যিকারের ধনী দেশ কোনগুলো?
৩ ঘণ্টা আগে